টেলিপাড়ার জনপ্রিয় মুখ ‘সুস্মিতা রায় চক্রবর্তী’ (Susmita Roy Chakraborty) এবং সাংবাদিক ‘সব্যসাচী চক্রবর্তী’র (Sabyasachi Chakraborty) সম্পর্ক নিয়ে বহুদিন ধরেই গুঞ্জন চলছিল। একসময় এই দম্পতির ইউটিউব ও ফেসবুক ভ্লগ ঘিরে গড়ে উঠেছিল এক বিশাল অনুরাগীমহল। একসঙ্গে রান্না, ঘোরাঘুরি, দৈনন্দিন মুহূর্ত শেয়ার করে দর্শকদের মন জয় করেছিলেন তাঁরা। কিন্তু গত কয়েক মাস ধরে দুইজনের অনুপস্থিতি, একে অপরের ভিডিওতে অংশ না নেওয়া, সবকিছুই জল্পনা বাড়িয়েছিল— তবে কি তাঁদের সম্পর্কের ভিতেই ফাটল ধরেছে?
এই জল্পনার আগুনে ঘি ঢালেন অভিনেতা সায়ক চক্রবর্তী। যাঁর সঙ্গে সুস্মিতার সম্পর্ক একসময় ছিল ‘দেওর-বৌদি’-র। কিন্তু এক অনুরাগীর ‘বৌদি’-র খোঁজ করতেই রীতিমতো রেগে যান সায়ক। কড়া সুরে বলেন, “এখানে বৌদিকে খুঁজছেন কেন? উনি নিজেও তো ভিডিও করেন!” এই প্রতিক্রিয়া থেকেই অনেকেই ধরে নেন, সুস্মিতার সঙ্গে সায়কের সম্পর্কের সমীকরণেও এসেছে পরিবর্তন। সে কথাই যেন পরোক্ষে সত্যি হয়ে দাঁড়াল কিছুদিন পর।
অবশেষে স্ত্রীর জন্মদিনেই সেই অপেক্ষিত ঘোষণা এল সব্যসাচীর সমাজ মাধ্যম পোস্টে। খোলাখুলি জানিয়ে দিলেন, তাঁদের বিবাহিত জীবনের ইতি ঘটেছে। সুন্দরভাবে স্বীকার করলেন, কিছু জায়গায় মতের অমিল ছিল, তাই দুজনেই নিজেদের মতো করে শান্তি খুঁজে নিতে চান। সুস্মিতাও জানান, এই সিদ্ধান্ত দুজনের সম্মতিতেই নেওয়া হয়েছে এবং তাঁরা একে অপরকে সম্মান করেন। এও অনুরোধ করেন, যেন তাঁদের এই সিদ্ধান্তে সকলেই সহানুভূতির চোখে তাকান।
এই আবেগঘন পরিস্থিতিতে নজর কেড়েছে সায়কের একটি বিশেষ পোস্ট। সুস্মিতাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে তিনি একটি ছবি শেয়ার করেন, যেখানে সুস্মিতা তাঁকে রাখী পরাচ্ছেন। ক্যাপশনে লেখা— “শুভ জন্মদিন সুস্মিতা! তোকে আর কুটনি বৌদি বলে ডাকা হবেনা রে! খুব ভালো থাকিস!” ছোট্ট এই বার্তায় মিশে রয়েছে একরাশ অভিমান, পুরনো সম্পর্কের ছায়া, এবং এক গভীর শ্রদ্ধা আর বিদায়ের কষ্ট।
আরও পড়ুনঃ পর্দা থেকে হঠাৎ গায়েব! জনপ্রিয়তার শীর্ষে থেকেও কেন হারিয়ে গেলেন সঞ্জীব দাশগুপ্ত? বর্তমানে কোথায় আছেন অভিনেতা? কেন অভিনয় ছেড়ে দিলেন তিনি?
দর্শকদের চোখে প্রিয় এক জুটির ভেঙে যাওয়া সম্পর্কের কথা এবার নিজের মতো করে জানিয়ে দিলেন তাঁরা। আবেগ নয়, দায়িত্ব নিয়ে কথা বলেছেন দুজনেই। তবু সম্পর্ক ভাঙার যন্ত্রণাটা তো থেকে যায়ই। সায়কের সেই ক্যাপশন, যে কথায় খানিক রসিকতা, খানিক দুঃখ— যেন বলে গেল, এই ছাড়াছাড়ির গল্পটা শুধু ঘোষণায় শেষ হয় না, কিছু অনুভূতি থেকে যায় না বলা কথার আড়ালে।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনে ব্যবহৃত মতামত, মন্তব্য বা বক্তব্যসমূহ সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি মাত্র। এটি আমাদের পোর্টালের মতামত বা অবস্থান নয়। কারও অনুভূতিতে আঘাত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, এবং এতে প্রকাশিত মতামতের জন্য আমরা কোনো প্রকার দায়ভার গ্রহণ করি না।