বাঙালি কন্যার মুকুটে নয়া পালক! জাতীয় পুরস্কারে সম্মানিত রানি মুখোপাধ্যায়! ‘মিসেস চ্যাটার্জি ভার্সেস নরওয়ে’ ছবিতে এক মায়ের লড়াইয়ে মুগ্ধ দর্শক! এই ছবির জন্যই সেরা অভিনেত্রীর সম্মান রানির ঝুলিতে!

নিঃসন্দেহে বলিউডের অন্যতম প্রতিভাবান অভিনেত্রীদের মধ্যে একজন তিনি। পরিচয় বাংলার মেয়ে, নাম ‘রানি মুখোপাধ্যায়’ (Rani Mukerji)। আর এবার সেই নাম জ্বলজ্বল করছে জাতীয় পুরস্কারের (71st National Films Award) তালিকায়। ‘মিসেস চ্যাটার্জী ভার্সেস নরওয়ে’ (Mrs. Chatterjee vs Norway) সিনেমায় দুরন্ত অভিনয়ের জন্য ৭১তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে সেরা অভিনেত্রীর সম্মানে ভূষিত হয়েছেন রানি।

একটি সত্য ঘটনা অবলম্বনে তৈরি এই ছবিতে একজন মায়ের অদম্য লড়াই এবং আবেগকে পর্দায় নিখুঁতভাবে ফুটিয়ে তুলেছিলেন তিনি। শুধু তাই নয়, এই ছবিতে রানির সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে ছিলেন টলিউড অভিনেতা অনির্বাণ ভট্টাচার্যও, যাঁর অভিনয়ও প্রশংসিত হয়েছে দর্শক মহলে। প্রসঙ্গত, রানির কেরিয়ার শুরু হয় ১৯৯৬ সালে, বাংলা ছবি ‘বিয়ের ফুল’ দিয়ে। তবে বলিউডেই নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেন তিনি। ‘গুলাম’, ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’ দিয়ে দর্শকের মন জয় করার পর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে।

তাঁর অভিনয়-পরিসর বিস্তৃত, রোমান্টিক হোক কিংবা কমেডি, সিরিয়াস হোক কিংবা অ্যাকশন, প্রতিটি ঘরানাতেই রানির অভিনয় এককথায় দুর্দান্ত। তাঁর জনপ্রিয় ছবির তালিকায় রয়েছে ‘সাথিয়া’, ‘হাম তুম’, ‘বীর-জারা’, ‘বান্টি অউর বাবলি’, ‘মর্দানি’, ‘মর্দানি ২’-এর মতো একাধিক ব্লকবাস্টার ছবি। যখন কেরিয়ার তুঙ্গে, ঠিক সেই সময় যশ রাজ ফিল্মসের কর্ণধার আদিত্য চোপড়ার সঙ্গে সাতপাকে বাঁধা পড়েন রানি।

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে তাঁদের বিয়ে হয়। এরপর ধীরে ধীরে রানি বলিউড থেকে কিছুটা দূরে সরে আসেন। তবে সিনেমার প্রতি ভালোবাসা যে কমেনি একটুও, তা প্রমাণ করে দেন ‘মর্দানি ২’ ছবি দিয়ে। দীর্ঘ বিরতির পরও তাঁর অভিনয়-শক্তি এতটুকুও ম্লান হয়নি—বরং আরও পোক্ত হয়েছে সময়ের সাথে। ‘মিসেস চ্যাটার্জী ভার্সেস নরওয়ে’ ছবিটি রানির জন্য নিঃসন্দেহে মাইলফলক। শুধুই জাতীয় পুরস্কার নয়, এই ছবির মাধ্যমে ফের প্রমাণ করেছেন, একজন শিল্পী সত্যিই কখনও ফুরিয়ে যান না।

আরও পড়ুনঃ ‘আজ সরোজিনীর শেষ দিন…’, মাত্র ৩ মাসেই বন্ধ মেগা, চোখের জল বাঁধ ভাঙল নায়িকার!

নিজের সংবেদনশীল অভিনয়ে তিনি তুলে ধরেছেন একজন মায়ের প্রতিবাদ, তার আত্মশক্তি এবং সন্তানকে ফিরে পাওয়ার জন্য সমাজব্যবস্থার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের চিত্র। এই চরিত্রে রানিকে দেখে চোখে জল এসেছে অনেক দর্শকের। জাতীয় স্বীকৃতি যেন রানির দীর্ঘ কেরিয়ারের প্রতি এক অনন্য সম্মান। যাঁরা ভাবছিলেন রানি আর নেই, তাঁদের জন্য এই পুরস্কার এক দারুণ জবাব। বলিউডের ‘রানি’ এখনও নিজের রাজত্বে অটল, আত্মবিশ্বাসী এবং অনবদ্য। এবার তাঁর সম্মান পাওয়া শুধুই সময়ের অপেক্ষা ছিল।

Disclaimer: এই প্রতিবেদনে ব্যবহৃত মতামত, মন্তব্য বা বক্তব্যসমূহ সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি মাত্র। এটি আমাদের পোর্টালের মতামত বা অবস্থান নয়। কারও অনুভূতিতে আঘাত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, এবং এতে প্রকাশিত মতামতের জন্য আমরা কোনো প্রকার দায়ভার গ্রহণ করি না।