ফাঁস হয়ে গেল পলাশ-প্রতীক্ষার কেলেঙ্কারি! শেষমেশ নিজেদের করা অপরাধ স্বীকার করল কুটিল জুটি! কি শাস্তি রয়েছে তাদের কপালে?

Kar Kache Koi Moner Kotha Today Episode: অর্গানিক স্টুডিওর (Organic Studio) প্রযোজিত জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক কার কাছে কই মনের কথা (Kar Kache Koi Moner Kotha)। একের পর এক নতুন চমকে জমে উঠেছে চার বন্ধুর গল্প। একদিকে শিমুল অন্যদিকে বিপাশা দুই বান্ধবীর জীবনেই এসেছে আঁচড়ে পড়ছে ঝড়। চন্দনের সঙ্গে নিজের বিয়ে ভাঙার সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছে বিপাশা। আর শিমুলের জীবনেও আবার ফিরে এসেছে তাঁর সবচেয়ে বড় শত্রু প্রতীক্ষা।

প্রতীক্ষা বাড়িতে ফিরেই পলাশের সাহায্য শিমুলকে মে’রে ফেলার পরিকল্পনা করে। যদিও সফল হয়নি প্রতীক্ষার পরিকল্পনা। ঘটনাস্থলে শিমুলকে বাঁ’চাতে চলে আসে পরাগ। তারপরই পুলিশকে সবটা জানিয়ে দেয় শিমুল। সে পুলিশকে এটাও জানায় যে সে প্রতীক্ষা আর পলাশকে সন্দেহ করে। এরপরই পুলিশ শুরু করে তদন্ত।

কার কাছে কই মনের কথা আজকের পর্ব ৭ মে (Kar Kache Koi Moner Kotha Today Episode 7 May)

ইতিমধ্যেই ধারাবাহিকে দেখা গেছে বিপাশার জন্য অপেক্ষা করতে থাকে শিমুল, সুচরিতা আর শীর্ষা। তখন সুচরিতা সবাইকে জানায় সে স্টেশন চত্বরে একটা দোকান নিয়েছে তাঁর শাড়ির ব্যবসার জন্য। সেইসময় সেখানে চলে আসে বিপাশা। সে শিমুলকে বলে এবার সে মুক্ত। তাঁদের ডিভোর্স হয়ে গেছে। তখন সেখানে চলে আসে চন্দন আর বিপাশাকে নিয়ে বাড়ি চলে যায়।

চন্দনের বাড়ি গিয়ে নিজের জিনিসপত্র গুছাতে করতে শুরু করে বিপাশা। তখন চন্দন তাঁকে বাধা দিয়ে বলে সে যে এই বাড়ি ছেড়ে না যায়। কিন্তু বিপাশা তাঁকে জানিয়ে দেয় তাঁদের ডিভোর্স হয়ে গেছে। চন্দন এবার তাঁর স্ত্রী এবং সন্তান নিয়ে ঘর করতে পারবে। তখন বিপাশার কাছে চলে আসে মধুরিমা। সে বিপাশাকে অনুরোধ করে বলে থেকে যেতে। চন্দনের মাও কান্নাকাটি করতে থাকে কিন্তু বিপাশা জানিয়ে দেয় সে চলে যাবে।

আরও পড়ুনঃ নির্দোষ প্রমাণিত হল দীপা, মৃ’ত শিশুর ডিএনএ মিলল না সেনগুপ্ত পরিবারের সঙ্গে! খবর পেয়ে হার্ট ফেল করল পারিজাত সেন

পুলিশের কাছে নিজেদের অপরাধ স্বীকার করল পলাশ আর প্রতীক্ষা

ওদিকে পুলিশ পলাশ আর প্রতীক্ষাকে থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। প্রথমে প্রতীক্ষা জানায় সে তাঁর বাবা মায়ের জন্য একাই কেনাকাটা করতে গেছিল। কিন্তু দোকানের নাম কিছুতেই বলে উঠতে পারেনা প্রতীক্ষা। তখন অফিসার জানায় তিনি জেনে গেছেন প্রতীক্ষা একটি দোকানে গিয়ে টাকা নিয়ে মিথ্যে সা’ক্ষী দিতে বলেছে। এবার প্রতীক্ষার সঙ্গে সঙ্গে পলাশকেও কেউ বাঁচাতে পারবে না। কথাটা শুনে খুব ভয় পেয়ে যায় পলাশ পুলিশ অফিসারকে বলতে শুরু করে। তাহলে কি মনে হচ্ছে আপনাদের পলাশ কি সবটা বলে দেবে অফিসারকে?