শৌর্য্যর মতো ছেলে যে কোন‌ও মেয়ের জীবনে রত্ন! শৌর্য্যর সত্যিকারের মানবিকতা দেখে প্রশংসায় পঞ্চামুখ দর্শকমহল

জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘মিঠিঝোরা’ (Mithijhora)। তিন বোনের গল্প নিয়ে শুরু হয়েছিল ধারাবাহিকের গল্প। বাবা মারা যাওয়ার পর তিন বোনের জীবন বয়েছিল তিন খাতে। বড়বোন রাইপূর্ণা ভালোবাসার মানুষ শৌর্য্যকে তুলে দিয়েছিল মেজবোন নীলাঞ্জনার হাতে। তারপর থেকেই সমস্যা শুরু দুই বোনের মাঝে।

শৌর্য্য ও নীলাঞ্জনার মধ্যে ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে ওঠেনি কোনওদিন। কারণ বরাবরই রাইয়ের জন্য দুর্বলতা শৌর্য্যর। স্বামীর মন না পাওয়ার জন্য দিদিকেই দোষী সাব্যস্ত করে নীলু। তাই রাই যখন নিজের সংসার পাতছে, তখনই তার সুখ বরদাস্ত করে না নীলু।

নীলু অনির্বাণকে রাই ও শৌর্য্য বিকৃত ছবি পাঠিয়ে দেয়। তারপর থেকেই রাই ও অনির্বাণের মধ্যে তৈরি হয় দুরত্ব। রাতারাতি বৈবাহিক জীবন নষ্ট হয়ে যায় তার। রাই ও অনির্বাণের জমে ওঠে অভিমানের পাহাড়। একসময়ের রাইয়ের সঙ্গে সম্পর্ক থাকলেও, বর্তমানে রাই ও অনির্বাণের সম্পর্ককে অকপটে মেনে নিয়েছে শৌর্য্য।

শৌর্য্য প্রসঙ্গে ধারাবাহিকপ্রেমীরা কী বলছেন?

শৌর্য্য প্রসঙ্গে এক ধারাবাহিকপ্রেমী লিখছেন, আদৌ কি বাস্তবে শৌর্য্যর মতো ছেলে হয়? বাস্তবে যেখানে ব্রেকআপ হয়ে গেলে প্রেমিক-প্রেমিকা একে অপরের ওপর কাদা ছেটাতে ব্যস্ত থাকে, সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে শৌর্য্য গেছে অনির্বাণের বাড়ি,রাইয়ের মান বাঁচাতে। যদিও সেখানে অনির্বাণসহ তার ফ্যামিলির সবাই যথেষ্ট অপমান করেছে তাকে। সে কথায় আমি যাচ্ছিনা। এই কদিনে তো বুঝে গেলাম অনির্বাণের পরিবার যথেষ্ট অভদ্র , শৌর্য্যরা কীভাবে যে এদের আত্মীয় হতে পারে সেটা বোঝা দায়!’

আরও পড়ুন: নয়া দৃষ্টান্ত দীপার! দুই বাচ্চার মা হয়েও সূর্যের সঙ্গে মেডিক্যালের পরীক্ষায় বসলো দীপা সে

ওই নেটিজেন আরও লিখছেন, ‘আসল কথা হলো এই শৌর্য্যর চরিত্র হাজারো দর্শকের মন জিতে নিয়েছে। আমি বলবো রাইয়ের মতো কপাল পোড়া, দুর্ভাগা আর দুটি নেই। এমন একটা ছেলেকে হারিয়ে ফেললো, সারা জীবনের জন্যে যে মানুষটা তাকে ভালো রাখার জন্যে সব করতে পারে এবং আমি নিশ্চিত শৌর্য্য বের করবে সত্যিটা। খটকা একটাই, হটাৎ করে নীলুকে কেনো আনতে গেলো? রাইয়ের বোঝা কমাতে? নাকি নীলুকে ছেড়ে আসাটা একটা ভুল ছিল এইটা মনে করে না তার পিছনে আছে অন্য কোনো রহস্য?

Back to top button