‘তোমরা আমার বিরুদ্ধে কিছু প্রমাণ করতে পারবে না’! মাকেই হুঁশিয়ারি ময়ূরীর

এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে বাংলা টেলিভিশনের পর্দায় যে ধারাবাহিকটি সবথেকে বেশি দর্শকদের মনোরঞ্জন করে চলেছে সেই ধারাবাহিকটির নাম হল ইচ্ছে পুতুল (Icche Putul)। বলাই বাহুল্য বাঙালি দর্শকরা এখন মুগ্ধ হয়ে এই বাংলা ধারাবাহিকটি দেখছেন। দারুণ রকমের জনপ্রিয়তা পেয়েছে এই ধারাবাহিকটি। এই ধারাবাহিকটি এক শ্রেনীর দর্শককুলের কাছে এই ধারাবাহিকটির ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে।

দর্শকরা এই মুহূর্তে এই ধারাবাহিকটি দেখতে খুবই ভালোবাসছেন। আসলে এই ধারাবাহিকের মধ্যে থাকা গল্প এবং গল্পের মধ্যে থাকা আকর্ষণ বাঙালিকে এই ধারাবাহিকটি দেখতে বিশেষভাবে বাধ্য করেছে। যদিও এই ধারাবাহিকটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার গুঞ্জন ছড়িয়েছে এখন সর্বত্র। শোনা যাচ্ছে আগামী মাসের শেষের দিকে এই ধারাবাহিকটি শেষ হয়ে যাবে।

এই ধারাবাহিকে একটি চরিত্রের ব্যাপক পরিবর্তন এখন দর্শকদের ভালো লেগেছে। শুরুতে এই ধারাবাহিকটিতে এই চরিত্রটিকে একেবারেই পছন্দ করতেন না দর্শকরা। তবে এখন এই চরিত্রটিই মন মাতাচ্ছে। বলাই বাহুল্য, এই ধারাবাহিকটিতে মেঘ-ময়ূরীর মা মধুমিতাকে দেখানো হয়েছিল যে সে বড় মেয়ে ময়ূরীর অন্ধ ভক্ত। আর ছোট মেয়েকে দু’চোখে সহ্য করতে পারে না।

তবে বর্তমান সময়ে তার পরিবর্তন চমকে দিয়েছে দর্শকদের। ময়ূরী তাকে ঠকিয়েছে। বারবার বিশ্বাস ভেঙেছে। ময়ূরী মেঘের ক্ষতি করেছে আর তাই তিনি ময়ূরীকে একেবারেই বিশ্বাস করতে পারছেন না। ময়ূরী যে মেঘের ক্ষতি করতে পারে এখন সেটা তিনি মনে প্রাণে বিশ্বাস করেন। এমনকি মেঘের আ’ত্ম’হ’ন’নে’র চেষ্টার পিছনে যে ময়ূরীর হাত রয়েছে তা বিলক্ষণ বুঝতে পেরে তিনি ময়ূরীকে বলেন, তার মনে হচ্ছে এই ঘটনার পিছনে ময়ূরী রয়েছে।

রূপের সঙ্গে ময়ূরীর কথোপকথন শুনে তিনি বলেন তিনি নিজে থানায় গিয়ে ময়ূরীর নামে এফআইআর করে আসবেন। আর নিজেই ময়ূরীকে পুলিশের হাতে তুলে দেবেন। আগামী পর্বে দেখা যাবে, মধুমিতা ময়ূরীকে বলছে, সেইদিন মধুমিতা ময়ূরীর প্রতি অন্ধ স্নেহের বশে পক্ষ নিয়েছিলো। আর নীলের সিদ্ধান্তকে ভুল বলেছিলো। কিন্তু এখন তিনি মনে করেন, নীল সেদিন যা করেছিলো ঠিক করেছিলো। মেঘই ওর যোগ্য। ময়ূরীর সঙ্গে নীল কখন‌ই সুখী হতে পারতো না।

যদিও মায়ের কথাগুলো বিষ মনে হয় ময়ূরীর। অসহ্য লাগে তার। এরপর মধুমিতা ময়ূরীর থেকে ওর ফোনটা চায় এটা দেখার জন্য যে, ময়ূরী কাকে ফোন করেছিলো। তখন ময়ূরী তার মাকে বলে, “তোমরা কিছুই প্রমাণ করতে পারবে না।” মেয়ের কথা শুনে চমকে ওঠেন মধুমিতা দেবী।