দীপার প্রশ্নবাণের মুখে সূর্য, “আপনি থাকতে রূপার এই অবস্থা হলো কী করে?” দীপার প্রশ্নে অপ্রস্তুতে সূর্য

প্রতিহিংসা মানুষকে অন্ধ করে দেয়। যুক্তিসংগত, স্বাভাবিক ভাবনা-চিন্তা করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে মানুষ। স্টার জলসার (Star jalsha) ‘অনুরাগের ছোঁয়া’ (Anurager Chowwa) ধারাবাহিকের নায়ক সূর্যেরও খানিক এমনই অবস্থা। গল্প অনুযায়ী, এই মুহূর্তের সূর্যের কাজ কারবার দেখে দর্শক মহলের একাংশ তাঁকে ভিলেন হিসেবেই গণ্য করছে।

এই মুহূর্তে সোনা-রূপার কাষ্টডি সূর্য-দীপার নিয়ে যখন লড়াই তুঙ্গে। সূর্যের মত, সন্তান মানুষ করার জন্য প্রয়োজন অর্থের। আর দীপার সেই আর্থিক সামর্থ্য নেই। টাকার অহংকারে অন্ধ সূর্য ভাবে মায়ের ভালোবাসা, মায়া-মমতা, শিক্ষার সন্তানের বেড়ে ওঠার জন্য নিষ্প্রয়োজনীয়। আর সাম্প্রতিক পর্বে এসবের অভাবেই মৃত্যুর দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে ছোট্ট রূপা।

রূপাকে বাঁচাতে দরকার এবি নেগেটিভ রক্তের। যেনতেন প্রকারে দীপা মেয়ের জন্য জোগাড় করে আনে সেই বিশেষ প্রকারের রক্ত। রূপার অবস্থা ভালো নয়। যত সময় বইছে, অবস্থার অবনতি হয়ে চলেছে তাঁর। মেয়ের এহেন অবস্থা দেখে ভেঙে পড়ে দীপা। কাঁদতে কাঁদতে পাগলের মত অবস্থা হয়েছে তাঁর। মেয়েকে জন্ম দেওয়ার মুহূর্তগুলি ফ্ল্যাশব্যাকে ফিরে ফিরে আসতে থাকে মনের মধ্যে। ঈশ্বরের কাছে একটাই প্রার্থনা রূপা যেন সুস্থ হয়ে যায়।

আরো পড়ুন: তুমি অন্য কারর সঙ্গে বেঁধো ঘর! শতদ্রুকে চিরকালের মতো ফিরিয়ে দিল শিমুল

অন্যদিকে অর্জুন জানায়, রূপার অবস্থা মোটেই ভাল না। মাথার চোট গুরুতর হওয়ার দরুন কোমায় চলে গিয়েছে সে। তাই ব্রেইনে একটা সার্জারি অবশ্যক। নাহলে অবস্থা আরও বেগতিক হতে পারে। এসব শুনে দিশেহারা লাগে দীপার। কী করবে ভেবে উঠতে পারে না। ওইটুকু মেয়ের সার্জারি? ভয় পায় দীপা। এরপর সেখানে আসে সূর্য।

অপারেশনের কথা শুনে সে বাধা দেয়। তাকে বোঝানো হয় রূপাকে অন্য জায়গায় শিফট করলে অবস্থা আরও বেগতিক হতে পারে। প্রাণ সংশয় দেখা দিতে পারে রূপার। আর তখনই দীপা সূর্যকে প্রশ্ন করে, “রূপাতো আপনার দায়িত্ব ছিল, তাহলে ওর এত বড় ক্ষতি কি করে হলো?” সূর্যের বাবাও তাঁকে বলেন, এইমুহূর্তে বিষয়টিকে অদেখা করা হলেও, এই প্রশ্নের সম্মুখীন যে তাঁকে হতে হবে না এমনটা নয়।

 

 

View this post on Instagram

 

A post shared by Star Jalsha (@starjalsha)