“যদি ‘দিদি নাম্বার ১’ বন্ধ হয়ে যায়, আন্দোলন কেউ আটকাতে পারবে না!”— সংসদে শতভাগ হাজিরা নয়, ‘দিদি নাম্বার ১’ চালিয়ে যাওয়াই রচনার মূল চিন্তা! জনগণের দায়িত্বে তুলনায় রিয়েলিটি শোয়ের সম্প্রচারই বড় দায়িত্ব বলে মনে করেন তিনি!

তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ তথা অভিনেত্রী ‘রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়’ (Rachana Banerjee) গতবারের লোকসভা নির্বাচনে হুগলি কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়কে প্রায় ৮০ হাজার ভোটে হারিয়ে জয়লাভ করেন। আবার আসন্ন লোকসভা নির্বাচন, তাই নিয়ে বর্তমানে চলছে লোকসভার বাদল অধিবেশন। যেখানে সাংসদদের উপস্থিতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, রচনাও সংসদের সদস্য হিসেবে এই অধিবেশনে অংশ নিচ্ছেন। তবে প্রতিদিন হাজির থাকা তাঁর পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না।

এই অনুপস্থিতির কারণ নিয়েই তিনি সম্প্রতি মুখ খুলেছেন। এক সাক্ষাৎকারে রচনা জানান, সংসদে উপস্থিতি মূলত নির্ভর করে ব্যক্তিগত পরিস্থিতি ও পেশাগত অবস্থার উপর। তাঁর মতে, যারা সম্পূর্ণভাবে রাজনীতিকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন, তাঁদের উচিত অধিবেশন চলাকালীন প্রতিদিন উপস্থিত থাকা, যদি না কোনও শারীরিক অসুস্থতা বা পারিবারিক অসুবিধা থাকে। সবকিছু ঠিক থাকলে নিয়মিত হাজিরা দেওয়াই উচিত বলে তিনি মনে করেন।

তবে রচনা মনে করেন, যাঁরা রাজনীতির পাশাপাশি অন্য পেশায়ও যুক্ত, তাঁদের অবস্থাটা কিছুটা ভিন্ন। তিনি নিজের উদাহরণ দিয়ে বলেন, সারা বছর ধরে সম্প্রচারিত জনপ্রিয় অনুষ্ঠান ‘দিদি নম্বর ১’ পরিচালনা করা তাঁর অন্যতম প্রধান দায়িত্ব। এই শো বন্ধ হয়ে গেলে দর্শক মহলে বড় ধরনের প্রতিক্রিয়া তৈরি হবে, এমনকি সংগঠিত আন্দোলন শুরু হতে পারে বলে তিনি বিশ্বাস করেন। তাই অনুষ্ঠানটির ধারাবাহিকতা বজায় রাখা তাঁর কাছে গুরুত্বপূর্ণ।

শুধু টেলিভিশন শো নয়, রচনার নিজস্ব ব্যবসাও রয়েছে, যেটির দেখভাল তাঁকেই করতে হয়। পাশাপাশি সংসারের দায়িত্ব এবং রাজনীতির কাজও সামলাতে হয় তাঁকে। এই বহুমুখী দায়িত্বের কারণে প্রতিদিন সংসদে উপস্থিত থাকা তাঁর পক্ষে সম্ভব হয় না বলে জানান তিনি। তবুও রচনা চেষ্টা করেন যতটা সম্ভব সময় মিলিয়ে লোকসভায় উপস্থিত থাকতে। তিনি বলেন, লোকসভায় উপস্থিত না থাকতে পারলেও সক্রিয়ভাবে সাংসদের ভূমিকা পালন করছেন।

আরও পড়ুনঃ “রাজ-শুভশ্রীর বোঝাপড়া টলিউডে অনুপ্রেরণা!” “দায়িত্ব নিয়ে বলতে পারি, রাজের বুক চিনচিন বা ঝিনঝিন কোনওটাই করছে না!”— দিদি দেবশ্রীর কথায় বোন শুভশ্রীর জীবনের নীরব নায়ক রাজ চক্রবর্তী!

তাঁর মতে, নিজের সমস্ত পেশাগত, ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক দায়িত্বের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রেখেই তিনি সাংসদ হিসেবে কাজ চালিয়ে যেতে পারবেন ভবিষ্যতেও। এখনও তিনি অভিনয়ের পাশাপাশি সংসদীয় দায়িত্বকে গুরুত্ব দেন, তবে জীবনের অন্যান্য ক্ষেত্রেও তাঁর সমান মনোযোগ বজায় রাখতে হয়। অভিনেত্রী হিসাবে যেমন তাঁর উপর মানুষ ভরসা রেখেছেন, সাংসদ হিসেবেও তেমনটাই হবে ভবিষ্যতেও আশা করছেন তিনি।