বাড়ির ছোট্ট সদস্যকে সবার স্নেহে বড় করে তোলাই প্রত্যেক বাবা-মায়ের সবচেয়ে বড় চিন্তা। কিন্তু ব্যস্ততার কারণে সব সময় সন্তানের পাশে থাকা সম্ভব হয় না। তখনই ভরসা রাখতে হয় পরিচারিকার উপর। কিন্তু সেই ভরসাই যদি ভেঙে যায়, তাহলে? এমনই এক অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন অভিনেত্রী শ্রীময়ী চট্টরাজ, যা শোনার পর অনেকেই অবাক হয়েছেন।
অভিনেত্রী জানিয়েছেন, ব্যস্ত কাজের চাপে কখনও কখনও একরত্তিকে বাড়িতে রেখে বাইরে যেতে হয় তাঁকে এবং স্বামী কাঞ্চন মল্লিককে। শ্রীময়ীর মা যতটা সম্ভব পাশে থাকেন নাতনির, কিন্তু একা হাতে ছোট্ট শিশুকে সামলানো সব সময় সহজ হয় না। তাই বাধ্য হয়েই এক পরিচারিকাকে রেখেছিলেন তাঁরা। কিন্তু সেই সিদ্ধান্তই কাল হয়ে দাঁড়াল।
শ্রীময়ী জানান, বিপত্তারিণী পুজোর সময় মা নিজের বাড়ি গিয়েছিলেন। সেদিন তিনি এবং কাঞ্চন দু’জনেই কাজে বাইরে ছিলেন। মেয়েকে রেখে গিয়েছিলেন পরিচারিকার তত্ত্বাবধানে এবং বাড়ির সিসিটিভি ক্যামেরার ভরসায়। কিন্তু রাতে ক্যামেরার ফুটেজ দেখে রীতিমতো শিউরে ওঠেন অভিনেত্রী। দেখা যায়, কৃষভি কান্না করলে পরিচারিকা তাঁকে উপুড় করে মারছেন। ঘটনার পর কাঞ্চন ক্ষোভে ফেটে পড়ে জানিয়েছিলেন, ওই মহিলার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও।
কিন্তু এখানেই শেষ হয়নি পরিচারিকার কীর্তি। কিছুদিন পর হঠাৎই লক্ষ্য করেন শ্রীময়ী, বাড়ি থেকে একের পর এক জিনিস হারাচ্ছে। রুপোর থালা, প্রদীপ, কাঁসার পাত্র কোথায় উধাও হয়ে গেল তা প্রথমে বুঝতে পারেননি তাঁরা। পরে খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারেন, তাঁদের অনুপস্থিতিতে সিসিটিভি বন্ধ করে দিয়ে পরিচারিকা দামি জিনিস চুরি করে বাইরে পাচার করতেন।
আরও পড়ুনঃ মৃ’ত্যুর পরেও দর্শকের দাবিতে আবার ফিরতে চলেছে প্লুটো? ‘চিরসখা’র গল্পে প্লুটোর প্রত্যাবর্তন ঘিরে রহস্য বাড়ালেন লেখিকা! দর্শকের আবেগে নড়েচড়ে বসেছেন, এবার কি সুখবর দিলেন লীনা গঙ্গোপাধ্যায়?
এই ঘটনার পর থেকেই রীতিমতো চিন্তায় রাতের ঘুম উড়েছে শ্রীময়ী-কাঞ্চনের। নিজেদের সন্তানকে কোন ভরসায় রেখে বাড়ির বাইরে যাবেন, তা ভেবে পাচ্ছেন না দু’জনেই। পরিচারিকার উপর নির্ভর করতে গিয়ে যে এমন দুঃস্বপ্ন দেখতে হবে, তা কল্পনাও করেননি তারা। এখন একটাই প্রশ্ন, সন্তানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অভিনেত্রী ও তাঁর স্বামী কী নতুন সিদ্ধান্ত নেবেন?