বিনোদন জগতের অতি জনপ্রিয় মুখ তিনি। নিজের অভিনয়ের দক্ষতায় তিনি বারবার জয় করেছেন দর্শকদের মন। প্রতিবাদী নারী হোক, বা স্নেহময়ী মা সমস্ত চরিত্রেই তাঁর অভিনয় নজর কেড়েছে দর্শকদের। আঁচলের টুসু কিংবা কড়িখেলার পারমিতা ধারাবাহিকের দুনিয়ায় বর্তমানে তারকা অভিনেত্রী শ্রীপর্ণা রায় (Sreeparna Roy)।
স্টার জলসার আঁচল ধারাবাহিকের মাধ্যমে পর্দায় আত্মপ্রকাশ করেছিলেন তিনি। তারপর আজ আড়ি কাল ভাব, ওম নমঃ শিবায়, নেতাজি, কড়ি খেলা, মুকুট ধারাবাহিক অভিনয় করেছেন অভিনেত্রী শ্রীপর্ণা রায়। সম্প্রতি অ্যাক্রোপলিস প্রযোজনা সংস্থার প্রযোজিত ধারাবাহিক গাঁটছড়ায় অভিনয় করেছেন তিনি। ধারাবাহিকে ঋদ্ধিমানের সিংহ রায়ের দ্বিতীয় অর্ধাঙ্গিনী রুক্মিণীর চরিত্রে তাঁর অভিনয় বেশ প্রশংসিত হয়েছিল পর্দায়।
ছোটবেলা থেকেই ইচ্ছা ছিল অভিনয়ের কিভাবে পর্দায় পা রাখলেন অভিনেত্রী শ্রীপর্ণা রায়?
ছোটবেলা থেকেই বড় অভিনেত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন শ্রীপর্ণা। অভিনয় করাই ছিল তাঁর ধ্যান-জ্ঞান। বাড়িতে নাইটল্যাম্প জানিয়ে, ফ্যান চালিয়ে অভিনেত্রীদের মতো নিজেকে টেলিভিশনে দেখার স্বপ্ন দেখতেন তিনি। ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে অভ্যাস করতেন অভিনয়ের। এইভাবেই এগিয়ে গেল সময়। পাশ করলেন মাধ্যম, উচ্চমাধ্যমিক। তারপর যদিও শত চেষ্টা করেও মেয়েকে ঘরে ধরে রাখতে পারেননি অভিনেত্রীর অভিভাবক। অভিনয়ের টানে অভিনেত্রী ছুটে গেছিলেন অডিশন দিতে। ২০০ জনের ভিড়ে নিজেকে প্রমাণ করে দেখিয়েছিলেন শ্রীপর্ণা।
স্বপ্ন কাছাকছি এসেই শেষ হয়নি যুদ্ধ, অসুস্থ হয়ে পড়লেন মা, জীবনের কঠিন পরিস্থিতিতেও হাসি মুখে অভিনয় চালিয়ে গেছেন অভিনেত্রী শ্রীপর্ণা রায়
স্বপ্ন পুরনের পথে একধাপ এগিয়ে যান অভিনেত্রী। কিন্তু জীবন হয়নি মসৃণ। প্রথম ধারাবাহিকে সুযোগ পাওয়ার পরই অসুস্থ হয়ে পড়েন অভিনেত্রীর মা। হাসপাতালে ভর্তি করতে হয় তাঁকে। যদিও কঠিন পরিস্থিতিতেও হার মানেননি তিনি। মায়ের দেখাশোনার পাশাপাশি কাজের ওপরও সম্পূর্ণ মনোযোগ দিয়েছিলেন তিনি। এমনকি মৃত্যুশয্যায় রেখে এসেও শুটিংয়ে অভিনয়ের জন্য হাহা করে হাসতে হয়েছে তাঁকে। লড়াই শেষ হয়নি এখানেও। টিআরপির অজুহাতে এক জনপ্রিয় ধারাবাহিক থেকে বাদ পড়েন তিনি।
আরও পড়ুন: সূর্যের জন্য বিপদে গোটা সেনগুপ্ত পরিবার! এবার দুষ্কৃতীদের হেনস্থার শিকার তিস্তা! এই বিপদে কী করবে দীপা?
ইন্ডাস্ট্রিতে লবিবাজির শিকার! লড়াই চালিয়ে গেছেন শ্রীপর্ণা রায়
তবুও হাল ছাড়েননি অভিনেত্রী। মায়ের মৃত্যু, প্রেমে বিচ্ছেদ সব কিছুতেই দাঁতে দাঁত চিপে চালিয়ে গেছেন লড়াই। কাজ না পাওয়ার কারণে শুনেছেন নানা কটূক্তি। লোকে বলেছেন “কিরে কাজ পাচ্ছিস না? কবে থেকে কাজ শুরু করবি?” এমনকি শিকার হয়েছেন লবিবাজির। অভিনেত্রীর মতে, “যেক্ষেত্রে লোকের ৫০% ওপর তোমার কাজ নির্ভর করছে সেটা না হলে কষ্ট পেওনা নিজের সম্পূর্ণটা দিয়ে কাজ করে যাও।“ নিজের জীবনের অন্ধকার কাটিয়ে আলোর দিশা খুঁজে বের করেছেন অভিনেত্রী নিজেই।