Roopa Ganguly: ‘আপনার আসলে কারও সামনে নিচু হতে সমস্যা হচ্ছিল’! রূপার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক ‘মেয়েবেলা’র লেখক

রূপা গাঙ্গুলী এবং মেয়েবেলার লড়াই অব্যাহত। প্রথমে রূপা গাঙ্গুলী ধারাবাহিক ছেড়ে মেয়েবেলার প্রযোজক, পরিচালকের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলেন। আর এবার তাঁকে কটাক্ষে বিঁধেছেন মেয়েবেলা ধারাবাহিকের এক ইউনিট সদস্য।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মেয়েবেলা ধারাবাহিকের পোস্টার গার্ল হয়ে টেলিভিশনের পর্দায় ফিরেছিলেন রূপা গাঙ্গুলী। তিনিই ছিলেন এই ধারাবাহিকের কেন্দ্রীয় চরিত্র। তাঁকে দেখতেই কত বাঙালি আবার‌ও টেলিভিশনমুখী হয়েছিলেন। তবে একপ্রকার হঠাৎ করেই এই ধারাবাহিক ছেড়ে দিলেন তিনি। কিন্তু কেন? রূপা গাঙ্গুলী অভিযোগের সুরে জানান যেভাবে বধূ নির্যাতনকে ধারাবাহিকে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছিল, এতটা নোংরামি দেখানো হচ্ছিল, যেভাবে তাঁর চরিত্রটাকে দিনে দিনে ঘৃণ্য পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তা তিনি সহ্য করতে পারছিলেন না। তাঁকে বলা গল্পের সঙ্গে বর্তমান চরিত্রের কোনও মিল না পেয়েই এই ধারাবাহিক ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি বলে জানিয়েছিলেন।

আর তারপর মুখ খোলেন মেয়েবেলা ধারাবাহিকের এক ইউনিট সদস্য শুভময় বিশ্বাস। ফেসবুক পোস্টে তিনি জানান রূপা গাঙ্গুলীর এই সিদ্ধান্তের ফলে ঠিক কত বড় বিপদ, কতটা অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছিল মেয়েবেলা ইউনিট। তিনি লেখেন, দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণ আম জনতার কাছে ভয়ানক শকিং একটি অধ্যায়। আজ থেকে নয়, যুগ যুগ ধরে। আর সেই দ্রৌপদী যদি নিজেই অনেক মানুষের, শুধু বস্ত্র নয়। মান, সম্মান, পরিচয়, ডিগনিটি, এসব নিয়ে টানাটানি শুরু করেন, তাহলে সেটা কী ভালো দেখায়? বলে প্রশ্ন করেন তিনি।

তিনি লেখেন, ‘মেয়েবেলা সিরিয়াল শুরুর অনেক আগে এর মূল গল্পটি সবাই গল্পকারের মুখ থেকে শুনে, নিজের নিজের চরিত্রের ব্রিফ জেনে তবেই এই কাজটির সঙ্গে যুক্ত হতে রাজি হয়েছিলেন। এক‌ই কথা, বীথিকা মিত্র চরিত্রটির ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। উনি এই ধারাবাহিকে বিশেষ প্রাধান্য পেয়েছিলেন। কারণ উনি THE রূপা গাঙ্গুলী। সবাই গল্প শুনেছিল উনি গল্প পড়েছিলেন’।

রূপা গাঙ্গুলীকে কটাক্ষ করে তিনি লেখেন, ‘নিজের চরিত্রের ব্রিফ জেনে তবেই উনি রাজি হন বীথিকা মিত্রর ভূমিকায় অভিনয় করতে। আজ তাহলে হঠাত করে কী হলো? আজ উনি কেন বলছেন বীথি মৌ এঁর প্রতি বড্ড নেগেটিভ, মেয়েবেলা রিগ্রেসিভ কন্টেন্ট সাপ্লাই করে না। মৌ এর ক্ষেত্রে বীথি প্রথম থেকেই নেগেটিভ ছিলেন, মৌ এর প্রতি বীথির আচরণ ধারাবাহিকের প্রথম পর্ব থেকে শততম পর্ব অবধি একই আছে, তাহলে?’ তিনি লেখেন, ‘একটা মেয়েই পারে অন্য একটি মেয়েকে উত্তরণের রাস্তায় নিয়ে যেতে। মৌয়ের হাত ধরে বীথি মাসির সেই উত্তরণই তো ঘটবে। কীভাবে ঘটবে, কোন কোন ঘটনার মধ্যে দিয়ে ঘটবে, সেটাই মেয়েবেলার মূল গল্প। উত্তরণ ঘটিয়ে দিলে তো ধারাবাহিক বন্ধ হয়ে যাবে। মৌয়ের সঙ্গে দুর্বব্যহার করলে, তবেই তো একদিন মৌকে বুকে জড়িয়ে নিজের ভুলটা বুঝতে পেরে বীথি মাসি কাঁদবে’।

ওই ইউনিট সদস্য লিখেছেন, ‘বীথিকা মিত্রের চরিত্রে অভিনয়কারী মানুষটির শুরুর থেকেই তুঘলকি আচরণ ছিল। আজ না, ভালো লাগছে না, আজ না অনেক সিন। আপনি একসঙ্গে এত এত লোককে পথে বসিয়ে দিয়ে বলে গেলেন অসভ্যতা হচ্ছে গল্প নিয়ে। মূল গল্প হল আপনার আসলে চরিত্র হিসেবেও কারুর সামনে নিচু হতেই সমস্যা হচ্ছে। কিন্তু আপনি তো বীথিকা মিত্রের চরিত্র হয়ে নিচু হচ্ছেন। রিয়েল লাইফে নয়। বীথি একজন ডিপ্রাইভড মহিলা। কিন্তু ওনাকে কেউ কথা শোনাবে না? এই দুটো কী করে একসাথে সত্যি হতে পারে? আপনার বদলে অনুশ্রী দাস এলেন। শুধু এলেন না, এলেন, দেখলেন এবং মেয়েবেলাকে পুনরুজ্জীবিত করলেন। এটাই কী আপনার সত্ত্বাকে আঘাত করলো নাকি?’ প্রশ্ন ছুঁড়লেন তিনি।