“আমি যদি নেগেটিভ খুঁজতে চাই জীবনে তাহলে শান্তি পাবো না!”- অভিনয় জীবনের আক্ষেপ নিয়ে অকপট টলি অভিনেত্রী, ঋতুপর্ণ ঘোষের অফার কেন ফিরিয়ে দিয়েছিলেন মৈত্রেয়ী মিত্র?

মানুষের জীবনে চাহিদার শেষ নেই, আজ বাড়ি চাই তো কাল গাড়ি। এরপরেও এক এক করে সাধারণত মানুষের চাহিদা বাড়তেই থাকে। বিশেষত কেউ যদি বিনোদন জগতে পা রাখে তাহলে আকচার দেখাই যায় কিছুদিনের মধ্যেই সেই শিল্পী নিজের এমন এক লাইফ স্টাইল তৈরি করে ফেলেছে যা আর সাধারণ পাঁচটা মানুষের থেকে অনেক বেশি বিলাসবহুল। এখনকার দিনে, যা কিনা তাঁরা অতি সহজেই প্রাপ্ত করতে পারছে।

তবে, এখনও এমন অনেক অভিনেতা-অভিনেত্রীরা রয়েছেন যারা অল্পতেই খুশি। তাঁরা থাকে না লাইমলাইটে, তাঁরা চড়ে না নামীদামী গাড়ি। সেইসব শিল্পীরা কেবলই চায় তাঁদের প্রতিভার মাধ্যমে জীবনের প্রয়োজনীয়তাকে পূরণ করতে।

সম্প্রতি এক টলি অভিনেত্রীর দেওয়া অকপট সাক্ষাৎকারে প্রকাশ তাঁর ব্যক্তিগত জীবন থেকে পেশাগত জীবনে সফলতার গল্প এমনকি, অভিনয় দুনিয়ার আফসোসের কথাও তুলে ধরেছেন তিনি। অভিনেত্রীর নাম মৈত্রেয়ী মিত্র। প্রসঙ্গত, ছোট পর্দার এই জনপ্রিয় অভিনেত্রী একাধিক সিরিয়ালে অভিনয় করার পাশাপাশি বড় পর্দাতেও দেখা যায় তাঁকে।

এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানিয়েছেন, বিনোদন জগতে তিনি যখন প্রথম আসলেন তখন ইচ্ছা ছিল অনেকের সঙ্গেই কাজ করার। অভিনেত্রী জানেন খুব ছোটবেলা থেকে তিনি বুঝতে পারতেন, “দাদার কীর্তি দেখে বুঝতে পারতাম আমি এই ধরনের ছবির জন্য”। কথায় কথায় মৈত্রেয়ী বলেন, তিনি আলো’তে সিনেমায় কাজ করেছেন বলে একটু হলেও তাঁর স্বপ্ন সত্যি হয়েছে।

অভিনেত্রী জানান তার বিরাট বড় আফসোস তিনি তপন সিনহার সঙ্গে কাজ করতে পারেননি। অন্যদিকে আবার আফসোসের সহিত বললেন, সেই সময়ে অসিত সেনের কাছ থেকে দুটি টেলিফিল্মের অফার এসেছিল কিন্তু নানা বাধা থাকার কারণে তা করে উঠতে পারেননি। এরই সঙ্গে তিনি জানান, ঋতু দা তাঁকে অন্দরমহল সিনেমার জন্য অফার করেছিলেন। আলোর রেফারেন্স দিয়ে আউট অফ ফোকাস দাঁড়িয়ে থাকার চরিত্র ঋতুদার থেকে অফার পাওয়ায় বেশ আফসোস হয়েছিল তাঁর, জানান মৈত্রেয়ী। তবে, এই সিনেমা করতে না চাওয়ায় কোনো আক্ষেপ নেই অভিনেত্রীর। মৈত্রেয়ীর এই মন্তব্য ঋতুপর্ণ ঘোষের প্রতি বেশ অভিমান প্রকাশ পেয়েছে বলা যেতে পারে।

আরও পড়ুনঃ বর্ষার প্রেমের সত্যতা প্রমাণ করতে বাড়িতে এলো সম্রাট! এদিকে, বিয়ের আগেই মিটিল নতুনের কাছে চাইলো অভাবনীয় জিনিস! স্বতন্ত্র কি আবার ফিরবে তাহলে কমলিনীর সংসারে? পূর্ণতা পাবে কি দেওর-বৌঠানের বন্ধুত্ব?

এরপর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে অভিনেত্রী বলেন, “আমি যদি নেগেটিভ খুঁজতে চাই জীবনে তাহলে শান্তি পাবো না”। জীবনের অভিজ্ঞতা নিয়ে বলেন, উত্তর কলকাতার মধ্যবিত্ত ঘরের ছাপোসা মেয়ে আজ অভিনয় করে এতকিছু প্রাপ্তি হয়েছে তাঁর, এই ভেবেই তিনি খুশি হন। আজকের দিনে দাঁড়িয়ে অভিনেত্রী বলেন, তিনি যতটুকু যা পেয়েছেন কত মেয়ে তাও পেয়ে ওঠেনি। তাই, তিনি যা পাননি তা নিয়ে ভাবেন না বরং যা পেয়েছি তা নিয়ে খুশি থাকতে চান।