‘আজকাল দুঃখ পাওয়া কমিয়ে ফেলেছি, এত ভালো ভালো স্মৃতি আছে, সেগুলো নিয়েই থাকব।’ অকপট নীলাঞ্জনা

টলিপাড়ার একটি জনপ্রিয় দম্পতি যীশু সেনগুপ্ত (Jisshu Sengupta)নীলাঞ্জনা সেনগুপ্ত (Nilanjana Sengupta)। তবে এর মাঝেই উঠেছিল বিচ্ছেদের জল্পনা। শোনা যাচ্ছিলো যীশু ও নীলাঞ্জনা নাকি বিচ্ছেদের পথে হাঁটছেন। গত বেশ কিছু মাস ধরে এই খবর চলছিল টলিপাড়ার আনাচে কানাচে। আনুষ্ঠানিকভাবে কেউ এই বিষয়ে মুখ খোলেননি। তবে নীলাঞ্জনার সোশ্যাল মিডিয়ার বেশ কিছু পোস্ট দেখে বোঝাই যায় যে সবকিছু ঠিক নেই তাঁদের মধ্যে।

এরই মধ্যে শেষ হতে চলেছে, ‘হরগৌরী পাইস হোটেল’। দীর্ঘ দুবছর পথ চলার পর শেষ হচ্ছে ষ্টার জলসার এই জনপ্রিয় মেগা। তিনি বরাবরই ভীষণ ইমোশনাল, কিন্তু এখন নাকি তিনি স্ট্রং হতে শিখে গেছেন। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ইমোশনাল হয়ে পড়লে কেউ সামলায় না। নিজেকে নিজে সামলাতে হয়। আমি খুব ইমোশনাল মানুষ। কিন্তু গত ১-২ বছরের মধ্যে আমি নিজেকে খুবই ইমোশনালি শক্তিশালী বানিয়ে ফেলেছি। জীবন মানুষকে ইমোশনালি শক্তিশালী বানিয়ে দেয়। কিন্তু আজকে আমাদের ইউনিটের সবাই এত ইমোশনাল হয়ে যাচ্ছিল যে আমার কাছে আর কোনও অপশন ছিল না। স্ট্রং থাকতেই হতো।’ তিনি এদিন আরও বলেন, ‘এত ভালো ভালো স্মৃতি আছে না। সেগুলো নিয়েই থাকব।’

নীলাঞ্জনার জনপ্রিয় এই মেগা হরগৌরী পাইসে হোটেল নিজের অনন্যতা দিয়ে দর্শকদের মনে ছাপ ফেলেছে। টিআরপি তালিকা তেও কখনো কখনো ভালো ফল করলেও, কখনো পতনও দেখা গেছে। এদিন ধারাবাহিকের শুটিংয়ের সমাপ্তি উপলক্ষে নীলাঞ্জনা বলেন, ‘কেউ সবসময় উপরে থাকে না। কখনও না কখনও তার পতন হবেই। সবসময় টিআরপি একই থাকবে এমনটা নয়। ওঠা পড়া তো থাকেই। এটাই জীবনের অংশ।’

জীবনের খারাপ লাগাগুলোর সম্পর্কে বলতে গিয়ে নীলাঞ্জনা বলেন, ‘কেউ তোমায় কোনও বিষয় নিয়ে খারাপ লাগাতে পারে না যতক্ষণ না তুমি সেটা নিয়ে খারাপ থাকতে চাইছ না কষ্ট পেতে চাইছ। মানুষ তাই যা ইচ্ছে হয় বলতে পারে, তোমায় নিচু করতে পারে, তোমার টেনে নামানোর প্ল্যান করতে পারে। কিন্তু কিছু যায় আসে না। ২০২৫ এর নতুন শপথ কেউ যদি আমায় নিয়ে কিছু বলে, করে তাহলে তাঁদের সেটা করতে দাও। কারণ যাঁরা তোমায় চেনেন তাঁরা এসব কিছুই বলবেন না। যাঁরা চেনেন না তাঁরাই এসব বলবেন। কে কী বলল যায় আসে না। আমার মেয়েরা সত্যিটা জানে, আমি সত্যিটা জানি, আমার বাবা জানে। আর আমার পরিবার আমার সঙ্গে আছে। যে কোনও সফলতা, নাম, খ্যাতির থেকে পরিবার অনেক উপরে।’

আরও পড়ুনঃ বাংলার বিনোদন জগতে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই! কোন শো দখল করল প্রথম স্থান?

নীলাঞ্জনার দুই কন্যা সারা ও জারা। মায়ের থেকে তারা কতটা শক্ত থাকার শিক্ষা পেয়েছে সেই প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করা হলে নীলাঞ্জনা জানান, এই বিষয়ে নীলাঞ্জনার সাফ উত্তর, ‘জীবন সব থেকে বড় শিক্ষক। আর জীবনই তোমায় সবে খারাপ বা তিক্ত শিক্ষাগুলো দেয়। সত্য সবসময়ই রুঢ় হয়। ওরা জীবন থেকেই শিখছে শক্ত থাকতে। আর আমার মনে হয় এটাই সবথেকে ভালো এবং বড় শিক্ষক।’