দুর্যোগের দিনেও বন্ধ রাখা হল না শুটিং! জলমগ্ন কলকাতার রাস্তায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে র‌ইলেন শ্রুতি দাস! কিন্তু শেষমেশ কী উপায়ে শুটিং ফ্লোরে পৌঁছলেন অভিনেত্রী?

কলকাতা যেন জলে ভাসছে। টানা বৃষ্টিতে শহরের প্রায় প্রতিটি এলাকাই জলমগ্ন। সকাল থেকে সাধারণ মানুষ যেমন অফিসযাত্রী থেকে শুরু করে স্কুলপড়ুয়া—সবাই দুর্ভোগে পড়েছেন, তেমনই বিনোদন জগতের শিল্পীরাও বাদ যাননি এই দুর্যোগের হাত থেকে। ভেসে যাওয়া রাস্তায় আটকে গিয়েছে গাড়ি, বন্ধ হয়ে গিয়েছে অনেক পথ। এর মধ্যেই শুটিংয়ে যাওয়ার জন্য বেরিয়েছিলেন অভিনেত্রী শ্রুতি দাস।

শ্রুতির বাড়ি থেকে স্টুডিয়োর দূরত্ব খুব বেশি নয়—প্রায় আধঘণ্টার রাস্তা। কিন্তু মঙ্গলবার সকালটা তাঁর কাছে ভয়ানক অভিজ্ঞতা নিয়ে আসে। জলজটের কারণে শহরের রাস্তায় তীব্র যানজট তৈরি হয়। অ্যাপ ক্যাব বুক করলেও কোনওমতে এগোতে পারছিলেন না নায়িকা। রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা অসংখ্য গাড়ির সারি আর হর্নের শব্দে ঘন্টার পর ঘন্টা আটকে থাকতে হয় তাঁকে।

অভিনেত্রী নিজেই জানিয়েছেন, প্রায় আড়াই ঘণ্টা রাস্তায় ঘুরেও স্টুডিয়ো পৌঁছতে পারেননি। অবশেষে বাড়ি ফিরে আসতে হয় তাঁকে। শ্রুতির কথায়, “আমাকে যে দাদা রোজ নিয়ে যান, তিনি বৃষ্টির কারণে আসতে পারেননি। তাই ক্যাব ছাড়া আর উপায় ছিল না। দ্বিগুণ ভাড়া দিতেও রাজি ছিলাম, তবুও পৌঁছতে পারলাম না। শেষমেশ প্রোডাকশন থেকে গাড়ি পাঠানো হয়।”

শুধু শ্রুতিই নন, রাস্তায় আটকে পড়া বহু মানুষ ভোগান্তির শিকার হন। অভিনেত্রী জানান, তাঁর গাড়ির কাচে ধাক্কা দিয়ে অনেকেই কাছাকাছি জায়গায় নামিয়ে দেওয়ার অনুরোধ করেছিলেন। গড়িয়া পর্যন্ত নামিয়ে দেওয়ার আর্জি জানিয়েছিলেন অনেকে। তবে একসঙ্গে এতজনকে সাহায্য করা সম্ভব না হওয়ায় খারাপ লাগলেও নিরুপায় ছিলেন তিনি।

আরও পড়ুনঃ ‘পুজোয় বৃষ্টি হবে বলতে পারে আর ক্লাউডবার্স্ট হবে বলতে পারেনা’, আবহাওয়া দপ্তরকে কটাক্ষ অনিন্দ্যর! ‘অশিক্ষিতের মতো কথা, ক্লাউডবার্স্ট কখনো আগে থেকে বোঝা যায় না!’ উল্টে নেটপাড়ায় কটাক্ষের শিকার অভিনেতা

অবশেষে প্রোডাকশনের পাঠানো গাড়িতে স্টুডিয়োর উদ্দেশে রওনা দেন শ্রুতি। তাঁর অপেক্ষায় গোটা শুটিং ফ্লোর কার্যত বসে ছিল। দুর্যোগ মাথায় নিয়েও দায়িত্ববোধের কারণে তিনি শুটিং মিস করেননি। শহরজুড়ে যখন বৃষ্টির কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত, তখনও পেশাদারিত্বে ভর করে স্টুডিয়োর পথে যাত্রা করেন অভিনেত্রী। শ্রুতির এই অভিজ্ঞতা আবারও মনে করিয়ে দিল, প্রাকৃতিক দুর্যোগে সাধারণ থেকে বিশেষ কেউই রেহাই পান না।