ধারাবাহিক ‘শুভ বিবাহ’-তে বিয়ে নিয়ে ( Subho Bibaho new episode) চলছে জমজমাট পর্ব। সুধা চাইছে সত্যিটা তেজের পরিবারকে জানিয়ে দিতে, তবে তেজ বলেছে এটা সঠিক সময়ে নয় বলার। সুধা যে ডিভোর্সি সেটা যদি তেজের পরিবার জানে, পরিবারের মানুষগুলো কষ্ট পাবে। ঠাম্মি পুজো দিয়ে বাড়ি ফিরে এসেছে, বাড়িতে এসে বুঝতে পারে সবকিছু যেন কেমন পাল্টে গিয়েছে দুদিনেই।ঠাম্মি তেজের ঘরে গিয়ে দেখে দরজা খোলা, এদিকে সদর দরজা খোলা এসব দেখে বিরক্ত বোধ করে।
ঠাম্মি তেজকে জিজ্ঞেস করে কোথায় গিয়েছিলে ফুলশয্যা ছেড়ে। এমনকি সুধা কোথায় গিয়েছিল সেই জবাবদিহি চায়। সুধা ঠাম্মিকে বলতে শুরু করে।প্রথমেই ক্ষমা চেয়ে নেয় ঠাম্মির থেকে। তেজ ভয়ে পেয়ে যায়, তবে কি সুধা সব সত্যি বলে দেবে। সুধা বলে, ঘরে দমবন্ধ হয়ে আসছিল তেজের, তাই বাগানে হাঁটাহাঁটি করতে গেছিল। কিন্তু ঠাম্মি জানে তেজ গাড়ি নিয়ে বেরিয়েছিল। ঠাম্মির মন কাড়ে বরের জন্য সুধা যে মিথ্যে কথা বলল সেটা।
ধারাবাহিকের আগামী পর্বে (Subho Bibaho) দেখা যাচ্ছে, সুধা চায় ঠাম্মিকে সবকিছু সত্যি বলে দিতে। তেজ বসু মল্লিক বলে, আমার ঠাম্মি কষ্ট পাবে এমন কিছু আমি আপনাকে করতে দেবো না। সবাইকে ঘুমিয়ে পড়তে বলে ঠাম্মি। জ্যোৎস্না ঠাম্মির কান ভাঙাতে থাকে। সুধা নিয়মকানুন মানছে না এসব বলে বিব্রত করে। ঠাম্মি বলতে থাকে সুধা কি করেছে তুমি জানো না। ঠাম্মি বলে যে তেজ বাড়িতে ছিল না, কিন্তু ওকে বাঁচাতে সমস্ত দোষ নিজের ঘাড়ে করে নিল। ঠাম্মি বলে আমি বসু মল্লিক পরিবারের জন্য এমনই একটি বৌমা চেয়েছিলাম।
সুধার প্রশংসা করে জোৎস্নাকে নিজের ঘরে চলে যেতে বলে।
তেজ-সুধার মধ্যে সত্যি ধামাচাপা দেওয়া নিয়ে কথা হতে থাকে। সুধা বলে সারাজীবন কখনও সত্যি চাপা থাকে না যখন সবাই জেনে যাবে তখন কি হবে। তেজ বলে যখন জানার তখন জানবে এখন দরকার নেই। সুধা বলতে থাকে আমি সবাইকে সবকিছু বিয়ের আগেই জানানোর চেষ্টা করেছিলাম, চিঠি পাঠিয়েছিলাম আপনাকে। জানিনা কেন ত্বরিতা এখন সবকিছু অস্বীকার করছে। সুধা বলে আপনি যখন আমাকে নিজের স্ত্রী হিসেবে মেনে নিতে পারছেন না তখন আমি এই বাড়িতে আর থাকব না। তেজ নিজের বাড়ির কথা ভেবে বলে যে সুধাকে সে কোথাও যেতে দেবে না।
আরও পড়ুন: ডিভোর্সি শব্দটা আমাদের সমাজের তকমার মতো! সেটার বিরুদ্ধেই লড়াই ‘শুভ বিবাহ’র! অকপট সোনামনি
তেজ সুধাকে বলে যে আপনার মায়ায় আপনি আমাকে জড়ানোর চেষ্টা করবেন না, আপনার চোখের দিকে তাকিয়ে আমি দুর্বল um হয়ে পড়েছিলাম তাই আমি বিয়ের সিদ্ধান্তটি নিয়েছিলাম। সুধা মনে করিয়ে দেয়, সুধা বলতে চেয়েছিল তেজকে কিন্তু তেজ বলেছিল সে তার অতীত নিয়ে কিছু জানতে চায় না। তেজ বলে যে আমি জানতাম না আপনি ডিভোর্সি মেয়ে। সুধাকে বাসি ফুল আখ্যা দিয়েছে তেজ। সুধা বলে বাসি ফুলের সাথে কি কখনও ফুলশয্যা হয়! তেজ বলে আপনি ফুল তো দূরের কথা, আপনি আমার জীবনের কাঁটা। এদিকে রাগে তেজ নিজের হাতেই গ্লাস ভেঙেছে এই দেখে সুধা তেজকে জখম জায়গায় মলম লাগিয়ে দেওয়ার কথা বলে। এদিকে সুধা আরতি করছে, ত্বরিতা সুধার আঁচল নিচে থাকা প্রদীপে লাগিয়ে দেয়। কিন্তু সেই আগুন কেউ এখনও দেখেনি। ত্বরিতা মনে মনে ভাবতে থাকে এটা কি অমঙ্গল বলে সুধাকে বাড়ি থেকে বের করে দেবো। বাড়ি বড় বউ হবো আমি। কি হতে চলেছে আগামীতে জানতে হলে দেখতে হবে শুভ বিবাহ ধারাবাহিকটি (Subho Bibaho)।