বিবাহ বার্ষিকীতে খেলার মধ্যে দিয়ে একটি পরীক্ষায় যে এমন বিস্ফোরক ফলাফল আসতে পারে সেটা কল্পনাতেও ভাবতে পারেনি আমেরিকার ইউটার বাসিন্দা ডনা ও ভার্নর জনসন। ২০১৯ সালে বিবাহ বার্ষিকীতে ১২ বছরের ছেলের পিতৃত্বের পরীক্ষা করেছিলেন এই দম্পতি। জানা যায় সন্তানের বাবা আসলে ভার্নর নন। তাহলে ঘটনাটি কী? এটা শুনলেই মনে পড়বে করিনা কাপুরের কথা।
দম্পতি জানান জিনগত পরীক্ষার মাধ্যমে পিতৃপরিচয় জানার একটি সুযোগ দিচ্ছিল একটি সংস্থা। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে নিজেদের বিবাহ বার্ষিকীতে ছেলের পিতৃত্বের পরীক্ষা করেছেন তারা। সেখানেই জানা যায় ছেলের বাবা অজানা। প্রাথমিকভাবে সম্পর্কের মধ্যে দূরত্ব চলে আসে দুজনের। কিন্তু তারা ব্যাপারটা অনুসন্ধান করা শুরু করেন কারণ তারা জানতে চাইছিলেন ছেলের আসল বাবা আসলে কে।
এরপর চোখ কপালে উঠে যায় দম্পতির। টিমের জন্ম হয়েছিল আইভিএফ পদ্ধতিকে কাজে লাগিয়ে। যে ফার্টিলিটি ক্লিনিকে সেটা হয় সেখানেই যোগাযোগ করেছিলেন দম্পতি। জানা যায় টিমের বাবা ডেভিন ম্যাকনেল নামক এক ব্যক্তি। চিকিৎসাকেন্দ্রের গাফিলতিতে এই ঘটনাটি ঘটে। আসলে কী হয় সেদিন?
ডোনার ডিম্বানুকে নিষিদ্ধ করার জন্য স্বামী ভার্নারের শুক্রাণু ব্যবহারের বদলে ভুলবশত ডেভিনের শুক্রাণু দিয়ে দিয়েছিল কর্মীরা। সন্তান লাভের আশায় সপরিবারে ওই ক্লিনিকে এসেছিলেন ডেভিন নিজেও। তাকে ভুল ফোন করে ভুল স্বীকার করে ওই সংস্থা। কিন্তু গোটা বিষয়টি সামনে আসার পর সুখে রয়েছে দুই পরিবার। টিমের দুই বাবার মধ্যে বন্ধুত্ব তৈরি হয়েছে। মাঝে মাঝেই তারা দেখা করেন এবং নৈশভোজ করেন একসাথে। গল্পটা ভীষণ চেনা লাগছে?একদম ঠিক ধরেছেন করিনা অক্ষয় কুমারের বিখ্যাত সিনেমা গুড নিউজ এর গল্পটাও ঠিক একই।