এই মুহূর্তে লীনা গাঙ্গুলির (Leena Ganguly) লেখা যে কটি ধারাবাহিক চলছে তাঁর মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় হল জি বাংলার বালিঝড় (Balijhar)। আর যথারীতি, পরকীয়া, ত্রিকোণ প্রেম সব মিলিয়েই এই ধারাবাহিক। শুরু থেকেই বেশ ভালোমতো টি আর পি কুড়িয়ে নিচ্ছে। কিন্তু মাঝে মধ্যেই এই ধারাবাহিক নানা প্রকার বিষয় নিয়ে বিতর্কে থাকে। তবে এবার বিতর্ক হল ভালোবাসার টান নিয়ে।
ধারাবাহিকটির মুখ্য ভূমিকায় রয়েছেন তৃণা সাহা, ইন্দ্রাশিষ রায় ও কৌশিক রায়। ঝোরার দিক দিয়ে প্রথম থেকেই ত্রিকোণ প্রেমের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। প্রথমে দর্শকরা ভেবেছিল ঝোরা বিয়ে করলে কাকে বিয়ে করবে? অবশ্য সেই অপেক্ষার অবসান ঘটিয়েছে ঝোরা নিজেই ঘটিয়েছে। এটা স্পষ্ট যে ঝোরা আর যাই হোক, মহার্ঘ্যকে ভালোবাসে না।
কিন্তু বাবার কথাকে সে এড়াতে পারেনি। নিজের মতের বিপরীতে গিয়ে ভাঙা মন নিয়েই মহার্ঘ্যের সঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে বসেছে ঝোরা। এদিকে আবার বিয়ের দিন কনে সাজেই পালিয়ে যেতে দেখা যাচ্ছে প্রোমোতে। আর এই নিয়ে একদল দর্শকদের বহু কিছু চোখে লেগেছে।
মহার্ঘ্য নামটি পরিচয় করবার সময়ই লেখিকা জানিয়ে দিয়েছিলেন, মহার্ঘ্য নামের অর্থ মহা মূল্যবান। বালিঝড়ে ঝোরার জন্য মহার্ঘ্য যা করছে, সত্যিই মানুষ মানুষকে সত্যিকারের ভালোবাসলে তবে সব ত্যাগ স্বীকার করতে পারে। যেমনটা মহার্ঘ্য পারছে নিজের ভালোবাসার জন্য। কিন্তু এই মহার্ঘ্যকেই ঝোরা ভিখারী বলে কত অপমান করেছিল।
কিন্তু ঝোরা কি জানেনা না যে এখন তার জীবনের অনেক কিছু মহার্ঘ্য চুপচাপ মেনে নিচ্ছে, যেটা সে নাই নিতে পারে। বিয়ের পরের দিন থেকেই সে তার বউকে অন্য প্রেমিকের সঙ্গে কথা বলে যোগাযোগ করতে দিচ্ছে। সব কিছু মেনে নিচ্ছে। মহার্ঘ্যই তাকে ভিক্ষা দিচ্ছে তবেই না সে সবটা শান্তভাবে করতে পারছে! তাহলে ভিখারী কে? এই সব দাবি সামাজিক মাধ্যমে রেখেছেন দর্শকরা। আর সত্যিই ত, গল্পের আঙ্গিকও তাই বলছে।