“ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ ফুরোলেই শেষ হয়ে যায় বন্ধুত্ব, বন্ধু ভেবেছি, পরে দেখেছি…”— কিছুদিন আগেই ভেঙেছে ‘দুই শালিক’-এর সম্পর্ক, এবার নিজের অভিজ্ঞতা ভাগ করলেন ‘গাঁটছড়া’র দ্যুতি শ্রীমা! তবে কী শোলাঙ্কির সঙ্গে নেই আর সেই সম্পর্ক?

টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রি (Bengali Television) মানেই প্রতিদিনের প্রায় ১২-১৪ ঘণ্টা শুটিং। সেই সঙ্গে সেটে হাসি-ঠাট্টা আর সহকর্মীদের সঙ্গে নিত্য যোগাযোগ। সিরিয়াল চলাকালীন একসাথে খাওয়া-দাওয়া, আউটিং বা ঘুরে বেড়ানোর মুহূর্তগুলো অনেক সময় পরিবারের মতো অনুভূতি দেয়। কিন্তু কাজ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সেই সম্পর্কগুলো প্রায়শই মিলিয়ে যায়! যা একসময় মনে হয়েছিল বন্ধুত্ব, তা অনেকের কাছেই পরিণত হয় নিছক একটি স্মৃতিতে।

কিছুদিন আগেই আরও একবার প্রমাণ হয়ে গেল এই কথাটা। স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘দুই শালিক’-এর অভিনেত্রীরা, তিতিক্ষা দাস এবং নন্দিনী দত্তকে একটা সময়ে অফস্ক্রিনে দেখলেও মনে হতো যে জমজ বোন। এতটাই ভালো সম্পর্ক ছিল তাদের। কিন্তু সম্প্রতি শহরের এক রাত পার্টিতে মুখোমুখি হয়েও একে অপরকে না দেখার ভান করে চলে গেলেন দু’জনে। দর্শকদের মনে এইসব ঘটনা দেখার পর একটা প্রশ্ন ঘুরে ফিরে আসে, এখানে সত্যিই কি বন্ধু হয় না?

এবার এই প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী শ্রীমা ভট্টাচার্য। স্টার জলসার আরও এক জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘গাঁটছড়া’-র দ্যুতি চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন শ্রীমা। এদিন তিনি বলেন, বড় হতে হতে তিনি নিজেই উপলব্ধি করেছেন বন্ধুত্ব সব সময় একইরকম থাকে না। শুধু ইন্ডাস্ট্রিতেই নয়, পড়াশোনা বা কোচিংয়ের ক্ষেত্রেও এমন অনেক বন্ধুর দেখা পেয়েছেন যারা সময়ের সঙ্গে বদলে গিয়েছে। তাঁর মতে, “এখানে কারা কেমন কাজ পাবে, সেটাই অনেক সময় সম্পর্কের মোড় ঘুরিয়ে দেয়।”

অভিনেত্রীর অভিজ্ঞতায় এসেছে, কাজের মধ্যেই হঠাৎ করে বন্ধুত্ব নষ্ট হয়ে যাওয়ার ঘটনা। একটা সময়ে সহকর্মীর উপর বিশ্বাস রেখে অনেক ব্যক্তিগত কথা জানিয়েছিলেন তাঁকে। আর পরে সেই কথাগুলোই অন্য কারও মুখে শুনতে হয়েছে। তখন মনে হয়েছে, বন্ধু বলে ভেবে নেওয়া মানুষটির আসলে রূপটা ঠিক অন্য রকম। শ্রীমার কথায়, এই ধরনের অভিজ্ঞতা যে কারোর পক্ষে যথেষ্ঠ কঠিন, তবে ইন্ডাস্ট্রির বাস্তব চিত্র তুলে ধরে এইসব ঘটনাই।

তবে, শ্রীমা এটাও স্বীকার করেন যে সৌভাগ্যক্রমে এতকিছুর পরও তাঁর ব্যক্তিগত জীবনে কোনও বড় সমস্যা তৈরি হয়নি আজ পর্যন্ত। কর্মক্ষেত্রে কারও সঙ্গে সরাসরি ঝগড়া বা তর্কে জড়াতে হয়নি তাঁকে। তিনি মনে করেন, কিছু সম্পর্ক হারিয়ে গেলেও তার মানে এই নয় যে সব সম্পর্কেই তিক্ততা আসে। শ্রীমার মতে, আসলে বন্ধুত্বের সংজ্ঞা এখানে অন্যরকম। কাজের চাপ, প্রতিযোগিতা আর সুযোগের লড়াইয়ের মধ্যে অনেক সম্পর্ক টিকে থাকে না। তবু তিনি বিশ্বাস করেন, খাঁটি সম্পর্ক খুঁজে পাওয়া যায় যদি মানুষ সত্যিই আন্তরিক হয়।

আরও পড়ুনঃ “টাকা দিয়ে রোয়াব সহ্য করি না, অনেকে আমায় সমগোত্রীয় ভাবে”— মন্তব্য ঘিরে নেটদুনিয়ায় কটাক্ষের ঝড়! “কে আপনি, এত বড়াই কিসের!” “সমগোত্রীয় মানে কী? আপনি কোন গোত্রীয়?”— মধুবনীকে ধুয়ে দিল নেটপাড়া

Disclaimer: এই প্রতিবেদনে ব্যবহৃত মতামত, মন্তব্য বা বক্তব্যসমূহ সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি মাত্র। এটি আমাদের পোর্টালের মতামত বা অবস্থান নয়। কারও অনুভূতিতে আঘাত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, এবং এতে প্রকাশিত মতামতের জন্য আমরা কোনো প্রকার দায়ভার গ্রহণ করি না।