বর্তমান সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে আমরা ভাইরাল তারকা বা ভাইরাল সেলিব্রিটি কথাটা ভীষণভাবে বলে থাকি। আসলে সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলাতে মাঝেমধ্যে বিভিন্ন মানুষ বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের জন্য ভাইরাল হয়ে যান। তখন তার হাজার হাজার ফলোয়ার। পঙ্গপালের মতো তার সামনে ইউটিউবারদের ভিড়। আর তাদেরকে ভাইরাল সেলিব্রিটি না বলে আর কী বলবেন বলুন!
আসলে সোশ্যাল মিডিয়াতে বিভিন্ন সময় আমরা বিভিন্ন ধরনের ভিডিও দেখে থাকি। আর সেই সমস্ত ভিডিওগুলো ইন্টারনেটের সৌজন্যে সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়ে যায়। তখন সোশ্যাল মিডিয়া খুললেই সেই ভিডিও ব্যতীত অন্যকিছুই যেন আর সামনে আসে না।
আর সেইসঙ্গে দায়িত্ব নিয়ে তাদের জনপ্রিয় করে দেন ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা ইউটিউবাররা। আমজনতার জীবন ঝালাপালা করে দিতে জুরি মেলা ভার এদের। রানু মন্ডল, কাঁচা বাদাম খ্যাত ভুবন বাদ্যকার বা ভাইরাল হওয়া নন্দিনীদি এদের দৌলতেই অবশ্য বিখ্যাত হয়েছে।
ডালহৌসি ৩নং কয়লাঘাটের রাস্তার ফুটপাতে মা-বাবার সঙ্গে ভাতের হোটেল চালান তিনি। তাঁর হোটেলে পাত পেড়ে বসে খান সেখানকার অফিস পাড়ার মানুষরা। নিজের দোকানের খরিদ্দারদের সঙ্গে একেবারে পরিবারের লোকের মতই ব্যবহার করেন নন্দিনীদি ওরফে মমতা গাঙ্গুলী।
দু’বছর যাবত ফুটপাতের দোকান চালালেও ইউটিউবার-ফুডব্লগারদের সৌজন্যে এখন তাঁকে বাংলার সবাই চেনে। স্মার্ট, কিউট কত বিশেষণ তাঁর নামের আগে। নিজেও এখন ব্লগিং করা শুরু করে দিয়েছেন তিনি। তবে শুধু খ্যাতি নয়। কটাক্ষও তাঁর সঙ্গী। তাঁর অ্যাটিটিউড ভর্তি কথাবার্তা, ডোন্ট কেয়ার হাবভাবের জন্য বেশ সমালোচিত হন তিনি।
তবে সম্প্রতি এই ভাইরাল তারকা প্রকাশ্যেই শা’রীরিক হেনস্থার শিকার হয়েছেন। এক ইউটিউবারের ক্যামেরায় ধরা পড়েছে সেই মুহূর্ত। যেখানে দেখা গেছে বয়স্ক ব্যক্তি অশ্লীলভাবে গায়ে হাত দিচ্ছে নন্দিনী দি’র। এরপরেই এই ঘটনার প্রতিবাদ করেন ভাইরাল তারকা। চোখের জলে জানান বিগত দু’বছর ধরে এই রকম ঘটনা ঘটে চলেছে তাঁর সঙ্গে। তাঁর কথায় তিনি ফুটপাতে দাঁড়িয়ে কাজ করেন বলে তিনি কারুর পাবলিক প্রপার্টি নন যে যে কেউ যখন তখন ছুঁয়ে চলে যাবে।
