সম্প্রতি ‘ধুমকেতু’র (Dhumketu) মুক্তিকে ঘিরে কাছাকাছি এসেছেন দেব-শুভশ্রী (Dev-Shubhashree)। এরপরেই একদল যেমন নস্টালজিয়ায় ভেসেছেন, আরেক দল রাজ-রুক্মিণীকে নিয়ে মিম বানাতে ব্যস্ত। এমন পরিস্থিতিতে রাজের প্রথম পক্ষের স্ত্রী সমাজ মাধ্যম একটি পোস্ট করে লেখেন, “বুকের বাঁ দিকটা চিন চিন করছে? আমারও করেছিল ১৩ বছর আগে!” ব্যাস এরপর থেকে ‘রাজ চক্রবর্তী’র (Raj Chakraborty) দিকে আরও রসালো মিম ধেয়ে আসে। এরপর অবশ্য রাজ নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছিলেন। এরপর মাঠে নামলেন শুভশ্রীর দিদি ‘দেবশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়’ (Debosree Ganguly)।
তিনি প্রথমেই বলেন, “রাজের বুক চিনচিন বা ঝিনঝিন কোনওটাই করছে না!” দেবশ্রীর কথায়, তার বোন শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায় শুধু একজন সফল অভিনেত্রীই নন, একজন দক্ষ গৃহিণী ও স্নেহশীল মা হিসেবেও সমান প্রশংসিত। তাঁর এই যাত্রায় বড় ভূমিকা রয়েছে স্বামী রাজ চক্রবর্তীর। পরিচালক, প্রযোজক ও জনপ্রতিনিধি হিসেবে ব্যস্ত থাকার পরও রাজ পরিবারের প্রতি তাঁর দায়িত্ব ঠিকমতো পালন করেন। শুভশ্রীর কেরিয়ারে তিনি শুধু একজন সঙ্গী নন, বরং প্রতিটি পদক্ষেপে অনুপ্রেরণাদাতা এবং সবচেয়ে বড় সমর্থক।
তাঁর বোঝাপড়া এবং সমর্থন শুভশ্রীকে সংসার ও পেশা— দুই ক্ষেত্রেই সমান সফল হতে সাহায্য করেছে। নজরুল মঞ্চে দেব ও শুভশ্রীর সাম্প্রতিক সাফল্যের নেপথ্যে যেমন তাঁদের পরিশ্রম, তেমনই রয়েছে জীবনসঙ্গীদের অটুট ভরসা। শুভশ্রী যেমন বুঝে গেছে কোথায় সীমা টানতে হয়, তেমনি রাজও গর্বের সঙ্গে দেখে তাঁর স্ত্রীকে নতুন উচ্চতায় পৌঁছতে। নিজের ব্যক্তিগত জীবনকে সুন্দরভাবে গুছিয়ে নেওয়াটা রাজ ও শুভশ্রীর সম্পর্কের অন্যতম শক্তি। এই পরিপক্বতা তাঁদের জীবনে স্থিতি এনেছে, যা অনেকের পক্ষেই রক্ষা করা কঠিন। শুভশ্রী সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আরও সংযত ও অভিজ্ঞ হয়েছে।
আবেগ প্রকাশে এখন সে অনেক সচেতন, জানেন কোন অনুভূতি কাকে দেখাতে হবে। তবুও কাছের মানুষদের প্রতি তাঁর স্নেহ ও উষ্ণতা অটুট। নেতিবাচকতা থেকে দূরে থাকা ও আধ্যাত্মিকতার প্রতি ঝোঁক তাঁকে মাটির কাছাকাছি থাকতে সাহায্য করেছে। নিজের শিকড় ভোলেনি বলেই আজ সে ঘরে-বাইরে সমান জনপ্রিয় ও সম্মানিত। রাজের ভূমিকা এই সাফল্যের গল্পে অনস্বীকার্য। সংসার ও পেশার ভারসাম্য বজায় রাখতে যে সহযোগিতা দরকার, রাজ তা সবসময় দিয়েছে।
আরও পড়ুনঃ “পুজো করি না, বরং সব খাওয়াই।” “আমরা মটন খেলে, গোপালকেও দি”— নবনীতা-রাজার বক্তব্যে ধর্মীয় আবেগে চরম আঘাত! গোপালকে ‘মাংস’ ভোগের কথায় ক্ষোভের ঝড়! ‘আপনারাই হিন্দু সমাজের লজ্জা, ছিঃ!’ ‘গোপাল খেলার জিনিস নয়, এই পাপের চরম শাস্তি পাবেন!’– দর্শকদের তীব্র প্রতিক্রিয়া!
কাজের চাপ, সংসারের দায়িত্ব এবং সন্তানের যত্ন— সব কিছু সমানভাবে ভাগ করে নেওয়ার মানসিকতা তাঁদের সম্পর্কে এক গভীর বন্ধন তৈরি করেছে। শুভশ্রীর জন্য রাজ শুধুই স্বামী নয়, একজন প্রকৃত সহযোদ্ধা পাওয়ার মতো। দেবশ্রীর দৃষ্টিতে রাজ চক্রবর্তী শুধু ভালো স্বামীই নন, বরং পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ স্বামী। এই সম্পর্কের মধ্যে আছে পারস্পরিক সম্মান, বোঝাপড়া এবং একে অপরের সাফল্যে আনন্দ ভাগ করে নেওয়ার মানসিকতা। হয়তো এই কারণেই শুভশ্রী আজ এই জায়গায়, যেখানে সে একসঙ্গে দক্ষ অভিনেত্রী, দায়িত্বশীল মা এবং স্নেহশীল স্ত্রী।