সোনাকে বাঁচাতে দীপার শরণাপন্ন সূর্য! হাসপাতালে মেয়ের জন্য ছুটে এল সোনার ফুল মা! বাঁচানো যাবে সোনাকে?

অনুরাগের ছোঁয়ার আজকের পর্বটি বেশ জমজমাট হতে চলেছে। এই পর্বে আমরা সবাই দেখতে পাব যে সোনা আর রূপার জন্ম যে হাসপাতাল হয়েছিল সেখানে ছুটে যায় সূর্য সমস্ত সত্যিটা জানার জন্য। এদিকে মিশকা পড়েছে চিন্তায় কারণ কোনোভাবেই সূর্যকে আটকানো যাচ্ছে না। এদিকে লাবণ্য আর প্রবীর বলে দীপা আমি যেটা বলছি সেটাই হবে। সূর্যকে আমি সামনে আনবো। তুমি সূর্যকে নিয়ে চিন্তা করো না। তুমি ও রূপা দিদিভাই ওই বাড়িতে আজই ফিরে যাবে।

অন্যদিকে তবলার বৌদি আর দাদা এসে বলে দীপা তুমি কোনো চিন্তা করো না আমরা আছি তো। তারপরে আমরা দেখতে পারবো হাসপাতালের সমস্ত তথ্য যেই সামনে আসে ঠিক তখনই সেখানে একটা বিভিন্ন ঘটাতে তাড়াতাড়ি করে উপস্থিত হয় সূর্যর বেস্ট ফ্রেন্ড অর্থাৎ মিশকা। সে প্রশ্ন করে সূর্যকে যে সে এখানে কি করছে। অন্যদিকে সোনা কান্নায় ভেঙে পড়ে তার ফুল মার জন্য। শেষমেষ দীপা সব শুনে ছুটে আসে সোনার কাছে। সোনা নিজের ফুল মাকে সামনে দেখতে পেয়ে অনেক বেশি খুশি হয়ে যায়। বলে ফুল মা তুমি চলে এসেছ?

ওদিকে লাবণ্য বলে ফুল মা ও পাতা মেয়ে আজ তোমার সাথে বাড়ি ফিরে যাবে। এটা শুনে আরো বেশি খুশি হয়ে যায় সোনা। বাড়ির বাকি সদস্যরা এই কথা শোনার পর আনন্দে মেতে ওঠে। অন্যদিকে সোনাকে আদরে আদরে ভরিয়ে দেয় তার ফুল মা অর্থাৎ দীপা। সে সোনাকে চিন্তা করতে বারণ করে কারণ সে চলে এসেছে। সোনা দীপাকে বলে তাকে কিছু খাইয়ে দিতে কারণ তার খুব খিদে পেয়েছে।

অন্যদিকে দেখা যায় উর্মি খুব খুশি হয়েছে এবং দীপাকে বলে দিদি তুই ওই বাড়িতে ফিরে যাবি? আমার না ভীষণ ভালো লাগছে। দীপাকে নিজের কাছে জড়িয়ে নেয় উর্মি। জয় মজা করে বলে আচ্ছা তোমার ছোট বোন বলে আদর করছ আমাকে তো আদর করছো না? তারপর আমরা দেখতে পাবো সোনার মুখে খাবার তুলে দিতে যায় দীপা। ওদিকে মিশকা সূর্যকে ওখান থেকে চলে যেতে বলে। সূর্য পাল্টা প্রশ্ন করে যে কেন যাবে সে? পাল্টা বলে সে এই দায়িত্ব তার বেস্ট ফ্রেন্ডকে দিয়েছিল কিন্তু সেই বেস্ট ফ্রেন্ড সেটা পালন করেনি।

এরপরেই সূর্য মনে মনে বলে যেভাবেই হোক না কেন তাকে সমস্ত সত্যি জানতেই হবে। মিশকা বলে তুই এদিক থেকে সত্য জানবি আর ওদিকে দেখা যাবে তোর মা বাবা দীপাকে নিয়ে সোনার কাছে চলে যাবে। তারপর সোনাকে দীপা নিয়ে চলে যাবে তোর কাছ থেকে। এটা শুনে রীতিমত ভয় পেয়ে যায় সূর্য। মিশকা বলে হ্যাঁ আমি যা বলছি সত্যি বলছি। তারপরেই আমরা দেখতে পারব সূর্যকে যা নয় তাই বলে বোঝাতে থাকে মিশকা। আর হাসপাতাল থেকে নিয়ে চলে যায় সে।

অন্যদিকে দেখা যায় তবলার বৌদি যখন পুজো করে তখন রূপা এসে প্রশ্ন করে আচ্ছা মামী আমাদের ব্যাগগুলো কেন বের করেছো? আমরা কি কোথাও ঘুরতে যাব? বৌদি বলে না, রূপা তার বাবার বাড়ি যাবে। অবাক হয়ে যায় রূপা। প্রবীর এসে রূপাকে কোলে তুলে নেয় আর বলে দিদিভাই আজ তো তোমরা ওই বাড়িতেই ফিরবে। ওদিকে সোনাকে খাবার খাইয়ে দেয় দীপা। সোনা তৃপ্তি ভরে তার মায়ের হাতে খায়। এইসব দেখে লাবণ্য অনেক বেশি খুশি হয়।