Guddi: অনুজ এখন অনেকটা পরিণত, ভালো লাগছে গুড্ডি-যুধাজিতের পরিণতি সম্পর্কও, তবে ৬ বছর পরেও শিরিন অসহ্য! কলম ধরল ভক্ত

বাংলা ধারাবাহিক (Bengali Serial) কটাক্ষের শিকার হবেনা এটা ভাবাই যায়না। আসলে বাংলা ধারাবাহিককে মাঝেমধ্যেই গল্পের গরু গাছে উঠে পড়ে। আর যার ফলে তা দর্শকদের পক্ষে হজম করা সহজ হয়ে ওঠে না। শুরু হয় মিম, ট্রোলিং (Trolling)। একটা সময় সোশ্যাল মিডিয়াতে তীব্র ট্রোলিং-এর শিকার হয়েছিল ধারাবাহিক গুড্ডি (Guddi)। পরকীয়া (Extramarital affair), নায়কের খামখেয়ালিপনা দেখে তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছিল দর্শকরা। এক দীর্ঘ সময় ধরেই এই ধারাবাহিক সমালোচনার (Criticism) শীর্ষে রয়েছে।

তবে শুধু হাসি নয় সিরিয়াল দেখতে দেখতে রাগও ওঠে দর্শকদের! আসলে এখন বাংলা সিরিয়ালে ট্রেন্ড হয়ে গেছে নায়কের থাকবে একটি বউ এবং একটি প্রেমিকা। আর কি কাউকে ছেড়ে থাকতে পারে না। নায়ক’কে পাওয়ার জন্য ভিলেন হয়ে ওঠেন প্রেমিকারা। তবে পরকীয়ার এই নাটকে সবথেকে এগিয়ে রয়েছে স্টার জলসার পর্দায় সম্প্রচারিত হওয়া লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের ধারাবাহিক গুড্ডি।পরকীয়ার এক অন্য স্তরে চলে গেছে এই ধারাবাহিক। গুড্ডি, অনুজ, এবং শিরিনের সম্পর্কের সমীকরণকে আসলে বড্ড জটিল করে তুলেছেন লেখিকা।

Guddi serial

এই ধারাবাহিকে পরকীয়া দেখতে দেখতে অস্থির হয়ে উঠেছেন দর্শকরা।‌বিভিন্ন সময় সোশ্যাল মাধ্যমের পাতায় এই ধারাবাহিককে বন্ধ করার আর্জি জানিয়েছেন তাঁরা। তবে সেই কথায় বিশেষ কর্ণপাত করেননি লীনা গঙ্গোপাধ্যায়। গুড্ডি ধারাবাহিকে যতই নতুন মোড় আসুক না কেন পরকীয়া বন্ধ হয় না। তবে বর্তমানে বিরাট লিপ নিয়েছে এই ধারাবাহিক ‌‌। বর্তমানে দেখানো হচ্ছে অনুজ আর শিরিনের ছেলে বেশ বড় হয়ে গিয়েছে। সে মায়ের ভালোবাসা একেবারেই পায় না। তবে বাবা’র ভালোবাসা, যত্ন ভালোরকম‌ই পায়। অন্যদিকে গুড্ডিও তাঁকে বেশ ভালোবাসে।

আবার গুড্ডি-যুধাজিতের মধ্যেও বেশ ভালো সম্পর্ক। গুড্ডির যখন যেখানে পোস্টিং হয় যুধাজিৎ দেখা করে যায়। কিন্তু মা কে জানায় না। যুধাজিৎ আসলে মন থেকে গুড্ডি অনুজের মিল চায়। কিন্তু তখন গুড্ডি বলে “আমার কোন‌ও দিন যদি সংসার করতে মন চায় তাহলে আমি তোমার কাছেই আসবো” কী ভীষণ ভালো মন ছুঁয়ে যাওয়া কথা।

Shirin anuj guddi serial

এই ধারাবাহিকের এক ভক্ত সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, “সত্যি বলতে গল্পটা এবার সুন্দর হচ্ছে। এই ৬ বছরের লিপ-এর পর অনুজের মধ্যে ভীষণ পরিবর্তন এসেছে। সে আর আগের মতো নেই। নিজের মনের ওপর কন্ট্রোল করতে শিখে গেছে। আর ছেলের ভালো মন্দ ছাড়া কিছুই চায় না এখন আর।”

তিনি লিখেছেন, “গুড্ডি কিছুটা আগের মত হলেও অনেকটা পরিবর্তন এসেছে। কিন্তু শিরিন আগেও ইনসিকিওর ছিল আর এখনও একই আছে। ৬ বছর আগে শিরিনকে তাও সাপোর্ট করা যেত কিন্তু লিপ নেওয়ার পর ওর ইনসিকিওরিটি গুলোকে খুব একটা সাপোর্ট করা যাচ্ছে না।” দেখা যাক দর্শকদের চাহিদা পূরণে আর কী নতুন টুইস্ট আসে এই ধারাবাহিকে।