বাচ্চারা বরাবরই মানুষের সঙ্গে সহজে যোগাযোগ করে ফেলে। খুদে পুচকেদের সবই যেন ভালো লাগে। তাদের দুষ্টুমি ভালো লাগে, আবার তাদের ভুল করে ওই আদো আদো কথা আর মিষ্টি দুটো চোখে এত সারল্যের ছাপ থাকে যে সবারই মন গলে যায়। সেখানে ভাবুন তো সারাক্ষণ কুটকচালি দেখানো হয় যে ধারাবাহিকগুলোয় সেখানে বাচ্চাদের এই সারল্য দর্শকদের কতটা মকন ছুঁয়ে ফেলতে পারবে।
বাচ্চারা যে সহজে মন ছুঁয়ে যেতে পারে, দর্শকদের কাছে আগে পৌঁছে যেতে পারে তা সোনা রুপাকে দিয়ে ভালো করে বোঝাই যেত। কিন্তু এখন মিঠাইয়েও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না। যদিও মিঠাই সিরিয়াল মানুষের ইমোশন পরিণত হয়ে গিয়েছে তা কি আর আলাদা করে বলতে লাগে। মিঠাই এতদিন তাঁদের নিজের মেয়ে হয়েই ছিল।
প্রথমে যদিও মিঠির সবটা সামলে নেওয়ার লকর মিঠাইয়ের ফিরে আসা সবেতেই তাঁদের বেশ আক্ষেপ সুর ধরা দিচ্ছিল। মিঠিকে যখন দর্শকরা ভালোবাসতে শুরু করল তখনই যেন মিঠাই ফিরে এল সিদ্ধার্থ এর জীবনে হঠাৎ করেই। তাও আবার মিষ্টিকে নিয়ে। শাক্যকে যখন সবে মায়ের আদরে মিঠি জড়িয়ে ধরল তখনই মিঠাই ফিরে এল।
তখন মিঠিকে নিয়ে বেশ ভালোই চিন্তায় ছিল দর্শকরা। এমনকী সবটা এতটা গুছিয়ে নেওয়ার পর নিজের জায়গা কেউ ছেড়ে দিতে চাইবে না। তাই অনেকেই ভেবেছিলেন মিঠি হয়তো ভিলেইন হয়ে যাবেন। মিঠাইয়ের পঠে হাজার রকম বাঁধা তৈরি করবে।
কিন্তু এখানেই মিঠাই ইউনিক। মিঠি নিজেকে বিসর্জন দিয়ে সংসারের কথা শাক্যর কথা, মিষ্টির কথা ভেবে সবটা কুরবান দিয়ে দেয়। জানিয়ে দেয় এই সংসার মিঠাইয়ের হাতেই মানাবে। আর এই জন্যই মিঠাই আলাদা। আর পেয়েছে “ইউনিক” তকমা।
যেখানে দর্শকদের এত ভালোবাসা কুড়িয়ে নিল মিঠি সেখানে কি আর খুদেদের ভালোবাসা থেকে বিচ্যুত থাকে? মিষ্টি আর শাক্য সুন্দর করে তাঁকে শাড়ি পরিয়ে দিচ্ছে। শাক্যকে তো দেখাও যাচ্ছে তাঁর মাথায় ঘোমটা তুলে দিতে। সবাই বলছে, একদম নিজের মায়ের মমতার ওপরই গিয়েছে দুই বাচ্চা। আর এই সবের মধ্যে যে স্নিগ্ধতা, যে নিখাদ ভালোবাসার ছোঁয়া দর্শকরা পেয়েছে তাতে মগ্ধু হয়ে গিয়েছে।