২১-তেই বিয়ের সিদ্ধান্ত! বয়সে বড় প্রেমিকের জন্যই কি তড়িঘড়ি ছাঁদনাতলায় অভিনেত্রী অনন্যা কুন্ডু?

একদিকে কলেজের ক্লাস, অন্যদিকে শুটিংয়ের ব্যস্ততা, আবার সঙ্গে চলছে বিয়ের প্রস্তুতি! আজকের দিনে এমন ভারসাম্য রাখা সহজ নয়। এই প্রজন্ম যখন ব্যক্তিস্বাধীনতা আর ক্যারিয়ার নিয়েই বেশি ভাবতে চায়, তখন মাত্র একুশ বছর বয়সে জীবনের সবচেয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন একজন অভিনেত্রী। তাঁর এই পদক্ষেপ শুধু সাহসিকতাই নয়, সামাজিক ভাবনায়ও এক বড় পরিবর্তনের বার্তা বয়ে আনছে।

সময়ের আগেই পরিণত সিদ্ধান্ত নিতে হলে মনের জোর এবং পারিপার্শ্বিক প্রভাব দুটোই গুরুত্বপূর্ণ। আজকাল সম্পর্ক মানেই যেন অনিশ্চয়তা, সন্দেহ আর কমিটমেন্টে ভয়। অনেকে চট করে প্রেমে জড়ালেও, স্থায়ী সম্পর্কে যেতে চান না। অথচ এই প্রজন্মেরই একজন মেয়ে যখন ঠিক উলটো পথে হাঁটেন, তখন কৌতূহল জাগে—এই বিশ্বাস, এই আত্মবিশ্বাস এল কোথা থেকে?

বাংলা ধারাবাহিকে খলনায়িকার চরিত্রে যাঁকে দর্শক চেনেন, সেই অনন্যা কুণ্ডু নিজের জীবনে সম্পূর্ণ আলাদা এক অধ্যায় শুরু করতে চলেছেন। কলেজের তৃতীয় বর্ষে পড়ছেন তিনি, কিন্তু ইতিমধ্যেই নেটদুনিয়ায় জনপ্রিয়। পরিবারের মধ্যে মা-বাবা ও দিদির সফল দাম্পত্য জীবনের উদাহরণ দেখেই সম্পর্কের বিষয়ে তাঁর মন তৈরি হয়েছে। সুকান্তকে প্রথমে খুব একটা পছন্দ না হলেও ধীরে ধীরে তাঁর পরিণত মনোভাব, স্থির সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা, আর বয়সে বড় হওয়াটাই অনন্যার মনে স্থায়িত্ব এনে দেয়।

জানা যাচ্ছে, দিদি অলকানন্দার মাধ্যমেই প্রথম আলাপ হয় সুকান্তর সঙ্গে। শুরুতে সুকান্তকে মনে হয়েছিল একটু আত্মপ্রচারের মানুষ। কিন্তু পরিচয়ের কিছু দিনের মধ্যেই দু’জনের মধ্যে তৈরি হয় গভীর বন্ধুত্ব। সুকান্ত প্রথম থেকেই জানিয়ে দেন, তিনি কোনও ‘ক্যাজুয়াল’ সম্পর্কে নেই, তিনি চাই স্থায়ী সম্পর্ক। আর এখানেই মিলে যায় অনন্যার ভাবনা। ধীরে ধীরে সম্পর্ক আরও গভীর হয়, এবং চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে দু’জনের আংটিবদল সম্পন্ন হয়।

আরও পড়ুনঃ জি বাংলার অনন্যা নয়, দূরদর্শনের সুমিত্রা ছিলেন প্রথম ‘সুবর্ণলতা’! মাধবী মুখোপাধ্যায়ের চোখেও সুমিত্রা মুখোপাধ্যায়ই ছিলেন ‘জীবন্ত সুবর্ণলতা’! — অভিনেত্রীর প্রয়াণ মাসে ফিরে দেখা সেই কালজয়ী অধ্যায়!

অনন্যা জানালেন, বিয়ের পরে কিছুদিন মালদহে থাকবেন। তবে অভিনয় ছাড়ার কোনও পরিকল্পনা নেই তাঁর। বিয়ের সাজ নিয়ে ইতিমধ্যেই পরিকল্পনা সেরে ফেলেছেন তিনি। বিয়ের দিন থাকবে সাবেকি সাজ, কিন্তু প্রীতিভোজের সাজে থাকবে একেবারে আলাদা চমক—যা এখনও রহস্যই রাখতে চান অভিনেত্রী। স্পষ্ট বললেন, “ভালবাসা যদি সত্যি হয়, তা হলে ভয় কিছুতেই থাকে না—থাকে শুধু একসঙ্গে জীবন কাটানোর আনন্দ।”