সামনের সপ্তাহ থেকেই পিতৃপক্ষ শেষ হয়ে শুরু হবে দেবীপক্ষের। মায়ের ( Lord Durga ) আগমনী বার্তা জানান দিয়ে আসবে মহালয়া ( Mohalaya ) । পুজোর ( Durga Puja ) আর হাতে গোনা কয়েকদিন কিন্তু এই বছর পুজোয় যেন সেই সাজো সাজো রব নেই। গোটা রাজ্য যেন শোক মিছিলে সামিল হয়েছে, এই শোক ঘরের মেয়ে তিলোত্তমার শোক। যে কারণে কোয়েল মল্লিক ( Koyel Mallick ) থেকে শুরু করে সুদীপা চট্টোপাধ্যায় ( Sudipa Chattopadhyay ) সকলেই এই বছরের পুজো নিয়ে কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
পরিচালক অগ্নিদেব চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রী সুদীপার পরিচয় শুধুমাত্র জি বাংলার রান্নাঘরের সঞ্চালিকা হিসেবেই নয়, এর পাশাপাশি তার নিজস্ব একটি ইউটিউব চ্যানেল আছে এবং সেখানে রান্নার শো সঞ্চালনা করার পাশাপাশি ব্যবসা করেন তিনি।
এই বছর মল্লিক বাড়ির দুর্গাপূজো সম্পর্কে কোয়েল মল্লিক আগেই জানিয়েছেন এই বছর মল্লিক পরিবারের পুজো ব্যক্তিগত পরিসরের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে। অর্থাৎ এই বছর মল্লিক বাড়ির পুজোতে সাধারণ মানুষ প্রবেশ করতে পারবেন না। কোয়েল মল্লিকের মত সুদীপারও এই বছরের পুজো নিয়ে এক সুর।
রান্নাঘরের সঞ্চালিকাও মনে করেন এই বছরের আনন্দটা ফিকে হয়ে গেছে ভেতর থেকে আসছে না।
অন্যদিকে সুদীপা চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতেও প্রতিবছর বেশ আড়ম্বরের সাথে দুর্গাপুজো হয়। কিন্তু এইবার যেন দুর্গাপূজার সেই আনন্দ ফিকে হয়ে গেছে। অগ্নিদেব ঘরণী সুদীপা জানান, ২০২৪ সালে নিজের মাকে হারিয়েছেন সুদীপা। তাই সেই কষ্ট যেমন আছে তার সাথে জুড়ে আছে তিলোত্তমার মৃত্যুশোক। একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সুদীপা বলেন, পুজো এলে মা-বাবার কথা খুব বেশি করে মনে পড়ে, কারণ পুজো আসা মানেই বাবা-মা কিছু না কিছু কিনে দেবেন!
তাই প্রথমবার মাকে ছাড়া পুজো কাটাতে হবে ভেবে সুদীপার যেমন কষ্ট লাগছে, তারসাথে যুক্ত হয়েছে তিলোত্তমা কাণ্ডের রেশ। সুদীপার কথায়,“মা যে প্রতি বছর হাতে একটু টাকা দিয়ে বলতেন কিছু কিনিস। সেগুলো খুব মনে পড়ছে। প্রথম বার মা-বাবা ছাড়া পুজো। তাই আমরা ঠিক করেছি কিছু কিছু বিষয় বন্ধ রাখব। পুজোর আয়োজনে কোনও ত্রুটি হবে না। তবে হইহুল্লোড়টা এ বছর একটু কমিয়ে দেব।”একই সাথে অভিনেত্রী জানান, তার পরিচালক স্বামী অগ্নিদেব চট্টোপাধ্যায় ও তার বাড়িতে যে পুজো হয় সেই পুজোয় অতিথি আপ্যায়ন ও গান বাজনার মত কিছু বিষয় বন্ধ রাখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: প্রেমিকার জন্মদিনে রোমান্সে মাখামাখি! গাল ছুঁয়ে শুভেচ্ছা বার্তা! শ্বেতার জন্মদিনে বিশেষ আয়োজন রুবেলের
সুদীপা বলেন মায়ের পুজো তাই সেই পুজোতে আয়োজনের কোন ত্রুটি রাখবেন না তবে বন্ধু-বান্ধব নিয়ে প্রতি বছর যে মজা আনন্দ করতেন, সেই আনন্দ মজাটাই যেন ভেতর থেকে হারিয়ে যাচ্ছে, তিলোত্তমার কথা ভেবেও কষ্ট পাচ্ছেন তিনি কারণ সে বেঁচে থাকলে আজ তার করা পুজো চার বছরের হত। ওই সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সুদীপা বলেন, “নবমীর পুজোর পরে আমাদের বাড়ি অতিথি আপ্যায়নের ব্যবস্থা করি। কিন্তু এ বছর সেটা বন্ধ রাখছি। অষ্টমীর রাতে গান বাজনারও আয়োজন করা হয়। সেটা আমার মা বড্ড ভালবাসতেন। তাই এই বছর আর সেটাও করছি না। আসলে মন ভাল নেই তাই উদযাপনে ঠিক মন নেই। তার মধ্যে তিলোত্তমার ঘটনা তো আছেই। আমি যত দূর শুনেছি তিলোত্তমাও পুজো করতেন। ওর পুজো এ বছর তিন না চার বছরে পা দিত। সেখানে সেই মানুষটাই আজ নেই কোথাও। তাই আমরা কী ভাবে এ বছর পুজোর উদযাপন করতে পারি। তাই পুজো হবে কিন্তু হইহুল্লোড়, বন্ধুদের সঙ্গে খাওয়া দাওয়া আনন্দ এই অংশটুকু এ বছর বাদই রাখছি।”