সকলের সামনে শুক্লার কাছে ক্ষমা চেয়ে আবারও দুর্জয়ের মন জয় করে নিল রানী!
৮ই সেপ্টেম্বর স্টার জলসার (Star Jalsha) পর্দায় এসেছে ‘তোমাদের রানী’ (Tomader Rani)। ধারাবাহিকটি এক অন্যধরণের গল্প নিয়ে এসেছে দর্শকদের জন্য। ধারাবাহিকের প্রধান চরিত্রে রয়েছে রানী ওরফে ধারাবাহিকের নায়িকা অভিকা মালাকার (Abhika Malakar)। নায়কের চরিত্রে দুর্জয় (Durjoy) ওরফে অর্কপ্রভ রায় (Arkoprovo ray)। রানী নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে মায়ের স্বপ্ন পূরণ করতে চায়। রানীর ইচ্ছা ডাক্তার হওয়ার। ছোটবেলা থেকে সে পড়াশোনাতেও খুব ভালো।
দুর্জয়ের মনে জায়গা করে নিল রানী
রানীর বাবা রানীর বিয়ে সুবোধ বলে একটা ছেলের সঙ্গে ঠিক করে। রানী এখনই বিয়ে করতে চায় না। তাই সে ভেবে রেখেছে, কিছু না কিছু ভাবে বিয়েটা সে আটকাবে। এদিকে রানীর বন্ধু দেবযানীর (Debjani) বিয়ের জন্য তার বাড়িতে আসে রানী। আর সেখানেই দুর্জয়ের সঙ্গে দেখা হয় তার। দুর্জয় নিজেও একজন ডাক্তার। যদিও রানী ও দুর্জয়ের মধ্যে এখনও কোনও সম্পর্ক গড়ে ওঠেনি, তবে রানীর প্রতিভা দেখে দুর্জয়ের মনে রানী অল্প হলেও জায়গা করে নিয়েছে।
আমরা ধারাবাহিকের প্রোমো দেখে আগেই জেনেছি, এই রানীর সঙ্গেই বিয়ে হবে দুর্জয়ের। হয়তো নিজের স্বপ্ন পূরণ করার আশায় শেষমেশ দুর্জয়ের হাত ধরবে রানী। যদিও পরবর্তীকালে সন্তান মানুষ করার পাশাপাশি ডাক্তারি পড়াকে সাপোর্ট করবে না দুর্জয়। অন্যদিকে দুর্জয়ের মা শুক্লা (Shukla) রানীকে একেবারেই পছন্দ করে না।
শুক্লার কাছে ক্ষমা চাইল রানী
শুক্লার কথায়, এখনকার দিনের মেয়েরা কোনও নিয়ম – কানুন জানে না। আসলে দুর্জয়ের মা স্বনির্ভর মেয়ে পছন্দ করে না। বরঞ্চ যে ঘরের সব কাজ করবে, শাশুড়ির কথা শুনে চলবে, তাকে পছন্দ করে। এদিকে রানী নিজের পায়ে দাঁড়াতে চায়। সে ভুল দেখলে মুখের উপর প্রতিবাদ করে। রানীর এই ব্যবহারের জন্য শুক্লা রানীকে একেবারেই পছন্দ করে না।
আমরা দেখেছি, দেবযানীর বাড়িতে ডাকাত পড়ার সময় রানী নিজের পরিচয় লুকিয়ে ডাকাতদের সঙ্গে লড়ে তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেয়। আর তা দেখে শুক্লাও সেই মেয়ের প্রশংসা করে। এদিকে সেই মেয়ে যে রানী তা শুধুই দুর্জয় জানতে পারে। রানীর কথায় গোসা করে শুক্লা এবার খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করে বিয়ের দিনে খারাপ পরিস্থিতি তৈরী করল।
রানীর ব্যবহারে খুশি দুর্জয়
রানী নিজের রাগ কন্ট্রোল করে শুক্লার কাছে ক্ষমা চায় ও স্বীকার করে যে রানী ভুল ছিল। রানীর এরূপ ব্যাবহার ফের দুর্জয়ের মন জয় করে নেয়। ধীরে ধীরে রানী আর দুর্জয় কাছাকাছি আস্তে শুরু করেছে। হয়তো এভাবে দুর্জয়ের উপর রানী এতটাই ভরসা করে ফেলবে যে বিয়ের দিনে মণ্ডপ ছেড়ে পালিয়ে আসবে রানী। তবে এবার এটাই দেখার রানীর এই বিশ্বাস দুর্জয় কি আদোও রাখতে পারবে?