মান অভিমানের পালা চললেও বাবা-মেয়ের সম্পর্ক যে চিরন্তন! বাবা সূর্যের প্রতি সোনার ভালোবাসা দেখে চোখে জল নেটিজেনদের

বাংলা টেলিভিশনের জনপ্রিয়তম সেই সঙ্গে এই মুহূর্তে টিআরপি তালিকায় শ্রেষ্ঠ ধারাবাহিক অনুরাগের ছোঁয়া। সত্যিকার অর্থেই এই ধারাবাহিকের মধ্যে যেন অনুরাগের ছোঁয়া পরিলক্ষিত হয়েছে। আর সেই কারণেই অতি সহজে দর্শকদের মনে রাজত্ব করতে পেরেছে এই ধারাবাহিকটি।

মূলত এই ধারাবাহিকের নায়ক-নায়িকা সূর্য এবং দীপা। তাদের ভালো চান অনেকেই আবার খারাপ চাওয়ার লোকের সংখ্যাও কম নয়। একটা সময় তাদের দামাল প্রেম পর্ব দেখার জন্য মুখিয়ে থাকত বাঙালি দর্শককুল। তবে সেই প্রেম সেই দাম্পত্য ভেঙেছে অনেকদিন। আবার তারা কবে কিভাবে সমস্ত ভুল বোঝাবুঝি মিটিয়ে এক হয় সেটাই দেখার জন্যই মুখিয়ে রয়েছেন তামাম জনতা।

আর এরই মধ্যে জন্ম নিয়েছে সূর্য-দীপার দুই যমজ মেয়ে সোনা এবং রূপা। তারা কাদের সন্তান এই নিয়েই দীর্ঘদিন ধরে টানাটানি চলছে। যদিও সমস্ত সত্যিটা জেনে গেছে, রূপা। দীপা এবং সূর্য যে স্বামী-স্ত্রী সেটা জেনে গেছে সোনাও। আর নিজের স্ত্রী অর্থাৎ ফুলমার সঙ্গে সূর্যর দুর্ব্যবহার একেবারেই মেনে নিতে পারিনি সোনা। কড়া কথা শুনিয়েছে সে।

এখন নিজেকে অনাথ ভেবে ভীষণ কষ্টে রয়েছে সোনা। এর‌ইমধ্যে সে একমাত্র বিশ্বাস করছে নিজের ফুলমা অর্থাৎ দীপাকে। আর দীপা ছাড়া এই মুহূর্তে সেনগুপ্ত বাড়ির কোনও সদস্যই সামলাতে পারছে না সোনাকে। আর সেই দীপাকেই প্রতিটা মুহূর্তে অপমান করে চলেছে সূর্য। আর মা মেনে নিতে পারেনি সোনা। সে বাবাকে স্পষ্ট জানায় ফুলমার সঙ্গে এইরকম ব্যবহার করলে সে কখন‌ই আয তার বাবার সঙ্গে কথা বলবো না।

আর প্রাণপ্রিয় সোনার মুখে এই ধরনের কথা শুনে হতচকিত হয়ে যায় সে। সোনার থেকে দূরে যাওয়ার কষ্ট কুরে কুরে খাচ্ছে সূর্যকে। আর তাই সবার সঙ্গে খেতে বসেও তার মুখে হাসি নেই। চেহারা জুড়ে উদাসীনতা। এক চামচ খাবার‌ও সে মুখে তুলতে পারছে না‌। আর বাবার কষ্টে মেয়ের কষ্ট হবেনা। আর তাই যথারীতি বাবার কষ্ট চোখ এড়ায়নি সোনার। সে নিজেও একটুও খাবার মুখে না তুলে বাবাকে খাইয়ে দিতে যায়। বাবাকে জড়িয়ে ধরে আদর‌ও করে। মান-অভিমান তো চলতেই থাকবে কিন্তু বাবা-মেয়ের ভালোবাসা যে চিরন্তন। সেই ভালোবাসা ভাঙার সাধ্যি নেই কারর।