দিদির সঙ্গে অন্যায় হয়েছিল! ময়ূরীকে সঠিক পথে ফেরাতে এবার এক কঠিন সিদ্ধান্ত নিল মেঘ

এই মুহূর্তে জি বাংলার (Zee Bangla) পর্দায় চলা জনপ্রিয়তম ধারাবাহিকের নাম অবশ্যই ইচ্ছে পুতুল (Icche Putul) । এই মুহূর্তে বাঙালি দর্শক মন্ত্রমুগ্ধের মতো এই ধারাবাহিকটি দেখে চলেছেন। আসলে ভালো গল্প আর ভালো অভিনয়ের মিশেলে এই ধারাবাহিকটি অল্প সময়ে দর্শকদের মন জিতে নিয়েছে।

প্রাথমিক পর্যায়ে এই ধারাবাহিকের গল্প দর্শকদের মন জয় করতে ব্যর্থ হয়। আর সেই কারণেই এই ধারাবাহিক দেখার জন্য দর্শকদের এতটা আকর্ষণ। একটা সময় এই ধারাবাহিককে চূড়ান্ত খারাপ ধারাবাহিকের তকমা দিয়েছিলেন দর্শকরা। কিন্তু এই ধারাবাহিকের গল্পের প্লট পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে জমে উঠেছে এই ধারাবাহিকটি। যদিও ফের একবার এই ধারাবাহিককে ঘিরে বন্ধের গুঞ্জন উঠেছে। গল্পকে ইচ্ছাকৃতভাবে আর না বাড়িয়ে এবার দাঁড়ি টানা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

এই ধারাবাহিকের গল্পের নায়ক সৌরনীলের অপমানের শিকার শুধুমাত্র একা মেঘ হয়েছে এমনটা নয়। ময়ূরীও হয়েছে। বিয়ের মন্ডপে দাঁড়িয়ে ময়ূরীকে বিয়ে করতে অসম্মত হয়েছিল সৌরনীল। ময়ূরীর কাছে ছিল এক চূড়ান্ত পরাজয়, অপমান। যে নীল তাকে ফিরিয়ে দিয়েছিল সেই নীলের জীবনেই ফেরত যাওয়ার জন্য সে উঠেপড়ে লাগে ময়ূরী। কারণ সে সৌরনীলকে সত্যিকারেই ভালোবাসে।‌

মেঘকে বারবার অপদস্থ করার পিছনে যে মানুষটার কারসাজি রয়েছে, সেটা আর কেউ নয় ময়ূরী তা জানার পর ময়ূরীর সঙ্গে দ্বিতীয় বারের মতো বিয়ে ভেঙে যায় সৌরনীলের। আর সেই রাগে একটি ভুয়ো ভিডিওকে হাতিয়ার করে নীলকে জেলে পাঠানোর পরিকল্পনা করেছিল ময়ূরী। কিন্তু মেঘ এসে বাঁচিয়ে দেয় নীলকে। মেয়ের অধঃপতনের কথা জানতে পেরে ভেঙে পড়েন মেঘ-ময়ূরীর মা মধুমিতা। ছোট থেকে মেঘের থেকে অনেক গুণ বেশি তিনি ময়ূরীকে ভালবেসেছেন। মেঘকে অবহেলা করে ময়ূরীকে তিনি প্রাণ দিয়ে ভালবেসেছেন। আর এত ভালোবাসা পাওয়ার পরেও এইরকম শয়তানে পরিণত হয়েছে ময়ূরী দেখে ভীষণ কষ্ট পেয়েছেন মধুমিতা।

এই ধারাবাহিকের আগামী পর্বে দেখা যাবে, অনিন্দ্য ময়ূরীকে বলছে সে যেটা করে চলেছে সেটা একেবারেই ঠিক করছে না। তখন ময়ূরী তার বাবাকে বলে তার বাবা সব সময় মেঘের পক্ষ নেয় আর তাই নীলের সঙ্গে তার বিয়ে দেয়নি। এই শুনে অনিন্দ্য বলে, নীল মেঘকে ভালোবাসে আর তাই জন্যই সে এমনটা করেছে। নীলকে বিয়ে করে ময়ূরী সুখী হত না। এই কথা শুনে আরও রেগে যায় ময়ূরী। চায়ের কাপ ভেঙে দিয়ে বলে সে মেঘকে ছাড়বে না।

এরপর অন্যদিকে দেখা যায়, মেঘ তার মাকে বলছে দিদিকে ভালো করতেই হবে। ওকে যে কোন উপায়ে ভালো রাস্তায় ফেরাতেই হবে। যদিও অনিন্দ্য বাবু বলেন যার ভালো হওয়ার ইচ্ছে থাকে তাকে চিকিৎসক দেখিয়ে ভালো করা যায়। কিন্তু যে নিজেই ভালো হতে চায় না তাকে কি ভালো করব? তবে এবার একটা বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে মেঘ। ‌দিদির ভালোর জন্য বাড়ি ছাড়তে চলেছে সে। সে দূরে কোথাও চলে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছে যাতে তার দিদি তার সংস্পর্শ থেকে দূরে থাকে এবং ভালো থাকে।