গত রবিবার রাতে পানাগড়ে (panagarh) এক ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন চন্দননগরের বাসিন্দা ও একটি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থার কর্ণধার, ২৭ বছর বয়সী সুতন্দ্রা চট্টোপাধ্যায়। প্রাথমিকভাবে অভিযোগ ওঠে যে, কয়েকজন মদ্যপ যুবক একটি সাদা গাড়ি নিয়ে সুতন্দ্রাদের নীল গাড়িটিকে ধাওয়া করছিলেন এবং একাধিকবার ধাক্কা দেন, যার ফলে গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায় এবং ঘটনাস্থলেই তরুণীর মৃত্যু হয়।
এই দাবি করেন সুতন্দ্রার সঙ্গে গাড়িতে থাকা সহকর্মীরা। তবে, পুলিশের মতে ঘটনাটি ভিন্ন। তদন্তকারীদের দাবি, উল্টো সুতন্দ্রাদের গাড়িই সাদা গাড়িটিকে ধাওয়া করছিল এবং অতিরিক্ত গতির কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়েই দুর্ঘটনাটি ঘটে। এই বিষয়ে এক সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে টলি পাড়ার জনপ্রিয় অভিনেত্রী ‘দেবলীনা দত্ত’ বরাবরের মতো এবারও অকপটে নিন্দা করলেন সরকারের।
দেবলীনা বলেন, “আমি সত্যিই খুব ভীত, রাস্তায় চলাফেরা করতে ভয় হয়ে যে কে কেমন নজরে তাকাচ্ছে। আজ পানাগড়ে যে ঘটনাটি ঘটেছে সেখানে একজন ও গ্রেফতার হলো না ৩৬ ঘণ্টা পর। এখানেই আমার প্রশ্ন নারীদের নিরাপত্তা কথায়?” এখানেই অভিনেত্রী আবারও তিলোত্তমা কাণ্ডকে টেনে এনে বলেন, “হাসপাতালে, রাস্তায় কোথাও আমরা নিরাপদ নই। আর যারা এই সব ঘটনা ঘটাচ্ছে তারাই বরং হাসিমুখে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্টে উদ্ধার অভিনেত্রীর দেহ! মাত্র ৩৯ বছর বয়সেই চিরবিদায়
সুতরাং তারা কোনো আবার এমন কাজ করবে না? কিছু একটা উদাহরণ তো লাগেই এসব থামাতে? তা কই?” তিলোত্তমা কাণ্ডের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমার কাছে খোঁজ আছে যারা ওই আন্দোলনে প্রথমসারিতে ছিলেন তাঁদের রুজি রুটি বন্ধের চেষ্টা হয়েছে। তার মধ্যে আমিও একজন অর এই কারণেই আমারও প্রচুর শো ক্যানসেল হয়, ব্যান পর্যন্ত হই”। অভিনেত্রী আইন ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে এই সব মানুষ গুলোকে মৃত্যুর হুমকি দেওয়া হয়েছে বলেও দাবি করেন।
অভিনেত্রী বলেন, “শুধু আঘাত করা, জোরজবরদস্তি করাকেই ইপটিসিং বলে না। এমন ঘটনা এর প্রমাণ।” আরও বলেন, “যে এগুলো বলছি বলে ভাবার কোনো কারণ নেই আমি কোনও রাজনৈতিক দলের রং মেখে কথা গুলো বলছি, বরং একজন মহিলা ও সাধারণ মানুষ হয়ে বলছি। কিন্তু এতে যদি আমার কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয় তাহলে ফুচকা বিক্রি করতে হবে পেট চালাতে”।