স্টার জলসার (Star Jalsha) জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘সন্ধ্যাতারা’ (Sandhyatara)। সম্প্রতি ধারাবাহিকের গল্পে হয়েছে বিরাট বদল। লেখিকা সাহানা দত্ত বদলে দিয়েছেন সম্পূর্ণ প্লট। যেহেতু এটি একটি রিমেক ধারাবাহিক তাই গল্পে নতুন চমক আনতেই উলাটপুরান। আমরা দেখেছি, সন্ধ্যা নীল ও তারার থেকে দূরে যাচ্ছে তখন নীল বুঝতে পারে সে অজান্তেই ভালবেসেছে সন্ধ্যাকে। তাই এবার তাই সন্ধ্যাকে ফিরে মরিয়া হয়ে উঠেছে সে। এদিকে সন্ধ্যাও এক দুর্ঘটনায় নিজের স্মৃতি শক্তি হারিয়েছে।
সেই সুযোগের সৎ ব্যবহার করেছে বিজয়া মাঠান। সম্পত্তির জন্য তারাকে বিয়ে করেছে অঙ্কন। আর তাই তারা তাঁদের বাড়িতে ঢুকতেই শুরু হয় তাঁর উপর অত্যাচার। অন্যদিকে, সন্ধ্যার স্মৃতি শক্তি এখনও ফেরেনি। ডাক্তারবাবু জানিয়েছে, সন্ধ্যার কোনো শরীরিক কষ্ট নেই। মাথার পিছনে বারংবার আঘাত পেয়ে সে স্মৃতি শক্তি হারিয়েছে মাত্র। তবে খুব তাড়াতাড়িই হয়ত তাঁর স্মৃতি ফিরে আসবে।
এই কথা শুনে ঈশ্বর মনে মনে ভাবে, না না! এমনটা কিছুতেই হতে দেওয়া যাবে না। সন্ধ্যার স্মৃতি ফিরে এলে আমিতো প্রথম জেলে যাব। এদিকে, তারার শ্বশুরবাড়ি থেকে চাপ দিতে থাকে সন্ধ্যার উপর। তাঁদের একমাত্র লক্ষ্য বিজয়া মাঠানের সম্পত্তি। এদিকে, সন্ধ্যার শরীর নিয়ে চিন্তিত নীল। স্ত্রীকে সারিয়ে তুলতে যার পর নাই চেষ্টা করে চলেছে সে।
সন্ধ্যাকে ঠিক সময়ে ওষুধ দেওয়া, সে ঠিক সময় খাচ্ছে কিনা সবটার দেখভাল করছে সে। ইন্টারনেট দেখে জিওল মাছের ঝোলও রান্না করবে সে সন্ধ্যার জন্য। সবাই তাঁকে সাবধান করে জিওল মাছ কাঁটা কিন্তু দুস্কর। অভ্যেস না থাকলে জিওল মাছ কাঁটা মেরে দেয়।
আরও পড়ুনঃ প্রাইম টাইম পেয়েও কপাল পুড়লো স্টার জলসার নতুন ধারাবাহিকের, কেন সম্প্রচার বন্ধ রাখার নির্দেশ দিল চ্যানেল?
এদিকে, কনে বেশে লাহিড়ী বাড়ির গাড়ি নিজেই চালিয়ে দিয়ে যায় তারা। কিন্তু যাওয়ার সময় হঠাৎই তার দেখা হয় সন্ধ্যার সঙ্গে। সন্ধ্যা তারাকে চিনতে পারেনি। তারা তাঁকে চাবিটা দিয়ে বলে বিজয়া মাঠানকে দিয়ে দিতে। দুই বোনের দেখা হলেও, সন্ধ্যা কিছুতেই মনে করতে পারেনা পুরোনো কথা। ঘরে ফিরে এসে সন্ধ্যার মাছের গন্ধে গা গুলোতে থাকে। ফের অসুস্থ হয়ে পড়তে শুরু করে সে। নীল ডাক্তারকে ফোন করে। কেন এমন হচ্ছে সন্ধ্যার?
View this post on Instagram