টলিউডের অন্যতম অভিনেত্রীদের মধ্যে একজন হলেন অভিনেত্রী শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়। কর্মাশিয়াল সিনেমা থেকেই তিনি জনপ্রিয় হয়েছিলেন। এখন সেখান থেকে নিজেকে সম্পূর্ণরূপে সরিয়ে এনে অন্য ধারার বাংলা সিনেমা করছেন। আর সেখানেও নিজের অভিনয় দক্ষতা দিয়ে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী রূপে প্রমাণ করে দেখিয়ে দিয়েছেন। এবার ওটিটি প্ল্যাটফর্মে আত্মপ্রকাশ করতে চলেছেন শুভশ্রী। পরিচালক দেবলায় ভট্টাচার্যের হাত ধরে একটি সিরিজে দেখা যাবে তাঁকে।
‘ইন্দুবালা ভাতের হোটেল’ নামক সেই সিরিজে একেবারে অন্য রূপে দেখা যাবে অভিনেত্রীকে। বহু আগেই এই সিরিজে শুভশ্রীর ফার্স্ট লুক প্রকাশ হয়েছে। এবার সামনে এল সিরিজের টিজার। ‘ইন্দুবালা ভাতের হোটেল’ সিরিজের এই গল্প কল্লোল লাহিড়ির লেখা উপন্যাস। সিরিজের ১ মিনিট ৫৩ সেকেন্ডের টিজারে দেখা যাচ্ছে শুধুই শুভশ্রীকে। এক অন্য রূপে ধরা পড়েছেন তিনি। বয়সের ভারে নুয়ে পড়েছেন, ত্বক কুঁচকে গিয়েছে, চোখে মোটা ফ্রেমের চশমা।
শুভশ্রীর কাঁপা কাঁপা গলায় শোনা যাচ্ছে, ‘এটা ইন্দুবালার ভাতের হোটেল। এই চ্যাটচেটে টেবিল আর স্যাঁতস্যাঁতে ঘরে লোকে ইন্দুবালার হাতের খাবার খেতে আসে। হোটেলে আসে না বাবা।’ তারপর দেখা যায়, ট্রেন থেকে নামছেন এক সদ্য বিবাহিত তরণী। তার কিছুক্ষণ পর আবার ফ্রেম ফিরে আসে শুভশ্রীর কাছে। দেখা যায় উনুনে আগুন দিয়ে মাছ রান্না করছে ইন্দুবালা। কিশোরীবেলার মতো বৃষ্টির জল মুখে মেখে নিচ্ছে।
বছর ২৫ থেকে ৭৫ ইন্দুবালার চরিত্রে অভিনয় করেছেন শুভশ্রী। এই সিরিজে অভিনেত্রী দুই সন্তানের বিধবা মা। পূর্ববঙ্গ থেকে পশ্চিমবঙ্গে এসেছেন তিনি। তারপর সংসার ও সন্তানপালনের জন্য খুলবেন ভাতের হোটেল। গোটা ওয়েব সিরিজে মহিলা ইন্দুবালার জীবনসংগ্রামই ফুটে উঠবে। টিজারে স্পষ্ট বোঝানো হচ্ছে, ‘এই ইতিহাস দেশ ছাড়ার ইতিহাস, এই ইতিহাস স্বজন হারানোর ইতিহাস, এই ইতিহাস স্বাদের ইতিহাস।’
‘পাখিদের স্মৃতি কিছু রীতিনীতি ফণিমনসাও জানে/ বাগানের স্মৃতি নজরুল গীতি বালিকার কানেকানে/বিকেলের স্মৃতি গোপন পীড়িতি গোপনেই রাখা থাকে/ মানুষের স্মৃতি বহু বিস্মৃতি শ্মশান বন্ধু টানে’ – গানটি টিজারে ব্যবহৃত হয়েছে। যেখানে বারবার ঝলকে উঠছে ইন্দুবালার জীবনের ফেলে আসা কথা।