বর্তমানে বাংলা টেলিভিশনের একটি অত্যন্ত চর্চিত ধারাবাহিক হলো স্টার জলসার ‘গুড্ডি’। যেটিকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় রাত দিন কটাক্ষ এবং সমালোচনা লেগেই থাকে। সম্প্রতি সময়ে শিরিন, অনুজ, গুড্ডি এবং যুধাজিৎ এই চারজনের জীবন কোন দিকে যাচ্ছে তা কেউ গল্প দেখে বুঝতে পারছে না। তবে এবার যে সামনের দিনে শিরিন খুব জোর ফাঁসতে চলেছে তা ভালোমতোই বুঝতে পারছে দর্শকরা।
প্রসঙ্গত সম্প্রতি একটি পর্বে দেখা গেছে শিরিন গুড্ডিকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার জন্য তার ওপর মিথ্যে দোষারোপ করেছে। বাথরুমে নিজেই সাবান জল ছড়িয়ে সেখানে পড়ে যাওয়ার নাটক করেছে এবং সকলের কাছে বলেছে যে গুড্ডি তার বাচ্চা নষ্ট করার জন্য এই সাবান জল ছিটিয়ে রেখেছিল। কিন্তু অনুজ বাদে সেখানে যে কজন উপস্থিত ছিল তারা সকলেই গুড্ডিকে বিশ্বাস করেছে। তাই যুধাজিত এবং তুতুল দুজনে মিলে এটার পূর্ণ তদন্ত চেয়ে পুলিশ ডেকেছে।
উল্টোদিকে অনুজ গুড্ডিকে অপমান করে বলেছে সেও এই ঘটনার পূর্ণ তদন্ত চায়। এরপরই দেখা গেছে বাড়িতে পুলিশ এসেছে এবং তারা সকলেই চাইছে বাথরুমের সব জিনিসের ওপর থেকে ফিঙ্গারপ্রিন্ট টেস্ট হোক। আর তখনই শিরিন ভয় পেয়ে গেছে। কারণ এই টেস্ট হলে তখন ধরা পড়ে যাবে যে শিরিন এটা নিজে নিজেই করেছে।
তাই সে সকলকে বারবার বারণ করছে কিন্তু যুধাজিৎ, তুতুল, গুড্ডি সকলেই চাইছে যে এই তদন্তটা ঠিক ঠাক হোক। এবার শুধু দেখার পালা যে গুড্ডিকে বিপদে ফেলতে গিয়ে শিরিন নিজেই ঠিক কত বড় বিপদে নিজেকে ফেলে দিল! নাকি সে আবার নতুন কোন চাল চেলে সকলের কাছে সেই গুড্ডিকেই দোষী প্রমাণ করে দেবে!
তবে দর্শকরা এতদিন গুড্ডিকে নিয়ে বিরক্ত থাকলেও বর্তমানে যুধাজিতের সাথে তার বিয়ে হওয়ার পর থেকে সে যেভাবে অনুজকে মুখের ওপর জবাব দিচ্ছে সেটা দেখে বেশ খুশি দর্শক। তার কারণ দর্শকদের মতে যুধাজিতের মত একটা ভালো মানুষের সঙ্গ পেয়ে গুড্ডি এবার অনুজকে তার ঠিক শিক্ষা দিতে পারবে।