‘ঝুলঝাড়া, ছাপরিমার্কা লাগছে, বাংলার মোস্ট লিডিং জিরো’! চুলে রঙ করে ছবি পোস্ট করতেই তীব্র খিল্লির পাত্র ‘লিডিং মোস্ট হিরো’ বনি সেনগুপ্ত

নয় নয় করে বাংলার বেশ অনেকগুলো সিনেমাতেই অভিনয় করে ফেলেছেন অভিনেতা বনি সেনগুপ্ত। ‘লিডিং হিরো’র চরিত্রে অভিনয় করেছেন বেশ অনেকগুলি সিনেমাতেই। কিন্তু এত কিছু সত্ত্বেও সম্মানটা বোধহয় অন্য অভিনেতাদের থেকে একটু কমই পান বাংলা সিনেমার এই তরুণ অভিনেতা। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিত্যদিনই তাঁকে কটাক্ষ করা হয়।

যদিও তাতে খুব একটা ভ্রুক্ষেপ করেন না এই অভিনেতা। কিন্তু এতকিছু সত্ত্বেও কটাক্ষকারীদের কি আর আটকানো যায়। আর তাই বনি সোশ্যাল মাধ্যমে ছবি পোস্ট করলেই তাতে প্রশংসার থেকে কটাক্ষের ঝড় বেশি বয়ে যায়। আসলে কিছুদিন আগেই শিক্ষা দুর্নীতির আঁচ গিয়ে পড়েছিল অভিনেতা বনি সেনগুপ্তর ওপরে। আর তারপর থেকেই কটাক্ষের মাত্রা আরও বেড়ে গেছে।

আসলে শিক্ষা দু’র্নী’তি’তে জড়িত হুগলির বলাগড়ের যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষের কাছ থেকে চল্লিশ লক্ষ টাকা দামী বিলাসবহুল গাড়ি নিয়ে এখন ইডির নজরে পড়েছিলেন এই অভিনেতা। কিন্তু সেই টাকার সম্পূর্ণটাই তিনি ইডির হাতে ফেরত দিয়ে দেন।আসলে বিভিন্ন মহল থেকে প্রশ্ন উঠেছিল বনি সেনগুপ্ত ঠিক কতটা বড় মাপের অভিনেতা যে তিনি এই বিপুল ৪০ লক্ষ টাকা দামের গাড়ি নিজের পারিশ্রমিক হিসেবে নেন?

আর সেই বিতর্কে মুখ খুলে অভিনেতা বনি সেনগুপ্ত বলেছিলেন, “আমি টলিউডের ওয়ান অফ দি লিডিং মোস্ট হিরো তো। আমি সেটা মেনে নিতে পারি। এই পারিশ্রমিকটা আমি আর্ন করেছি। অনেক বছর খেটে আর্ন করেছি।” আর ব্যাস এই একটি মন্তব্যেই ঝড় বয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। রীতিমতো কটাক্ষের শিকার হন তিনি।

জনপ্রিয় পরিচালক সুখেন দাসের নাতি বনি সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ছবি শেয়ার করেন। সেখানে তাঁকে দেখা যায় কালো রঙের প্যান্ট, শার্টে। যদিও তাঁর মাথার চুলের রং সোনালি। আর সেই ছবি দেখে কটাক্ষের বন্যা বয়ে যায়। কেউ লিখেছেন ‘ছাপরি লাগছে’, কেউ লেখেন ‘বাংলার মোস্ট লিডিং হেরো’, একজন লিখেছেন, ‘বাড়ির দেওয়ালে খুব ঝুল হয়েছে! দুদিন ধরে ঝুল ঝাড়ুটা খুঁজে পারছিলাম না…এবার বুঝলাম!’ আবার একজন লিখেছেন, ‘এতগুলো সিনেমা করা হয়ে গিয়েছে। আর অভিজ্ঞতাও হয়েছে যথেষ্ট। আর সেই বয়স নেই যখন এরকম উদ্ভট সাজ দেওয়া যায়। কি দরকার এরকম কার্টুন সাজার।’