টলিউড থেকে বলিউড ভারতবর্ষে এমন বহু অভিনেতাই রয়েছেন যাঁরা নিজেদের পিতৃদত্ত নামকে নিজেদের পেশাগত জীবনে ব্যবহার করেননি। যেমন বলিউডের শাহেনশাহ অমিতাভ বচ্চনের পিতৃদত্ত নাম ছিল ‘ইনকিলাব’, কর্ম জগতে এসে তিনি হয়ে যান ‘অমিতাভ’, বলি অভিনেতা ছোটবেলায় জন আব্রাহামের নাম ছিল ফারহান। পরে খ্রিস্টান ধর্ম নেওয়ার পর তাঁর নাম পরিবর্তিত হয়ে হয় জন। যেমন বলিউডের খিলাড়ি অক্ষয় কুমারের প্রকৃত নাম রাজিব হরি ওম ভাটিয়া। এইরকম ভুরি ভুরি উদাহরণ রয়েছে। আসলে সহজ এবং ক্যাচি নাম ফিল্ম দুনিয়ায় অভিনেতাদের জনপ্রিয়তা পেতে বেশি সাহায্য করে বলে মনে করা হয়।
একই রকম ভাবে টলিউডেও বহু অভিনেতা নিজেদের নাম পরিবর্তন করেছেন। অরুণ কুমার চ্যাটার্জী হয়ে উঠেছিলেন সবার প্রিয় মহানায়ক উত্তম কুমার। টলিউডের বহু নামকরা তারকা যেমন দেব, জিৎ, যিশু, টোটা, কোয়েল নাম বদলেছেন বহু তারকাই। আর এই নাম বদলানো তারকাদের মধ্যে অন্যতম হলেন বনি সেনগুপ্ত! টলিউডের ওয়ান অফ দি লিডিং মোস্ট হিরো!
টলিপাড়ায় তিনি বনি সেনগুপ্ত নামে জনপ্রিয় হলেও তাঁর আসল নাম অনুপ্রিয় সেনগুপ্ত। বাবা অনুপ সেনগুপ্ত এবং মা পিয়া সেনগুপ্তের নাম মিলিয়ে বনির নাম রাখা হয়েছিল অনুপ্রিয়। যদিও অভিনেতা পরিচিত হয়েছেন বনি নামে। বর্তমানে ভীষণভাবে চর্চায় রয়েছেন এই অভিনেতা। শিক্ষা দুর্নীতিতে জড়িত হুগলির বলাগড়ের যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষের(Kuntal Ghosh) কাছ থেকে চল্লিশ লক্ষ টাকা দামী বিলাসবহুল গাড়ি নিয়ে এখন ইডির নজরে পড়েছেন এই অভিনেতা।
কি এমন কাজ করলেন যার জন্য ৪০ লক্ষ টাকা পারিশ্রমিক পেলেন? সেটা জানতেই এখন তৎপর ইডি। বিভিন্ন মহল থেকে প্রশ্ন ওঠে বনি সেনগুপ্ত ঠিক কতটা বড় মাপের অভিনেতা যে তিনি ৪০ লক্ষ টাকা দামি গাড়ি নিজের পারিশ্রমিক হিসেবে নেন? প্রশ্ন ওঠে একটি বাংলা সিনেমার বাজেটের কাছাকাছি টাকা পারিশ্রমিক হিসেবে নিয়েছেন বনি। আর এবার এই বিতর্কেই মুখ খোলেন অভিনেতা বনি সেনগুপ্ত।
বিস্তর কনফিডেন্সের সঙ্গে তিনি দাবি করেন, “আমি টলিউডের ওয়ান অফ দি লিডিং মোস্ট হিরো তো। আমি সেটা মেনে নিতে পারি। এই পারিশ্রমিকটা আমি আর্ন করেছি। অনেক বছর খেটে আর্ন করেছি।” অর্থাৎ প্রসেনজিৎ, দেব, জিৎ, অঙ্কুশ এঁদের সঙ্গে তিনি নিজেকে সমগোত্রীয় বলে মনে করছেন।
আর ব্যাস এই মন্তব্য করতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় তুমুল কটাক্ষের সম্মুখীন হন অভিনেতা বনি সেনগুপ্ত। বারংবার ইডির কড়া জেরার মুখেও যে বনির কনফিডেন্স এতটুকু টাল খাইনি তা দেখে অবাক সবাই। অভিনেতাকে কটাক্ষ করে কারও মন্তব্য, ‘যত্ত বাতেলাবাজি।’ কেউ কটাক্ষ করে তাঁকে ‘হিরো আলম’ বলে সম্বোধন করেছেন, কেউ বা আবার ‘ঢপবাজ’, মোস্ট লিডিং চিটিংবাজ’, ‘নোবেলজয়ী অভিনেতা’ বলে কটাক্ষ করতেও ছাড়েননি। নিজেকে প্রথম সারির অভিনেতা বলার জন্য তাঁর ওপরে ক্রিমিনাল অফেন্সের কেস করতে বলে মজা করেছেন এক নেটিজেন। এমনকী
টলিউড অভিনেত্রী অঙ্কিতা চক্রবর্তী থেকে অরিত্র দত্ত বনিক টলিউডের ওয়ান অফ দি লিডিং মোস্ট হিরো’কে কটাক্ষ করেছেন সবাই।