লীনা গাঙ্গুলি (Leena Ganguly) তাঁর ধারাবাহিকের লেখনীর কারণে ধারাবাহিকের থেকেও বেশি বিখ্যাত হয়ে গিয়েছেন। যে ধারাবাহিকের সঙ্গেই তাঁর নাম জড়িয়ে যাচ্ছে সেই ধারাবাহিকের প্লট দর্শকেরা আগে থেকেই বুঝে যাচ্ছেন। আর না যাওয়ার মতো কিছু নেই। আসলে এই মুহূর্তে স্টার জলসার (Star Jalsha) তাঁর লেখা তিনটি ধারাবাহিক চলছে। গুড্ডি, এক্কা দোক্কা ও বালি ঝড়।
এই তিনটি ধারাবাহিকের গল্প সেই ঘুরে ফিরে একই জায়গায়। পরকীয়া, তাতে আবার পর’কীয়ার মাঝে পর’কীয়া। আর এসবের মধ্যে ফাউ হচ্ছে ত্রিকোণ প্রেম। এই ফর্মুলায় আপনি লেখিকা লীনা গাঙ্গুলির লেখা যেকোনও ধারাবাহিকের গল্পকে ফেলে দিতে পারবেন।
কিন্তু এভাবে এই গল্প কতদিন দর্শরকা দেখবেন? খুব স্বাভাবিকভাবেই এই গল্প দর্শকদের বেশিদিন দেখতে ভালো লাগছে না। ফলে সেই ধারাবহিক থেকে টি আর পিও উঠছে না। আর যে ধারাবাহিকের টি আর পি নেই, সেই ধারাবাহিক চালাবার কোনও মানে দেখতে পায় না চ্যানেল। ফলে খুব তাড়াতাড়িই বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে ধারাবাহিকগুলো।
আর এখান থেকেই শোনা যাচ্ছে খুব তাড়াতাড়ি বন্ধ করে দেওয়া হবে এই তিনটি মধ্যে একটি ধারাবাহিক। যদি আপনার অনুমান ঠিক হয়, তাহলে সেই ধারাবহিকটি গুড্ডি। দর্শকরা আর বেশিদিন গুড্ডি শিরীন ও অনুজের একে অপরকে নিয়ে টানাটানি দেখতে পাচ্ছেন না।
যদিও যুধাজিৎ এর সঙ্গে মিলন, অনুজিত ও শিরীনের ছেলে সবই খুব তাড়াতাড়ি দেখিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এখন গুড্ডি একজন বড় মাপের পুলিশ অফিসার। ওদিকে শিরীন ও অনুজের ছেলেও অনেক বড় হয়ে গিয়েছে। গল্প প্রসঙ্গে সেই ছেলের মায়ের থেকেও বেশি ভাব গুড্ডির সঙ্গে।
এতদূর অবধিও দর্শকরা মেনে নিচ্ছিল। তবে এখন গল্প প্রবেশ ঘটেছে একটি নতুন চরিত্রের। তিনি বলেন একজন সাধুবাবা। অনুমান করা হচ্ছে এই সাধুবাবাই হলেন যুধাজিতের বাবা। তাহলে বোধয় খুব শীঘ্রই যুধাজিতের মা বাবার মিলন হবে। এবং ধারাবাহিকের এত দ্রুত গতি দেখে অনেকেই অনুমান করছেন, খুব তাড়াতাড়িই এতে ইতি টানতে চলেছে চ্যানেল।