শতদ্রু আর শিমুলের সম্পর্ক নিয়ে কাটা-ছেঁড়া হচ্ছে আদালতে। জি বাংলার (Zee Bangla) ‘কার কাছে কই মনের কথা’ (Kar Kache Koi Moner Katha) ধারাবাহিকের গল্পে চলছে সম্পর্কের জটিলতা। পরাগের আইনজীবী অনিরুদ্ধ শতদ্রু আর শিমুলের বিতর্কিত ছবি দাখিল করেছে মাননীয় বিচারকের সামনে।অপরদিকে, শিমুলের সম্মান বাঁচাতে তৎপর আইনজীবী অনুরাধা। কোনো মতেই, সে চায় না কেসটির রদ বদল ঘটুক। কেসটি পরাগের দিকে ঘুরুক। তাই যারপরনাই চেষ্টা করছে সে।
যে বিতর্কিত ছবিগুলি অনিরুদ্ধ আদালতে দিয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে শিমুল শতদ্রুকে মিষ্টি খাওয়াচ্ছে। যে ছবিতে কোনো অশালীনতা নেই। তবুও, আদালত সে ছবি গ্রাহ্য করেছে। এদিকে, পরাগের বিরুদ্ধে সাক্ষী দিয়েছে তার স্কুলের হেডমাস্টার। জানান, পরাগ বরাবরই কিপ্টে।
স্কুলের কোনও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অর্থদান করে না। স্কুলে মিউ মিউ করলেও বাড়িতে বেশ প্রভাবশালী সে। এবার শিমুল হেডমাস্টারের কাছে পলাশের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে। শিমুল তার কন্যাসম। যতটা তিনি শিমুলকে দেখেছেন তার খারাপ মনে হয়নি। এমনকি পরাগবাবুর মতো কাটখোট্টা লোকের স্ত্রী কি করে শিমুল হল এই নিয়েই দুঃখপ্রকাশ করেন তিনি।
কোর্টে চলতে থাকে টানটান ড্রামা। হেডমাস্টারের বয়ানের ভিত্তিতে পরাগের দিক থেকেও কেস ঘুরে আসে। এদিকে, অসুস্থ পুতুল খোঁজ করতে থাকে তার বউয়ের। প্রতীক্ষাকে আজকাল দু’চোখে সহ্য করতে পারেনা সে। সে জানে পরাগকে প্রতীক্ষাই বিষ দিয়েছে। আর শিমুলকে এও বাড়ি থেকে বের করেছে। এই নিয়ে হরদম মধুবালা আর প্রতীক্ষার সঙ্গে কথা কাটাকাটি লেগে থাকে তাদের।
এদিকে, প্রতীক্ষার ব্যবহারে তাকে বারবার সন্দেহ করতে বাধ্য হচ্ছে মধুবালা। প্রতীক্ষার ব্যবহার তাকে মনে করিয়ে দেয় শিমুলকে। পুতুলের কথায় সেই সন্দেহ আরও ঘনীভূত হয় মধুবালার মনে। এবার কি তবে শিমুলের খেলাপ সাক্ষী দিয়ে কি পস্তাবেন মধুবালা?