জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক কার কাছে কই মনের কথায় (Kar Kache Koi Moner Kotha) পুতুলকে বিদায় দিয়েই পরাগের কাছে চলে এসেছে শিমুল আর মধুবালা দেবী। পরাগ মধুবালা দেবীকে বলেন “শিমুল যদি আজ বন্ড সই না করত তাহলে হয়তো আমি বেঁচে ফিরতাম না। আমি ওকে অত অপমান করেছি কিন্তু শিমুল আমায় কখনও অপমান করেনি এমনকি সবসময় আমায় বাঁচিয়েছেন আমাদের সকলের ভালো চেয়েছে।” তখন মধুবালা দেবী বলেন এসব করেও পলাশ তাকে অনেক অপমান করেছে। এমনকি পলাশ তাকে হাসপাতালেও অনেক অপমান করেছে।
তখন শিমুল বলে পরাগের জায়গায় অন্য লোক থাকলেও সে এইটাই করত তখন পরাগ তাকে বললে এটা জানে সে তবে সে এত ভুল করার পরও তার জন্য সে এত কিছু করলে এটা ভেবেই সে খুব খুশি। মধুবালা দেবী বলেন “তাহলেই দেখ তুই শুধু শুধু ওদের কথা শুনে সবসময় বউমাকে কষ্ট দিয়েছিস।” তখনই মধুবালা দেবী বলেন পরাগকে তিনি সুস্থ করে বাড়ি নিয়ে যাবেন। তখন পরাগ বলে তার বড় অক্সিডেন্ট হয়েছিল এরকম পরিস্থিতি অন্য কারোর হলে তার পা থাকত না। তবু তো তার মা আছে কিন্তু সে আর হাঁটাচলা করতে পারবে না।
সেটা শুনেই মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে মধুবালা দেবী। তিনি বলতে থাকেন কিভাবে তাদের চলবে তাহলে। শিমুল তাকে আশ্বস্ত করিয়ে বলে সে থাকবে তাদের পাশে। শিমুল এও জানায় যে ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলবে সেই বিষয়ে। তখন পরাগ তাকে বলে তার জন্য অনেক টাকা লাগবে আর তার কাছে এত টাকা নেই। তখন মধুবালা দেবী বলেন তিনি লোকের বাড়ি বাসন মেজে হলেও পরাগের চিকিৎসা করাবেন তখন শিমুল বলে সে থাকতে আসে কিছু করতে হবে না তাকে। সে ওই বাড়িতে না থাকলেও এই পরিস্থিতিতে তাদের ছেড়ে যাবে না। সে থাকবে তাদের পাশে এই বলে শিমুল চলে যায় ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলতে।
পরের দিন সকালে শিমুলকে টেনে নিয়ে আসে বিপাশা জিজ্ঞাসা করে সে কেন করতে এরকম। শিমুল তাকে শান্ত করার চেষ্টা করে কিন্তু তিনি শান্ত হতে পারেননা। তিনি বলেন শিমুলকে খারাপ কথা বলতে থাকেন। তিনি বলেন শিমুলের ওপর রেগে গেছে চন্দন। সে বলেছে শিমুলকে বাড়ি থেকে বের করে দিতে। শিমুল কেন বারবার তার স্বামীর বিরুদ্ধে এরকম অভিযোগ আনছে। শিমুল নিজে শতদ্রুকে ঠকাচ্ছে। তাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে এখনও পরাগকে নিয়ে পড়ে আসছে তাহলে শিমুল কেন তার সংসার ভাঙতে চাইছে।
আরো পড়ুন: বুড়ো বরকে বিয়ে করছেন দুজনেই! কী ভাবে সামলাবে?বিয়ের পর কচি শ্রীময়ীকে টিপস দিলেন দোলন রায়
তখন শিমুল বলে সে তাকে ভুল বুঝছে। শীর্ষা আর সুচরিতাও শিমুলকে থামানোর চেষ্টা করে কিন্তু সে বিপাশাকে বলে দেয় যে চন্দন তার স্বার্থে শিমুলকে বাড়ি থেকে বের করছে কারণ শিমুল জেনে গেছে চন্দন অন্য জায়গায় বিয়ে করে সংসার করছে আর যাতে বিপাশা তাকে সন্দেহ না করে তাই সে এরকম করছে। সবটা শুনেই খুব রেগে যায় বিপাশা আর শিমুলকে চ’ড় মারে। তখন শির্ষা বলে শিমুলকে চ’ড় মারা তার ঠিক হয়নি। কারণ শিমুল ঠিকই বলেছিল সেটা বিপাশা বলে তার ভুল হয়েছিল এরকম বান্ধবী করা। তাহলে কি মনে হয় আপনাদের এবার কি করবে বিপাশা? শিমুল কি প্রমাণ করতে পারবে চন্দনের উদ্দেশ্য?