কলকাতার রাতভোর বৃষ্টিতে শহরবাসী একেবারে হতবাক। পুজোর ঠিক আগে জলমগ্ন হয়ে পড়েছে শহরের বিভিন্ন এলাকা। ঘুম ভেঙেই মানুষ দেখতে পাচ্ছেন জল জমে রাস্তা, বাজারে একেবারে বেহাল দশা। সাধারণ মানুষের মধ্যে এই হঠাৎ জলমগ্নতা নিয়ে নানা প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। কেউ হতবাক, কেউ হাস্যরসে মিশিয়ে মন্তব্য করছেন।
এই পরিস্থিতিতে সামাজিক মাধ্যমে আলোড়ন তৈরি করেছে অভিনেতা অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়ের পোস্ট। তিনি লিখেছেন, “আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর কিন্তু খুব কিউট। পুজোতে ঠিক কবে কবে বৃষ্টি হবে ১৫ দিন আগে থেকে বলে দেয়। কিন্তু পুজোর ঠিক আগে এরকম হবে বলতে পারেনা।” অনিন্দ্যের এই মন্তব্যকে অনেকেই সরাসরি মজা করে ট্রোল করতে শুরু করেছেন।
জনগণ তার পোস্টে মজার ছলে প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছে। একজন লিখেছেন, “পরীক্ষার কিছু প্রশ্নই পাঠ্যবইয়ের বাইরে আসে, ঠিক তেমনই আবহাওয়া অফিস।” অন্য একজন লিখেছেন, “আবহাওয়া অফিস বরাবর কিউট, যা বলে ঠিক তার উল্টো হয়।” আরেকজন মন্তব্য করেছেন, “ক্লাউডবার্স্ট কখন হবে তা আগে থেকে বোঝা যায় না!”—যা প্রকাশ করছে যে প্রকৃতপক্ষে কোন ক্লাউডবার্স্ট কখন হবে তা আগেই বোঝা সম্ভব নয়। অনিন্দ্য যদিও বলেছিলেন সতর্কতা জারির মধ্যে তফাত আছে, তা সত্ত্বেও জনমনে হাসির ঝড় বইছে।
অভিনয় জীবনে অনিন্দ্য সাধারণত নেগেটিভ চরিত্রে দেখা যায়, কিন্তু বাস্তব জীবনে তার এই ধরনের মন্তব্য এবং প্রতিক্রিয়ার ধরন মানুষকে হাসাতে বাধ্য করছে। তিনি ‘গাঁটছড়া’, ‘কাজল নদীর জলে’ সহ বহু সিরিয়ালে অভিনয় করেছেন, এবং বড় পর্দাতেও ‘চতুষ্কোন’, ‘কিলবিল সোসাইটি’, ‘বেলা শেষে’ ও ‘বেলা শুরু’-তে নিজের অভিনয় দেখিয়েছেন। তবে এই জলমগ্ন পরিস্থিতি নিয়ে তার মজার পোস্টটি মানুষের কাছে একেবারে ট্রোলের সুযোগ তৈরি করেছে।
আরও পড়ুনঃ “আমি অন্তঃসত্ত্বা হয়েও ঠিক করে খেতে পাইনি, ওরা রান্নাঘরে তালা দিয়ে রাখত!” “তৃতীয় সন্তান আমার গর্ভে, শানুর তখন বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক জানতে পারি!”— কুমার শানুর স্ত্রী রীতার বিস্ফো’রক অভিযোগ, স্ত্রী-সন্তানের সঙ্গে কেমন ব্যবহার করতেন তিনি?
শহরের জলমগ্ন ছবি এবং অনিন্দ্যর পোস্টে সাধারণ মানুষের কাছে মজার ফেরক হয়ে উঠেছে, কারণ জনসাধারণ দাবি করছে প্রকৃতপক্ষে আবহাওয়া অফিস হঠাৎ করে মেঘ ফেটে বৃষ্টি হওয়ার পূর্বাভাস দিতে পারে না। এই ভাবেই অভিনেতা সমাজ মাধ্যমে ট্রোলের শিকার হয়েছেন।