নীল সন্দেহ করবে জেনেও তাকে ভুলতে পারছে না মেঘ! ফের নীলের জন্য মেঘের মনে উঁকি দিল ভালোবাসা

বাংলা টেলিভিশন প্রেমীদের কাছে দারুণ রকমের জনপ্রিয়, উৎকৃষ্ট একটি সিনেমা হল ইচ্ছে পুতুল। বলাই বাহুল্য, এই ধারাবাহিকের মধ্যে থাকা দুঃখ, কষ্ট, আনন্দ, ভালোবাসা, প্রেম, বন্ধুত্ব, শত্রুতা মুগ্ধ করেছে দর্শকদের। জি বাংলার পর্দায় অন্যতম জনপ্রিয় এবং দর্শক প্রিয় ধারাবাহিকের নাম হল ইচ্ছে পুতুল (Ichhe Putul)। বলাই বাহুল্য, এই ধারাবাহিকটি এই মুহূর্তে বাঙালি দর্শকদের মনে দারুণ রকম প্রভাব বিস্তার করেছে।

এই ধারাবাহিকটি দেখতে ভীষণ পছন্দ করেছেন। আর করাটাই বোধহয় উচিত। কারণ বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে এই ধারাবাহিকের প্রত্যেকটি পর্ব উত্তেজনায় ভরপুর। এই ধারাবাহিকের গল্পে রয়েছে
টানটান রোমাঞ্চ, উত্তেজনার দুর্দান্ত মিশেল। এই ধারাবাহিক দেখতে এতটাই বেশি পছন্দ করছেন বাঙালি দর্শকরা। বলা ভালো ভালো গল্পের আকর্ষণ দুর্নিবার।

রূপ এবং ময়ূরীর ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে এতদিন পর্যন্ত বিছানায় শুয়ে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়েছে মেঘ। ভীষণই ক্ষীণ হয়ে ওঠে তার বাঁচার আশা। চিকিৎসক মেঘের বাবাকে জানিয়ে দিন দিয়েছিলেন, ‘আপনাকে আর কোনও মিথ্যে আশা দেবোনা। মেঘের শরীর ব্যাকটেরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে গেছে। ওর হাতে একেবারেই সময় নেই।’ আর যথারীতি চিকিৎসকের মুখে এই কথা শুনে মেঘের বাবা খুব ভয় পেয়ে যান।

অন্যদিকে মেঘের বর্তমান অবস্থা বদলে দিয়েছে সন্দেহবাতিক নীলকে। মেঘের প্রতি সে যে অন্যায় করেছে, অবিচার করেছে সেটা যেমন সে বুঝেছে, তেমনই নীলের মেঘের জন্য ভালোবাসাও খাঁটি। যে ভগবানে বিশ্বাসী নয়, সে মেঘের জন্য ঠাকুরের কাছে গিয়ে প্রার্থনা করে ঠাকুরের ফুল নিয়ে মেঘের কাছে আসে।

শুধু তাই নয়, মেঘের কাছে গিয়ে তার মাথায় ঠাকুরের ফুল ঠেকিয়ে দেয়। ঠাকুরের আশীর্বাদী ফুল মেঘের মাথায় নীল ছোঁয়ানোর কিছুক্ষণের মধ্যেই জ্ঞান ফিরে আসে মেঘের। এরপর নীল মেঘের ঘরে যায়। আর সেখানেই তারা নিজেদের মতো করে বেশ কিছুটা সময় কাটায়। আবার‌ও নীলের প্রতি দুর্বলতা বাড়ে মেঘের। যদিও সে মনে মনে বলতে থাকে, ‘তোমাকে দেখলেই আমার মনে কেমন একটা হয়, তুমি আমাকে সন্দেহ করবে, অবিশ্বাস করবে জানি তা সত্ত্বেও তোমাকে ভুলতে পারছি না। আমাদের সম্পর্কটা কেন এমন হল বলতো?’