উচিৎ জব্দ! প্রতীক্ষাকে শিক্ষা দিতে মধুবালার দেবীর কাছে পুতুলকে বিয়ে করার প্রস্তাব তীর্থঙ্করের!

জি বাংলা (Zee Bangla) ধারাবাহিক ধারাবাহিক কার কাছে কই মনের কথায় (Kar Kache Koi Moner Kotha) একদিকে শিমুলের জীবনে নেমে এসেছে বিপদ। পরাগকে বিষ খাওয়ানোর অভিযোগে আনা হয়েছে তার ওপর। প্রথম শুনানিতে মধুবালা দেবীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে অনির্বাণ। তারপর কাঠগড়ায় ডাকা হয় কাকিমা, বিপাশা, পরাগ এবং পরাগের স্কুলের প্রধান শিক্ষকে জিজ্ঞাসাবাদ করে অনির্বাণ এবং আরাধনা। সকলেই জানায় যে শিমুল খুব ভালো মেয়ে এবং এইরকম কাজ সে করতে পারেনা শুধু পরাগ এবং মধুবালা দেবী বলেন যে।শিমুল এইরকম কাজ করেছে।

একদিকে যেখানে শিমুলের জীবনে ঝড় উঠেছে প্রতীক্ষার জন্য, অন্যদিকে প্রতীক্ষার জন্য ভালো নেই পুতুলও। প্রতীক্ষার ধাক্কায় টেবিলের চোট লাগে পুতুলের। জ্বরে কারণে অসুস্থ হয়ে পরে পুতুল। বাড়ির সকলে তাকে নিয়ে চিন্তা করলেও সেই দিকে ভ্রুক্ষেপ নেই প্রতীক্ষার। পুতুল খালি একবার শিমুলকে দেখতে চাইছে কিন্তু শিমুলকে ব্যানার্জী বাড়িতে ঢুকতে দেবেনা জানিয়ে দিয়েছে প্রতীক্ষা আর পলাশ। মধুবালা দেবীও দেখছে তার বউমা কতটা নির্দয় কিন্তু তবুও কিছু করতে পারেছেন না তিনি।

ব্যানার্জী বাড়িতে চলে এসেছে তীর্থঙ্কর। হ্যাঁ এইরকমই আজকের পর্বে দেখতে চলেছেন আপনারা। পর্বের শুরুতেই দেখা যায় ডাক্তার পুতুলকে বলেছে ফল খেতে কিন্তু ফল কিনে আনতে দিচ্ছে না প্রতীক্ষা। পলাশও বারণ করে দেয় মাকে। তখন মধুবালা দেবী বলেন তিনি তাদের পয়সায় খান না তিনি তার পেনশনের টাকায় খান তাই সেই টাকায় তার মেয়ের ফল আসতে পারে। তখনই পুতুল মধুবালা দেবীকে জানিয়ে দেয় যে প্রতীক্ষা আর পলাশ ঘরের দরজা বন্ধ করে ফল খায়। তখন মধুবালা দেবী রেগে যান তাদের ওপর। বলেন নিজেরা ঘরে বসে ফল খেতে পারিস কিন্তু নিজের অসুস্থ দিদিকে ফল দিতে পারিস না।

তখন পুতুল বলে আমার বউ থাকলে এইরকম কখনওই হত না। ও থাকলে আমি রোজ ফল খেতে পেলাম। সেই কথা শুনে রেগে যায় প্রতীক্ষা বলে বউ আর কখনও আসবে না আর আমরা খাই আমাদের টাকায় তাতে তোমার কি? সেই সময়ই বাড়িতে চলে আসে তীর্থঙ্কর। আসেই পুতুলের হাতে ফল দিয়ে বলে এখানে বেশি ফল নেই, কিন্তু যা আছে তুমি খেও। পুতুল তাকে জিজ্ঞাসা করে এতদিন সে আসেনি কেন? তার উত্তরে সে বলে সে ব্যস্ত ছিল একটা কাজে তাই আসেনি। তখন প্রতীক্ষা বলে আপনি এখানে কেন এসেছেন, আপনাকে এখানে আসতে বারণ করা হয়েছে না?

তখন তীর্থঙ্কর বলে “আপনি বেশি কথা বলবেন না আমায় তুতুল সব বলেছে, আপনার বরের সঙ্গে আপনার এই সাজানো ঘর ভাঙতে আমার সময় লাগবে না। আমার কাছে যা ছবি আছে দেখিয়ে দিলেই আপনার খেলা শেষ।” এই কথা শুনে ঘাবড়ে যায় প্রতীক্ষা, কিন্তু পলাশ রেগে বলে ছবিগুলো দেখতে তখন তীর্থঙ্কর বলে সময় এলে দেখব। তারপর প্রতীক্ষা টেনে নিয়ে চলে যায় পলাশকে। আর মধুবালা দেবীর কাছে তীর্থঙ্কর পুতুলকে বিয়ে করার প্রস্তাব দেয়। পুতুলে এবং মধুবালা দেবী খুব খুশি হয়। তবে কি মনে হয় আপনাদের প্রতীক্ষা জব্দ করার জন্যওই কি এই পরিকল্পনা করেছে তীর্থঙ্কর?