পরকীয়ায় আসক্ত স্বামীকে এবার জব্দ করবে বিপাশা!চন্দনের কু‘কীর্তির কথা জেনে তাকে উচিত শিক্ষা দেওয়ার সিদ্ধান্ত তার!

জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক কার কাছে কই মনের কথায় (Kar Kache Koi Moner Kotha) জ্ঞান ফিরেছে পরাগের এবং পুতুলের বিদায়ের পর শিমুলকে নিয়ে মধুবালা দেবী চলে আসেন পরাগকে দেখতে। তাকে এই সবস্থায় দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন মধুবালা দেবী। তিনি পরাগকে বলতে থাকেন সব ঠিক হয়ে যাবে। সেটা শুনে অসহায়ের মতো একটি হাসি দেয় পরাগ। কারণে সে জানিয়ে তার হয়তো অনেকটাই ক্ষতি হয়ে গেছে জীবনে। মধুবালা দেবী তথ্য পরাগকে বলে তাড়াতাড়ি সুস্থ হতে তার পরিস্থিতি তিনি আর চোখে দেখতে পারছেন না।

সেটা শুনে পরাগ বলে ওসব ভাবতে না সে মরতে মরতে বেঁচে ফিরেছে এটাই অনেক। সেটা শুনে মধুবালা দেবী বলেন এসব কথা না বলতে। তখন মধুবালা দেবী শিমুলকে জিজ্ঞাসা করেন তিনি পরাগকে হাটিয়ে বাড়ি ইয়ে যেতে পারবেন কিনা। সেটা শুনে পরাগ বলে সেটা আর সম্ভব নয়, আমি কার কোনও দিনও হাটতে পারবো না। সেটা শুনেই আরও ভেঙে পড়েন মধুবালা দেবী। পরাগ তাকে বলে শিমুলকে জিজ্ঞাসা করতে। তিনি শিমুলের দিয়ে ভরসার চোখে তাকাল শিমুল তাকে বলেন ডাক্তার তাই বলেছে যে সেটা হয়তো এখনও সম্ভব নয়।

তখন মধুবালা দেবী বলেন তাহলে আমাদের কি করে চলবে। তখন শিমুল তাকে আশ্বাস দিয়ে বলে সে সবটা সামলে নেবে প্রয়োজনে আরও ভালো জায়গায় ডাক্তার দিয়েছে পরাগের চিকিৎসা করবে। সেটা শুনেই পরাগ বলে ওঠে সেটা সম্ভব নয়, মিথ্যে আশ্বাস দিও না, আমার কাছে এত বেশি টাকা নেই যে আমি চিকিৎসা করব। তখন মধুবালা দেবীও বলেন আমার কাছে যেইটুকু আছে আমি সেটা দিয়েই চেষ্টা করবো পরাগকে সুস্থ করার। তখন শিমুল তাকে বলে এখনও তিনি যেন তার সব টাকা খরচ না করেন শিমুল তাদের পাশে সবসময় থাকবে। সে একটা ব্যবস্থা করছে।

তারপর মধুবালা দেবী পরাগকে বলেন শিমুল সত্যি খুব ভালো মেয়ে তবে সে তার হেলায় শিমুলকে হারিয়েছে। তখন পরাগও তাকে সমর্থন করে বলে সবটা তার দোষ, সে একসময় শিমুল, মধুবালা দেবী এবং পুতুলকে অত্যাচার করেছে তাই আজ তার এই দশা হয়েছে। সেটা শুনেই শিমুল বেরিয়ে যায় ওখান থেকে। বিপাশাদের বাড়িতে পৌঁছালে বিপাশা তার ওপর চড়াও হয় এবং বলে সে চন্দনের নামে মিথ্যা অভিযোগ করেছে। চন্দন তাকে বলেছিল শিমুলের সঙ্গে মিশতে না কিন্তু সে শোনেনি। শিমুল তখন তাকে বলে সে সবটা জানাবে তাকে। শীর্ষা আর সুচরিতা শিমুলকে আটকানোর চেষ্টা করলেও শিমুল থামে না।

শিমুল বিপাশাকে বলে চন্দন তাকে ঠকাচ্ছে। সেটা শুনেই শিমুলকে একটা চড় মারে বিপাশা, বলে শিমুল নিজেই শতদ্রুকে ঠকাচ্ছে। যে তার জন্য এত করল তাকে ভালোবাসার কথা বলে শিমুল আবার পরাগের কাছে ফিরে যেতে চাইছে। তখন শীর্ষা বলে শিমুলকে চড় মারাটা উচিত হয়নি কারণ সে ঠিক বলেছে। তখন সেটা শুনে অবাক হয়ে যায় বিপাশা। শিমুল বলে চন্দনের আর একটা বাড়ি আসে সেখানে সে তার স্ত্রী আর মেয়ের সঙ্গে থাকে।

আরো পড়ুন: অনুরাগে কুমার বধ! নারী পাচারের মতো ঘৃণ্য অপরাধের জন্য তাকে উচিত শিক্ষা দিল দীপা

বিপাশা ঝামেলা করবে সেই জন্যই সে বিপাশাকে কিছু জানতে দেয়নি। বিপাশা সেই বাড়িতে গেলেই সবটা জানিতে পারবে। সেটা শুনে বিপাশা বলে যদি এটা হয় তবে সে চন্দনকে উচিত শিক্ষা দেবে। তাহলে কি মনে হয় আপনাদের কি করবে এবার বিপাশা? সত্যিটা কি আসবে তার সামনে?