জি বাংলার (Zee Bangla) যে সমস্ত ধারাবাহিকগুলো শুরুর থেকেই দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছে তাদের মধ্যে অন্যতম নিম ফুলের মধু (Neem Phooler Madhu)। দেখতে দেখতেই ধারাবাহিকটি পার করেছে ৫০০ বেশি পর্ব। বর্তমানে নিম ফুলের মধুতে ঘটনার ঘনঘটা।
ঈশা হোক সুইটি, সকলের তৈরি করা একের পর এক সমস্যার চুটকিতেই সমাধান করছি পর্ণা। পর্ণা যেন কোন মানুষ নয়, একজন ‘ওয়ান্ডার ওমেন’।
ইতিমধ্যেই ধারাবাহিকে দেখা গেছে নিজের জীবন বাজি রেখে বর্ষাকে রোজির কোঠা থেকে উদ্ধার করেছে সৃজন পর্ণারা। বর্ষাকে বাঁচাতে বন্দুকের সামনে দাড়িয়ে যেতেও ভয় পায়নি পর্ণা। নিজের তীক্ষ্ম বুদ্ধির জন্য পর্ণাকে ফিরিয়ে এনে অর্ণবের কুকীর্তি ফাঁস করেছে আলোক পর্ণা দত্ত। যদিও পর্ণা মতে যদিও সে দত্ত নয়, কারণ তার স্মৃতি নাকি পিছিয়ে গিয়েছে দশ বছর।
তবে স্মৃতি নষ্ট হয়ে গেলেও দত্ত বাড়ির সঙ্গে এখনও পর্ণার সম্পর্ক ছিন্ন হয়নি। আর এখন তো ননদকে বাঁচাতে সব কিছু করতে পারে সে। আর এবার এটা নিয়েই প্রশ্ন তুলছেন দর্শকদের একাংশ। এমনিতে জি বাংলার এই সিরিয়ালের ভক্ত সংখ্যা কম নয়। অন্তত সাপ্তাহিক টিআরপি তো তাই বলছে। তবে দর্শকদের অপর অংশ ধারাবাহিকটিকে ভালো বলছে? সেদিকে তো চলছে কটাক্ষ আর চলছে চুল ছেঁড়া বিশ্লেষণ। কিন্তু কেন?
কারণ আর কিছুই নয়, ধারাবাহিকটিকে তাদের অপছন্দ করার মূল কারণ হল গল্পের অবাস্তবতা। এই যে গল্পের মোড় হঠাৎ দশ বছর পিছিয়ে যাচ্ছে বা এক সন্তানের মা মনে করছে সে একজন কলেজ পড়ুয়া এটা কি আদৌ সম্ভব? বাস্তবে তো সম্ভবই নয়। এবার এটাও সত্যি যে সিরিয়ালে যে সবটা বাস্তবের মতো দেখানো হয় তাও সম্ভব না। কিন্তু তা বলে কি এতটাও অবাস্তব জিনিসপত্র মেনে নেওয়া যায়? এই প্রশ্নই তুলছেন দর্শকদের একাংশ।
নিম ফুলের মধু গল্পের নতুন চমক দেখে রেগে গেলেন নেটিজেনরা
মাস কয়েক আগেই দেখানো হয়েছিল দশ বছর বেড়ে গিয়েছিল গল্পের বয়স। পর্ণার মেয়ে পুঁটিও তখন বেশ বড়। আর এর পরই ঘটে যায় একেবারে উদ্ভট ঘটনা। হঠাৎ করে দুর্ঘটনায় স্মৃতি হারিয়ে পর্ণা ফিরে গেল দশ বছর পিছনে। এখন নাকি সে একজন কলেজ পড়ুয়া। অথচ গল্পের শুরুতেই তো দেখানো হয়েছিল কলেজ পাশ করে ইউনিভার্সিটির পড়া শেষ করে পর্ণার বিয়ে হয়েছিল সৃজনের সঙ্গে। ব্যাপারটা হল কি তাহলে? হিসেবের এই গরমিলটাই মেলাতে পারছেন না দর্শকদের একাংশ। এটাও কি সম্ভব? নেটিজেনদের একাংশ তো কটাক্ষ করে বলছেন ১০ নয়, বরং অন্তত ১৫ বছর পিছিয়ে গেলেও তাও বোধহয় একটু মানান সই হত। কিন্তু তাতেও কি আর সব হিসেব মিলত?
আরও পড়ুন: “দাদা তুই রাইয়ের জন্য একদম পারফেক্ট!” নিজে ঠকে গিয়েও রাইয়ের জীবনে অনির্বাণকে ফিরিয়ে দিয়ে
নিম ফুলের মধুতে আর মধু নেই গল্প ভরে গেছে অবস্তবতায়, জানালেন নেটিজেনরা
আবার ধারাবাহিকে এমনও দেখা যাচ্ছে যে চোর, ডাকাত, গুন্ডা সবাইকেই মাত দিয়ে দিচ্ছে দত্ত বাড়ির লোকজন। পুলিশের তো দরকারই নেই। বারবার ছদ্মবেশের পট দেখে দেখে নেট জনতা এখন ক্লান্ত। কেউ কেউ তো কটাক্ষ শানিয়ে বলছেন এই সিরিয়ালের আরেক নাম দেওয়া উচিত যেমন খুশি সাজ প্রতিযোগিতা। নেটিজেনরা বলেছেন গল্প আর গল্পে নেই এত আকাশে উঠে গেছে। অথচ গল্পের শুরুটা কি আদৌ এমন ছিল? উত্তর কলকাতার এক আটপৌরে একান্নবর্তী পরিবারের গল্প নিয়ে শুরু হয়েছিল নিম ফুলের মধুর কাহিনী। যেখানে ঠাম্মি বলেছিলেন তেতো টুকু পার করলেই মিলবে মিষ্টির স্বাদ। পল্লবী রুবেলের মিষ্টি জুটিও মন কেড়েছিল ভক্তদের। কিন্তু সেই সাধারণ গল্প আর রইল কই? দর্শকদের একাংশ তো বলছে ৫০০ পর্ব পেরিয়ে গেলেও নিম ফুলে আর মধু নেই নিম ফুল শুকিয়ে গেলে অবাস্তব গল্পে। আপনাদের কি মনে হয়?