টেলিভিশন তারকা হিসেবে আকাশছোঁয়া তার জনপ্রিয়তা। একের পর এক ধারাবাহিকে সফল অভিনয় করে তিনি মন জিতে নিয়েছেন বাঙালি দর্শকের। তার স্বতঃস্ফূর্ত অভিনয় সবাইকে মুগ্ধ করেছে। সেই সঙ্গে মানুষ হিসেবেও খাঁটি সোনা অন্বেষা। এই মুহূর্তে স্টার জলসার পর্দায় সন্ধ্যাতারা ধারাবাহিকে অভিনয় করে ফের একবার দর্শকদের দিল জিতে নিয়েছেন তিনি।
জমিদার বংশের মেয়ে তিনি। কলকাতায় অভিনয়ের সূত্র থাকতে হলেও আদি বাড়ি মেমারিতে। পড়াশোনা করেছেন চন্দননগরে। নামি অভিনেত্রী হয়ে গেলেও নিজের শিকড়কে কখনই ভুলে যাননি তিনি। আর তাইতো পুজোর পাঁচটা দিন তিনি সোজা চলে যান নিজের গ্রামের বাড়িতে। ভাই বোনেদের সঙ্গে আনন্দে মেতে ওঠেন।
গোটা বাংলা মেতে উঠেছে শারদোৎসবে। আকাশ বাতাস জুড়ে শুধুই পুজোর গন্ধ। আর এই পুজোর কটা দিনের জন্যই নিজের বাড়ি মেমোরিতে চলে যান অভিনেত্রী অন্বেষা হাজারা। অভিনেত্রী জানিয়েছিলেন, এটা আমাদের বাড়ির নিজস্ব পুজো। গ্রামের বাড়িতে পুজো হয়। মেমোরি থেকে আর একটু ভেতরের দিকে ধানখেরু গ্রাম। অভিনেত্রীর দাদুর বড়পিসি মাত্র পাঁচ বছর বয়সে স্বপ্নে এই পুজোর নির্দেশ পেয়ে ছিলেন। স্বপ্নে দেবী দুর্গা তাকে দেখা দিয়ে বলেছিলেন পুজোর কথা। আর তবে থেকেই এই পুজোর প্রচলন শুরু হয়।
অভিনেত্রী বাড়িতে পুজোর সময় বিশেষ ভোগ দেওয়া হয় লুচি। পুজোর পাঁচ দিন সারা গ্রামের লোককেই চার বেলা খাওয়ানো হয় তাদের পরিবারের তরফে। এমনকী পুজোর সময় বাড়ির সবার সঙ্গে খাবার পরিবেশনের দায়িত্বে থাকেন অভিনেত্রী নিজেও।
পুজোর এই পাঁচ দিন শুধুমাত্র নিজের পরিবারকে সময় দেন অভিনেত্রী। না বন্ধুদের সঙ্গে পার্টিতে মেতে ওঠেন না তিনি।অভিনেত্রীর কথায় পুজোর প্রতিটা বছর বাড়িতেই থাকি। কোনও বছরই পুজোতে বন্ধুদের সঙ্গে প্ল্যান থাকে না। বাড়িতেই আমার সমস্ত ভাই বোনেরা আসে, পিসিরা আসে, যারা বিদেশে থাকেন তারাও সবাই আসেন। পরিবারের সবার সঙ্গে খুব মজা হইহুল্লোড় হয়।