জলসায় বাচ্চা করে নিলেই টার্গেট হাসিল! মিশকা স্পা’র্ম চোর! মোহনা তো সন্তানের মা হতে ‘রাত উপহার’ দিল আদৃতকে! কোথায় গিয়ে নেমেছে ধারাবাহিকের মান ‘রাতপ্রবেশ’ দেখে কটাক্ষ নেটিজেনদের

স্টার জলসার ধারাবাহিক ‘গৃহপ্রবেশ’ (Grihoprobesh) শুরু হওয়ার পর দর্শকদের বেশ মনে ধরেছিল। পরিবারিক গল্প হলেও কোনও দ্বিতীয় বিয়ে বা অ্যাফেয়ার নেই নায়কের। নায়ক আদৃত আর নায়িকা শুভলক্ষী একে অপরকে খুব ভালোবাসে এবং নিউ ইয়র্কে তাদের সুখী সংসার। কিন্তু গণ্ডগোলটা শুরু হয়, যখন আসল নিউইয়র্ক না দেখিয়ে সস্তার গ্রাফিক্স দিয়ে ব্যাকগ্রাউন্ড ফুটিয়ে তোলা হয়। এরপর দর্শকদের আশা ভরসায় এক বালতি জল ঢেলে ধারাবাইকে এন্ট্রি নেয় অদৃতের নতুন প্রেমিকা ওরফে ভিলেন ‘মোহনা সেন’ (Kaushambi Chakraborty)

ইন্ডিয়ায় ব্যবসার জন্য আদৃত পা রাখতেই অ্যাক্সিডেন্টে সমস্ত স্মৃতিশক্তি হারিয়ে ফেলে, মোহনাই তাঁকে চিকিৎসা করে সুস্থ করে তোলে। পরবর্তীকালে আদৃত শুভর কাছে ফিরে যেতেই মোহনার ভালোবাসা জেগে ওঠে আদৃতের প্রতি। মোহনা কিছুতেই মেনে নিতে পারেনা, যে আদৃত বিবাহিত এবং তাঁর সন্তান আছে। ভিলেন চরিত্র মোহনা এবার একা হাতে নষ্ট করতে উঠে পড়ে লেগেছে আদৃত-শুভর সাজানো গোছানো সংসার। প্রথমে স্মৃতি হারানো নায়ককে নিজের বলে দাবি, তারপর আদৃতকে চিকিৎসা করে বাঁচানোর অজুহাতে চোখে চোখে প্রেম।

bad graphics

এখন সরাসরি মা হওয়ার পরিকল্পনা! হ্যাঁ, ঠিকই পড়ছেন মোহনা এবার আদৃতের সন্তানের মা হতে চাইছে, এবং তাও রীতিমতো ‘রাত উপহার’ দিয়ে! একদিকে ‘অনুরাগের ছোঁয়া’র মিসকা স্পার্ম চুরি করে সূর্যের সন্তানের মা হয়েছে, আর অন্যদিকে মোহনা তো যেন এককাঠি উপরে! সবচেয়ে বড় মজা হল, মোহনা আদৃতকে নাকি ‘প্রেমে’ পাগল হয়ে উঠেছে! কিন্তু সেই প্রেমও আবার এমন, যেখানে কাউকে জোর করে বিয়ে করাতে না পেরে মা হয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে নেওয়া যায়!

লেখকেরাও বোধহয় ভাবছেন, টিআরপি বাড়াতে যা ইচ্ছা দেখানো যায়, দর্শকের মনে আর যুক্তির জায়গা নেই। তাই মোহনাকে দিয়ে দেখানো হচ্ছে গর্ভধারণই যেন শেষ অস্ত্র! দর্শকরা সমাজ মাধ্যমে ইতিমধ্যেই তুলোধোনা শুরু করেছে এই চরিত্রকে নিয়ে। কেউ লিখছেন,”এ কেমন ডাক্তার যে ডাক্তারি ছেড়ে এসব করছে!”, আবার কেউ বলেছেন,”অসভ্যতার একটা সীমা থাকা উচিত। সিরিয়ালটা অতি জঘন্য হয়ে যাচ্ছে। কোন ডাক্তার এরকম আচরণ করে রুগীর পরিবার থাকা সত্ত্বেও রুগীর সাথে!” আবার কেউ এককাঠি উপরে গিয়ে বলেছেন,”আজকাল ছেলেরাই সুরক্ষিত নয়।”

আরও পড়ুনঃ অনন্যাদের মুখের ওপর যোগ্য জবাব দিল কমলিনী! ডলকে অপমান করলো কমলিনী! তবে কি কমলিনী এবার ভদ্রতার পোশাক ছেড়ে অন্যায়ের প্রতিবাদ করবে?

মোহনার সবচেয়ে বড় ট্যালেন্ট হচ্ছে বাস্তবকে বেমালুম ফেলে দিয়ে কল্পনার সিঁড়ি বেয়ে ওঠা। নিউ ইয়র্ক থেকে কলকাতা, কলকাতা থেকে বেডরুম—সব জায়গায় শুধু একটাই লক্ষ্য, আদৃতকে নিজের করতে হবে। শেষ কথা হল, মোহনার মতো চরিত্ররা আজকের বাংলা ধারাবাহিকের যেন ‘নতুন সংক্রমণ’। না তাতে যুক্তি আছে, না কোনো বাস্তবতার ছোঁয়া। একটাই উদ্দেশ্য—নায়ককে পটাতে না পারলে অন্তত সন্তান নামক চিহ্ন রেখে দেওয়া! সিরিয়াল দেখতে গিয়ে দর্শক এখন নিজেই প্রশ্ন করছে—নেতিবাচক চরিত্র মানেই কি এখন গর্ভধারণই অস্ত্র?