ব্রিটিশ শাসনকালে দেশের বহু মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন। আর ঠিক সেই সময় জন্মগ্রহন করেছিলেন দেশের স্বাধীনতার অন্যতম প্রধান পথপ্রদর্শক নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু। ছোটবেলা থেকেই তিনি ব্রিটিশ শাসন পছন্দ করতেন না। আইএএস পরীক্ষায় চতুর্থ হলেও ব্রিটিশ সরকারের বিরুদ্ধে গিয়ে ভারতকে স্বাধীন করার লড়াইয়ে গা ভাসিয়েছিলেন তিনি। তবে সম্প্রতি শোনা গেছে, ভারতীয় টাকায় নাকি সুভাষচন্দ্র বসুর ছবি ছাপা হত।
ব্রিটিশ সরকারের বিরুদ্ধে দেশকে স্বাধীনতা এনে দেওয়ার জন্য আজাদ হিন্দ বাহিনী গঠন করা হয়েছিল। মোহন সিং-য়ের দ্বারা গঠিত সেই বাহিনীর নেতৃত্ব দিয়েছিলেন নেতাজী। বাহিনিতে যোগদানকারী বহু মুক্তিযোদ্ধা দেশের জয় প্রাণ হারিয়েছিলেন। তবুও লড়াই করা থামায়নি বাহিনীটি। ধীরে ধীরে দেশের সকল মানুষের সমর্থন পেয়েছিলেন তিনি এবং তার বাহিনী।
পরবর্তীকালে দেশের অনেকেই আজাদ হিন্দ ফৌজের জন্য অনুদান দিয়েছিলেন। এরপর আজাদ হিন্দ ব্যাঙ্ক প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। যদিও এটি ভারতে নয় রেঙ্গুনে তৈরি করা হয়েছিল। নেতাজীর ব্যাং প্রতিষ্ঠার পরেই টাকার দরকার পড়েছিল। তবে এই ব্যাংকের অধীনেই মুদ্রা জারি করেছিলেন তারা। ৫, ১০, ১০০, ১৫০, ১০০০, ৫০০০ ডলার থেকে শুরু করে ১০,০০০,০০ ডলারের নোটও জারি করা হয়েছিল এই ব্যাঙ্কে। আজাদ হিন্দ সরকারকে যে যে দেশ গুলি সমর্থন করেছিল তাদের জন্যও এটি জারি ছিল।
প্রসঙ্গত ব্রিটিশ শাসনের অধীন থেকে মুক্তি পেয়ে ১৯৪৭ সালে ভারত স্বাধীনতা লাভ করে। সেই সময় করা নতুন সংবিধানের দ্বারা আজাদ হিন্দ ব্যাঙ্কে যে নোট গুলি জারি করা হয়েছিল তা নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। দেশে নতুন সংবিধান কার্যকর হওয়ার সাথে সাথে তা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। পৃথ্বীশ দাশগুপ্ত নামক একজন ব্যক্তি কলকাতা হাইকোর্টে জানিয়েছিলেন নোটে সুভাষচন্দ্রের ছবি থাকা উচিত। এবিষয়ে কলকাতা হাইকোর্ট থেকে প্রত্যুওর আসে।
তবে ২০১০ সালে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের একটি প্যানেল থেকে এবিষয়ে বলা হয়, মহাত্মা গান্ধী একমাত্র ব্যক্তি যিনি ভারতের মূল্যবোধ প্রকাশ করতে পারেন। যদিও বা গান্ধীজীর পাশাপাশি নেতাজীও দেশকে স্বাধীনতা লাভ করতে সাহায্য করেছেন। তার আদর্শে অনুপ্রানিত হয়ে প্রতি বছর তার জন্মদিনে তার প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ অর্পণ করা হয়।