প্রাক্তন প্রেমিকের বাড়ি গিয়ে আর শ্বশুরবাড়ি ফিরতে পারল না শিমুল! শতদ্রুর রুমেই কাটাবে রাত

এই মুহূর্তে দর্শকপ্রিয় ধারাবাহিকের তালিকায় শুরুর দিকেই থাকছে ধারাবাহিক কার কাছে কই মনের কথা (Kar Kache Koi Moner Katha) । অত্যন্ত অল্প সময়ে এই ধারাবাহিকটি বাঙালি দর্শকদের মনের কাছাকাছি পৌঁছে যেতে সক্ষম হয়েছে। দর্শকরা অকপটে স্বীকার করছেন এই ধারাবাহিক তাদের মনের কথাই বলছে।

আজকের সমাজে দাঁড়িয়ে শিমুলের শ্বশুরবাড়ির মতো অত্যাচারী শ্বশুরবাড়ি হয়তো আর দেখা যায় না। কিন্তু একেবারেই কি নেই? অবশ‌্য‌ই আছে। আর আছে বলেই তো আজ‌ও খুন, আত্মহত্যার মতো ঘটনা গুলো রোজ খবরের কাগজের পাতায় জায়গা করে নেয়। সমাজের একশ্রেণীর মানুষ এই ধারাবাহিকে দেখানো ঘটনাগুলিকে বাড়াবাড়ি বলে মনে করলেও আজ‌ও যে সমাজে এই ধরনের ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটে চলেছে তা অস্বীকার করার ক্ষমতা কারর নেই।

না শুধুমাত্র নিম্নবিত্ত পরিবারে নয় বহু শিক্ষিত পরিবারেও আজও নারী নির্যাতন হয়। আর সেই ঘটনাকেই তুলে ধরা হচ্ছে কার কাছে কই মনের কথা ধারাবাহিকের মধ্যে দিয়ে। যেখানে শিমুলের স্বামী একজন শিক্ষক হয়েও বৌ পেটায়। একই অত্যাচার হয়েছে শিমুলের শাশুড়ি মায়ের উপরেও। আর তাই তিনি নিজেকে এক অদ্ভুত ভাবে শক্ত বানিয়ে ফেলেছেন যদিও মনটা এখনও নরম। মাঝেমধ্যেই কেঁদে ওঠে। কিন্তু মানসিকতা অনেকটাই নিজে অত্যাচারিত হয়েছি বলে ছেলের বউয়ের উপরেও অত্যাচার করব।

আরো পড়ুন: দীপা মেনে নিল সূর্যর সন্তানের মা হচ্ছে মিশকা! সূর্যকে ডিভোর্স দেবে দীপা! জমজমাট আজকের পর্ব

তবে মুখ বুঝে অত্যাচার সহ্য করা নয়। অত্যাচারীদের ওপর গর্জে ওঠাটাই কাম্য। আর সেটাই করে চলেছে সে শিমুল। নিজের শাশুড়ি স্বামী দেওরের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হয়েছে সে। তাদের বিরুদ্ধে মুখ খুলে সে নিজের জীবনকে নিজের মতো করে বাঁচার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আর সেই জন্যই তো তার প্রাক্তন প্রেমিক তাকে তার বোনের বিয়েতে নিমন্ত্রণ করে গেলে শ্বশুরবাড়ির নিষেধাজ্ঞাকে উড়িয়ে দিয়ে এসে সেই নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে গেছে। যদিও এই ক্ষেত্রে সে পাশে পেয়েছে নিজের শাশুড়ি মাকে।

নিজের স্বামী, দেওরের প্রতিরোধের বিরুদ্ধে গিয়ে শিমুল তার শাশুড়ি মাকে কথা দিয়ে গিয়েছিল সে রাত দশটার মধ্যে বাড়ি ফিরে আসবে। শিমুলের সঙ্গে রয়েছে তার প্রতিবন্ধী ননদ। কিন্তু কথা দিয়ে কথার খেলাপ করে ফেলল শিমুল। রাত বারোটা বাজলেও সে ফিরতে পারল না নিজের শ্বশুর বাড়িতে। যথারীতি তার বাড়ির না ফেরায় উদ্বিগ্ন তার শ্বশুর বাড়ির সবাই। পরাগ এবং পলাশ তো শিমুলের ওপর ভীষণ রেগে। কিন্তু কেন বাড়ি ফিরতে পারল না শিমুল? একটি গাড়িও তাকে কলকাতা থেকে শ্রীরামপুর নিয়ে যেতে চায়নি। আর সেই জন্যই এখনও পথে দাঁড়িয়ে শিমুল এবং পুতুল। এই ঘোর রাতে কোন বিপদে পড়বে না তো তারা? কি হবে কার কাছে কি মনের কথায়? জেনে নিন আগাম পর্ব!