সশরীরে ফিরলো রাই! জীবন বাঁচালো অনির্বাণের! এবার সবাই মিলে নীলুকে দেবে পুলিশে

জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘মিঠিঝোরা’ (Mithijhora)। প্রথম থেকেই এই ধারাবাহিকের গল্প একেবারেই অন্যরকম ছিল। যেই গল্পে তিন বোনের কাহিনী তুলে ধরা হচ্ছে ঠিকই যার মধ্যে জড়িয়ে রয়েছে একটা মধ্যবিত্ত সংসার ও দৈনন্দিন জীবন যাপনের ইতিবৃত্ত। সংসারের প্রতিটা মানুষ একে অপরের পক্ষে-বিপক্ষে সব সময়। অন্য দিকে চলছে দুই বোনের তাসের ঘর সাজানোর খেলা। বর্তমানে এই ধারাবাহিক দিচ্ছে জমজমাট পর্ব উপহার দিচ্ছে দর্শকদের।

‘মিঠিঝোরা’ আজকের এপিসোড ৩১ জুলাই, Mithijhora Today Episode 31 July

বর্তমানে ধারাবাহিকের গল্পে দেখা যাচ্ছে, দিদির প্রতি প্রতিশোধ নিতে নিজের স্বামী এবং দিদির নকল ঘনিষ্ঠ ছবি তৈরি করে দিদির শ্বশুরবাড়িতে পাঠায় বোন নীলাঞ্জনা। যার ফল ভুগতে হয় রাই‌কে। এক ঝটকায় অনির্বাণের বিশ্বাস ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে যায় রায়ের প্রতি। শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে নিজের বাড়ি ফিরে আসে রাই। দিদির পরিণতি দেখে আড়ালে হাসে নীলু।‌

অন্যদিকে রাই মিউচুয়াল ডিভোর্সের নোটিশ পেয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। শৌর্য্য অনির্বাণকে সব সত্যিটা জানিয়ে বাড়ি ফিরে আসে। অন্যদিকে শৌর্য্য বাড়ি ফিরে নীলুর সব দোষ গুলো বাড়িতে জানায়। আর শৌর্য্য ও শৌর্য্যর পরিবার ঠিক করে নীলুকে পুলিশ দেবে। নীলু তড়পাচ্ছে নিজের ভুল গুলো করে।এবার নীলুকে কেউ বাঁচাতে পারবেনা।

অন্যদিকে অনির্বাণ রাইয়ের বাড়িতে গিয়ে রাইকে খুঁজছে। রাইকে ফোন করতে রাইয়ের ফোন সুইচ অফ বলেছে। চিন্তায় পড়েছে অনির্বাণ ও রাইয়ের পরিবার। কিছুক্ষণ বাদে বউ মনি ও মিষ্টি এসে বলে স্কুল থেকে ফেরার সময় রাস্তায় একটা অ্যাক্সিডেন্ট হয়। কিছুক্ষণ বাদে থানা থেকে ফোন আসে আর রাইয়ের পরিবারকে ডেকে পাঠায়। মর্গে নিয়ে গিয়ে একটি মরা শরীরকে দেখায় অনির্বাণকে ও বাকিদেরকেও। রাইয়ের মা ভেঙে পড়েছে অন্যদিকে অনির্বাণ নিজেকে ক্ষমা করতে পারছে না।

আজকের পর্বে দেখা যাবে, অনির্বাণের বাবা-মা অনির্বাণকে জানিয়ে দিয়েছে তুমি সত্যি কথা বলবে পুলিশ অফিসারকে সত্যি কথা বলার দরকার নেই। তবে অনির্বাণ জানায় সে সব সত্যি কথাই বলবে তার আর কিছু করার নেই। অনির্বাণ রাইকে ছাড়া কোনমতেই বেঁচে থাকতে পারবে না। অন্যদিকে অনির্বাণের মা ভাবতে থাকে সে রায় কে বলেছিল বেরিয়ে যাওয়ার সময় ‘আমি ভাববো তুমি মরে গেছো তুমি চলে যাও’। পরের দিন সকাল হতেই থানা থেকে পুলিশ অফিসাররা আসেন এবং অনির্বাণকে নানা প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করে।

আরও পড়ুন: বসু মল্লিক বাড়ির আদর্শ বউ ! ফুলশয্যার রাতেই ঠাম্মির মন জয় করে নিল সুধা

অন্যদিকে শৌর্য্য ও শৌর্য্যর পরিবার উতলা হয়ে পড়েছে রাইয়ের মৃত্যুর খবর শুনে। তবে শৌর্য্যর মা ভাবে, রাই কি করে সত্যিই ভাবলো শৌর্য্যই দোষী! তবে শৌর্য্য নীলুকে নিয়ে কি করবে বুঝতে পারছেনা! জানালো তার বাবা কে। অন্যদিকে পুলিশ অফিসার যখন অনির্বাণকে ধরেবানান সঠিক নয়ধারে নিয়ে যায় তখনই হাজির হয়েছে রাইপর্ণ মুখার্জী। অনির্বাণ হতভাগ্য হয়ে গেছে রাইকে দেখে! রাই নিজের সব পরিচয় পত্র দেয় অফিসারকে এবং জানায় সে কাল রাতে এক বান্ধবীর বাড়িতে ছিল তার ফোন সুইচ অফ হয়ে যায় তার সাথে তার বান্ধবীর ও ফোন সুইচ অফ থাকে তাই সে যোগাযোগ করতে পারেনি। সে আজকের খবর দেখে এখন উপস্থিতি হয়।