বহু আশা প্রত্যাশা নিয়ে পথ চলা শুরু হয়েছিল লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের ধারাবাহিক ‘এক্কাদোক্কা।’ সম্পূর্ণ নতুন এক জুটিকে দর্শকদের সামনে নিয়ে এসেছিলেন তিনি। সপ্তর্ষি মৌলিক ও সোনামনি সাহার জুটি বেশ পছন্দ করেছিলেন দর্শকরা। কিন্তু ওই যে গল্পকে ৩৬০ ডিগ্রী ঘুরিয়ে ফেলার এক অসীম ক্ষমতা রয়েছে লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের। আর এই ক্ষেত্রেও হলো না অন্যথা।
রাধিকা-পোখরাজের গল্পে আগমন হল অন্য দুই নায়ক-নায়িকার। দ্বিতীয় মূল নায়ক চরিত্রে এলেন অভিনেতা প্রতীক সেন। যাঁর সঙ্গে সোনামণির জুটি ছিল ব্যাপক হিট। আর ব্যাস প্রতীক সেন এই ধারাবাহিকে আসতেই দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে গেল দর্শকরা। একদল চাইছিল পোখরাজ-রাধিকা জুটিকে অন্য দল চাইছিল অনির্বাণ-রাধিকা জুটিকে। আর যথারীতি গল্পে এলো এক নতুন নায়িকাও।
রাধিকা-পোখরাজের মিলন হওয়ার পরিবর্তে পোখরাজের সঙ্গে বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয় গুন্ডার মেয়ে ‘রঞ্জাবতী’র। এরপরই বিয়ের তোরজোড় শুরু হয় রাধিকা-অনির্বাণের। কিন্তু এরই মধ্যে রাধিকার চরিত্রে আসে ব্যাপক পরিবর্তন। পোখরাজকে প্রতিটা মুহূর্তে অপমান, অসম্মান, আঘাত করা শুরু করে সে। এমনকি তুই তোকারি পর্যন্ত করা শুরু করে দেয় সে। এরইমধ্যে এবার গল্পে এসেছে বিশাল টুইস্ট।ড.গুহর সঙ্গে বিয়ের আগে রাধিকা জানতে পেরেছে সে সন্তান সম্ভবা। পোখরাজ না ডক্টর অনির্বাণ গুহ কার সন্তান তাঁর পেটে তা এখনও স্পষ্ট নয়!
কিন্তু রাধিকা এখন আর জীবনে কোনও ছেলের সঙ্গ চাইছে না। সে একার মতো করেই নিজের সন্তানকে নিয়ে জীবন কাটানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আর ব্যাস তারপর থেকেই শুরু হয়েছে কটাক্ষ। উল্লেখ্য, নেটিজেনরা বলছেন, যে মেয়ে জীবনে ছেলেদের সঙ্গ ছাড়া বাঁচতেই পারে না তাঁর মুখে এই ধরনের বিপরীতমুখী শব্দ বসানো নেহাতই অমূলক। প্রথমে পল তারপর পোখরাজ তারপর অনির্বাণ, এক ছেলের সঙ্গ ছাড়তে না ছাড়তেই অন্যজনের হাত ধরে ফেলে যে রাধিকা তাঁর মুখে নাকি একা বাঁচার মতো বড় বড় কথা। আর ‘ছেলেবাজি’ করা রাধিকাকে নিয়ে এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় চলছে চরম খিল্লি।