পরাগ-পলাশের ভালোমানুষির মায়াজালে বিপাশা, শীর্ষারাও! ষড়যন্ত্র হচ্ছে বুঝেও অসহায় শিমুল

বাংলা টেলিভিশনের পর্দায় চলা এই মুহূর্তের জনপ্রিয় ধারাবাহিকের নাম অবশ্যই কার কাছে কই মনের কথা (Kar Kache Koi Moner Kotha) । দর্শকরা এই মুহূর্তে মজেছেন এই ধারাবাহিকে। টেলিভিশন প্রেমীরা এই ধারাবাহিকটিকে ভালোবাসা দিচ্ছেন বলেই জনপ্রিয়তার শিখর ছুঁয়েছে কার কাছে কই মনের কথা।

দারুণ পারফরমেন্স করে প্রত্যেক সপ্তাহে প্রথম পাঁচে তো রয়েইছে ধারাবাহিকটি। তার ওপর আবার পরপর দু’সপ্তাহ টিআরপি তালিকায় শীর্ষস্থান দখল করে ফেলেছে এই ধারাবাহিকটি। বলাই বাহুল্য, দর্শকরা ভালোবাসছেন বলেই এটা সম্ভব হয়েছে। আসলে ভীষণ রকমের বাস্তব থেকে গল্প আহরণ করা হয়েছে এই বাংলা ধারাবাহিকটির।‌

নারীদের উপর নি’র্যা’ত’ন নারীদের উপর অ’ত্যা’চা’র বা বধূ নি’র্যা’ত’ন, পরকীয়া ফুটে উঠেছে এই ধারাবাহিকের গল্পের মধ্যে দিয়ে। এই ধারাবাহিকের অন্যতম নায়ক বলা যায় খলনায়ক পরাগের মনে ধরেছে ঝকঝকে তরুণী প্রিয়াঙ্কাকে। ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে প্রেমালাপ, মন দেওয়া-নেওয়া। আর শিমুলকে তার প্রাক্তন প্রেমিক শতদ্রুর সঙ্গে রেস্তোরাঁয় দেখে ছবি তুলে রাখে প্রিয়াঙ্কা। যাতে শিমুলের ঘর ভাঙতে তার সুবিধা হয়। কারণ শিমুলের সঙ্গে পরাগের সম্পর্ক ভাঙলে সরকারি চাকুরে পরাগের গলায় ঝুলে যেতে পারবে সে। আর এটাই এখন তার লক্ষ্য।

প্রিয়াঙ্কার পরিকল্পনা অনুযায়ী পরাগ, পলাশ, ষড়যন্ত্র করেছে শিমুলকে অসম্মানিত করার। তাকে অসম্মানে বিঁধে বাড়ি থেকে দূর করার। কিন্তু কিভাবে? প্রথমে তীব্র ভালো মানুষি দেখিয়ে তারা শিমুলের মন জেতার চেষ্টা করছে। এরপর একই রকম ভালো মানুষ সেজে শিমুলের প্রাক্তন প্রেমিক শতদ্রুকে নিমন্ত্রণ করে আসে পরাগ। আর যা জানতে পেরে হতচকিত হয়ে যায় শিমুল। এ তে ভূতের মুখে রাম নাম। কোথাও গিয়ে তার মনে সন্দেহ দানা বাঁধে।

কিন্তু পরাগ-পলাশের নিখুঁত অভিনয়ের সামনে কিছুই করতে পারে না সে। পরাগ শিমুলের কাছে এসে বলে, আমি সত্যি আমার ভুল বুঝতে পেরেছি, আর তাই জন্যই আমি শতদ্রুকেও নেমতন্ন করে এসেছি। এই শুনে অবাক হয়ে যায় শিমুল। তখন আসল কথাটা বলে ফেলে শীর্ষা। সে পরাগকে জিজ্ঞেস করে, এই সবটাই কি মন থেকে নাকি সব লোক দেখানো? কাজ হাসিল করার ধান্দা? যদিও পরাগের উপর কিছুটা সন্দেহ কমে যায় তাদের।

কিন্তু একসঙ্গে দুই ভাইয়ের এতটা ভালো মানুষ হয়ে ওঠা কোনভাবেই হজম হয় না শিমুলের। পলাশের বিয়ে উপলক্ষে সবাই যখন আনন্দে মেতে ওঠে তখন সবার আনন্দ দেখে পরাগ মনে মনে বলে, “বাড়িটাকে তো উচ্ছন্নে পাঠিয়েই দিয়েছো। এবার এই দুটো দিন যা ইচ্ছে করে নাও শিমুল রানী, তোমাকে বধিবে যে, গোকুলে বারিছে সে।” তারা মে বিশাল কোন অনিষ্ট করতে চলেছে পরাগের এই কথাতেই তার প্রমাণ।

Back to top button