Anushree Das: ‘রূপাদির ছেড়ে যাওয়া চরিত্র করতে হবে’! ফোন করতেই লাভ ইউ বাবু বলেন পর্দার দ্রৌপদী! জানালেন বর্তমান ‘বীথি মাসি

‘টিআরপি তালিকায় যে দারুন কিছু পার্থক্য হয়েছে এমনটা নয়। কিন্তু বিতর্কের জেরে এখন শিরোনাম দখল করেছে স্টার জলসার এই মুহূর্তের অন্যতম দর্শকপ্রিয় ধারাবাহিক ‘মেয়েবেলা।’ বাস্তবধর্মী গল্প দেখানোর জন্য প্রশংসিত হয়েছিল স্টার জলসার পর্দায় কিছুদিন আগে শুরু হওয়া এই ধারাবাহিকটি।

কিন্তু হঠাৎই বিতর্কবেষ্টিত হয়ে পড়ে মেয়েবেলা। সৌজন্যে এই ধারাবাহিকের অন্যতম কেন্দ্রীয় চরিত্র বিথীকা মিত্র ওরফে রূপা গাঙ্গুলী। সুদীর্ঘ ৫ বছর পর‌ রাজনীতির অঙ্গন পেরিয়ে আবারও অভিনয়ে ফিরেছিলেন রূপা। কিন্তু একেবারেই সুখের হলো না সেই পথচলা। অতি অল্প সময়ের মধ্যেই ধারাবাহিক ছাড়লেন তিনি।

কিন্তু কেন? অভিনেত্রী এই ধারাবাহিক ছাড়ার বিষয়ে অভিযোগ করে জানালেন, মেয়েবেলা ধারাবাহিকে যেভাবে বধূ নির্যাতনকে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছিল, এতটা নোংরামি দেখানো হচ্ছিল, যেভাবে তাঁর চরিত্রটাকে দিনে দিনে ঘৃণ্য পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তা তিনি সহ্য করতে পারছিলেন না। বাড়িতে ফিরে এসে কেঁদেও ফেলতেন তিনি। যে গল্প তাঁকে সরানো হয়েছিল তার সঙ্গে বর্তমান চিত্রনাট্যের কোন মিল নেই

তাঁকে বলা গল্পের সঙ্গে বর্তমান চরিত্রের কোনও মিল না পেয়েই এই ধারাবাহিক ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি বলে জানিয়েছিলেন। যথারীতি রূপা গাঙ্গুলির এই ধারাবাহিক ছাড়ায় বেজায় বিতর্কের সৃষ্টি হয়। এরপর মুখ খোলেন মেয়েবেলা ধারাবাহিকের এক ইউনিট সদস্য নাম শুভময় বিশ্বাস। ফেসবুক পোস্টে তিনি জানান রূপা গাঙ্গুলীর এই সিদ্ধান্তের ফলে ঠিক কত বড় বিপদ, কতটা অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছিল মেয়েবেলা ইউনিট। তিনি জানান রাতারাতি ৮০ জন সদস্যের ইউনিট পথে বসে গিয়েছিল।

রূপা গাঙ্গুলীকে কটাক্ষ করে ওই ইউনিট সদস্য লেখেন, নিজের চরিত্রের ব্রিফ জেনে তবেই উনি রাজি হন বীথিকা মিত্রর ভূমিকায় অভিনয় করতে। আজ তাহলে হঠাত করে কী হলো? তিনি লেখেন, মৌ এর প্রতি বীথির আচরণ ধারাবাহিকের প্রথম পর্ব থেকে শততম পর্ব অবধি একই আছে, তাহলে হঠাৎ কী হলো?‌‌ অভিযোগের সুরে ওই ব্যক্তি জানিয়েছিলেন বীথিকা মিত্রের চরিত্রে অভিনয়কারী রূপা গাঙ্গুলী নামক মানুষটির শুরুর থেকেই তুঘলকি আচরণ ছিল। আজ না, ভালো লাগছে না, আজ না অনেক সিন ইত্যাদি।

রূপা গাঙ্গুলীকে আক্রমণ করে ওই ব্যক্তি আরও লিখেছিলেন, আপনার ধারাবাহিক ছাড়ার আসল গল্প হল চরিত্র হিসেবে কারুর সামনে নিচু হতেই সমস্যা আপনার। কিন্তু আপনি তো বীথিকা মিত্রের চরিত্র হয়ে নিচু হচ্ছেন। রিয়েল লাইফে নয়। বীথি একজন ডিপ্রাইভড মহিলা। কিন্তু ওনাকে কেউ কথা শোনাবে না? এই দুটো কী করে একসাথে সত্যি হতে পারে? আপনার বদলে অনুশ্রী দাস এলেন। শুধু এলেন না, এলেন, দেখলেন এবং মেয়েবেলাকে পুনরুজ্জীবিত করলেন। এটাই কী আপনার সত্ত্বাকে আঘাত করলো নাকি?’ প্রশ্ন ছোঁড়েন তিনি।

সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী অনুশ্রী দাস জানিয়েছেন, রূপা গাঙ্গুলীর ছেড়ে দেওয়া চরিত্রে অভিনয় করতে গিয়ে বেশ ভয় পেয়েছিলেন তিনি। দর্শকরা মেনে নেবে তো? বাকি সহ অভিনেতা-অভিনেত্রীদের কাছে গ্রহণযোগ্য হবেন তো তিনি? একাধিক প্রশ্ন এসেছিল তাঁর মাথায়। কিন্তু না, সবার কাছ থেকেই ভীষণ রকমের সাপোর্ট পেয়েছেন তিনি। যদিও দর্শকদের মধ্যে এখন‌ও কিছুটা খুঁতখুঁতানি রয়ে গেছে। যথাসম্ভব চেষ্টা করছেন তিনি বিথীকা মিত্র হয়ে উঠতে।

অভিনেত্রী জানিয়েছেন, এই চরিত্রের অফার পাওয়ার পরেই তিনি ফোন করেন রূপা গাঙ্গুলীকে। অনুশ্রী দাসের কথায় সি ইজ রূপা গাঙ্গুলী। অভিনেত্রী জানিয়েছেন তিনি রূপা গাঙ্গুলীকে ফোন করে জিজ্ঞেস করেন, ‘রূপাদি, তুমি কি আর একবার ভাববে? কিন্তু উত্তর আসে, ‘না’ এক‌ইসঙ্গে “লাভ ইউ বাবু”। এর উত্তরে অনুশ্রী দেবীও বলেন, “লাভ ইউ টু!” এরপর‌ই শুরু হয় বিথীকা মিত্র রূপে অভিনেত্রী অনুশ্রী দাসের জার্নি।