Meyebela: একটা মেয়ের অসম্মান হলে পাশে আর একজন মেয়েই দাঁড়ায় শত্রু হলেও! বিথী শাশুড়ি হিসেবে খারাপ হলেও সত্যিই মৌ এর সম্মান রক্ষা করল! আগুন পর্ব বলছে দর্শক

সদ্য শুরু হহওয়া ষ্টার জলসার ধারাবাহিক ‘মেয়েবেলা’ কিছুদিনেই বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।ধারাবাহিকের ট্যাগলাইনও দেওয়া হয়েছে মানানসই ‘মেয়েরাই মেয়েদের শত্রু’। আসলে আমাদের সমাজে বহুকাল আগে থেকে একটা ধারণা চলে আসছে, তা হল মেয়েরাই মেয়েদের শত্রু। চিরাচরিত এই ধারণার বদল ঘটাতেই আসছে সম্পূর্ণ নারী কেন্দ্রিক ধারাবাহিক ‘মেয়েবেলা’।

ধারাবাহিকের প্রথমেই বিয়ের পর্ব এনে মোড় ঘোরানো হয়। আর সেখান থেকেই শুরু নায়ক-নায়িকার পথ চলা। যদিও দুজনেই পরিস্থিতির চাপে পরে বিয়েতে রাজি হয়েছে। তবে এই সংসারের বন্ধনে কিভাবে তারা একে ওপরের সাথী হয়ে উঠবে তাই দেখার। পাশাপাশি গল্পের মেন্ কেন্দ্র নায়িকা মৌ-এর জন্য পুরো পরিবারের মেয়েরা আবার নতুন করে জীবনের অর্থ খুঁজে পাবে।

কিন্তু মৌ-এর শাশুড়ি এখনো মৌকে বৌমা হিসাবে মেনে নিতে পারেনি। আর সে চায়, মৌ যাতে ডোডোকে ডিভোর্স দিয়ে দেয়। মৌ ডোডোকে বিয়ে করে এসেই একের পর এক সমস্যার সমাধান করছে। এরমধ্যেই আরও এক সমাধানে লেগে পড়েছে সে। মৌ-এর ছোটবেলার বন্ধু টিকলির অতীতকে সামনে নিয়ে আসবে সে। হোলির দিন রং খেলা নিয়ে যে ভয় টিকলির মনে বাসা বেঁধে রয়েছে, এবার তারই উদ্ঘাটন করবে সে। সামনে আসে ভয়ানক অতীত।

টিকলি ছোটোবেলায় শ্লীলতাহানির শিকার হয়। আর সেই খারাপ কাজটা করে ডোডোর বড়ো পিসেমশাই অর্থাৎ মিএ বাড়ির বড়ো জামাই। এবার সেই পিসেমশাই কেউ নজরে তাকালো মৌ-এর দিকে। বীথি মাসি মৌকে পছন্দ না করলেও একজন মেয়ে হয়ে সে মৌ-এর পাশে এসে দাঁড়ায়, ও সপাটে চড় মারে জামাইকে।

এর থেকেই বোঝা যায়, মেয়েরা মেয়েদের যতই শত্রু হোক না কেন, বিপদের সময় একটি মেয়েই একটি মেয়ের পাশে দাঁড়ায়। একজন নেটিজেন এই বিষয়ে লেখেন, “মেয়েরা মেয়েদের শত্রু কি না জানি না, তবে আজকের পর্বে এটা প্রমাণিত যে একটা মেয়ের অসম্মান হলে পাশে আর একজন মেয়ে দাঁড়ায়, সে তার শত্রু হলেও পাশে দাঁড়ায় বিথী মাসি খারাপ হলেও মৌ এর সম্মান রক্ষা করতে আজ দারুণ ভাবে তার পাশে দাঁড়িয়েছে,,পুরো আগুন পর্ব আজ”।